![]() বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস, ‘কিচ্ছু আসে যায় না’ বললেন ট্রাম্প
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() দিনের শুরুতেই এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে দ্রুত দরপতন লক্ষ্য করা গেছে। মার্কিন শেয়ারবাজারের অবস্থাও নিম্নমুখী। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণে দাম বেড়ে যাওয়া, চাহিদা কমা, আস্থা কমে যাওয়া এবং বিশ্বব্যাপী মন্দা দেখা দিতে পারে। এর আগে রোববার এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি এ সময় ইঙ্গিত দেন, বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে যে কোটি কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে, তাতে তার কিছুই আসে যায় না। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই না কোনো কিছুতে ধস নামুক। তবে মাঝেমধ্যে কিছু জিনিস ঠিক করার জন্য আপনাকে ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়।’ ট্রাম্প বলেন, তিনি সপ্তাহান্তে ইউরোপ ও এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসব নেতা শুল্ক কমানোর জন্য তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন। তার ভাষায়, ‘তারা আলোচনার টেবিলে আসছেন। তারা আলোচনা করতে চান। তবে আমাদের বছরভিত্তিক প্রচুর অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত কোনো আলোচনা হবে না।’ ট্রাম্প এর আগে গত ২ এপ্রিল শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় চীন পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। এমন অবস্থায় বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ ও মন্দা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিন বিশ্বের কিছু সংখ্যক দেশের ওপর কমপক্ষে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া কিছু দেশের ওপর ১১ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি। এই শুল্ক আরোপের পেছনে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য কী, তা নির্ধারণ করতে বিনিয়োগকারী ও রাজনীতিবিদেরা হিমশিম খাচ্ছেন। এটা কি ট্রাম্পের নতুন শাসনব্যবস্থার অংশ, নাকি অন্যান্য দেশ থেকে সুবিধা পাওয়ার জন্য আলোচনার কৌশল, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, গত ২ এপ্রিলের ঘোষণার পর থেকে ৫০টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক সিবিএস নিউজের ‘ফেস দ্য নেশন’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত’ এই শুল্ক বহাল থাকতে পারে। এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর একটি জাপান। শুল্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চাওয়া দেশগুলোর মধ্যেও আছে দেশটি। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা সোমবার বলেছেন, ‘রাতারাতি ফল আসবে না।’ |