![]() তিন অসাধু কর্মচারীকে শো’কজ ও অবৈধ ড্রেজারের জরিমানা করায়
আগৈলঝাড়ায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার
অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
|
![]() পাশাপাশি স্থানীয় এক যুবদল নেতার অবৈধ ড্রেজারে অভিযান পরিচালনা করে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারিহা তানজিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শো’কজ পাওয়া ওই তিন কর্মচারী এবং অর্থ দন্ডপ্রাপ্ত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে হয়রানি ও সামাজিক যোগাযোগে অপপ্রচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উপজেলাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ইউএনওকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ও অসাধু কর্মচারিদের বিচার এবং অপসারণের দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন উপজেলার সর্বস্তরের সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। অফিস ও স্থানীয়সূত্রে বৃহস্পতিবার আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ অফিসের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী মতিউর রহমান মোল্লা রহস্যজনক কারণে (২০-১০-২০২৪ থেকে ২৬-১২-২০২৪) পর্যন্ত একটানা ৬৮ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। অনেকের প্রশ্ন ৮ম শ্রেণী পাস একজন লোক কি করে অফিস সহকারী হয়। সে ভালো করে বাংলা লিখতে পারেনা। একইভাবে অফিস সহায়ক আমির আলী হাওলাদার ও বিলকিস আক্তারের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকির পাশাপাশি সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি সেবাগ্রহীতারা ইউএনওকে অবহিত করেন। তাদের তিন জনকেই প্রাথমিকভাবে মৌখিকভাবে সর্তক করা হয়। এতেও তারা সংশোধন না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন অতিসম্প্রতি তাদের তিনজনেই শো’কজ করেন। এরপরই ওই তিন কর্মচারী ইউএনও’র ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এর পূর্বে দুইজন ইউএনও’র মতিউর রহমান মোল্লা ও আমির আলী হাওলাদারকে একাধিকবার লিখিতবার শো’কজ করেছিলো। ![]() স্থানীয় সৈকত বাড়ৈ, হাসিব মোড়ল বলেন, আমরা জন্মসনদ করতে আগৈলঝাড়া এলে ই্উএনও অফিসের আমির আলী হাওলাদার আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। তারা আরও জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনপূর্বে উপজেলার রাজিহার গ্রামের আবুল হোসেন ফকিরের ছেলে আব্দুর রহিম ফকির তার পুকুর থেকে ড্রেজারে দিয়ে বালু উত্তোলন করছিলো। ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে পুকুর মালিককে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করেন (৩১-১২-২০২৪)। একারণে আব্দুর রহিম ফকিরের লোকজন ইউএনও’র উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযুক্ত মতিউর রহমান এবিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি। আমির আলী হাওলাদার বলেন, আমাকে বিগত ইউএনও’রা শো’কজ করেছিলো এ কথা সত্য। আমি একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম তা স্যারের কথায় ফেরৎ দিয়েছি। সার্বিক বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন বলেন, অফিসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি অফিস কর্মচারীদের অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এবং স্থানীয় এক অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী কর্তৃক ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করার কারণেই তারা সম্মিলিতভাবে তাদের লোকজন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অফিসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না গেলে সেই অফিস কখনও দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, একজন কর্মচারী তার অফিস প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে এধরণের বক্তব্য দিতে পারেনা। অতি সত্বর বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। |