![]() ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে জাবিতে এক অন্যরকম বর্ষবরণ
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা বছরের প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনের মাঠে কংক্রিট দিয়ে এ মানচিত্র অঙ্কন করেন শিক্ষার্থীরা। মানচিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে নিমার্ণাধীন ভবনের পরিত্যক্ত কংক্রিট। সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা রঙে। এছাড়া লাল রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে সেইসব অঞ্চল, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। মানচিত্রের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে ফিলিস্তিনের পতাকা। এছাড়া শান্তির প্রতীক হিসেবে রোপণ করা হয়েছে একটি জলপাই গাছ, যেটি বার্তা দিচ্ছে গাজা আবার উর্বর ভূমিতে পরিণত হবে। এদিন দুপুর ১টায় এই প্রতীকী মানচিত্র উদ্বোধন ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মানচিত্র অঙ্কনকারীদের একজন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, জাবিতে অনেকদিন পর আজ আনন্দঘন পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে। এই আনন্দঘন পরিবেশে আমরা একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদেরও স্মরণ করতে চেয়েছিলাম। তারই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখে ফিলিস্তিনকে স্মরণ করেছেন। বিশ্বের মানচিত্র থেকে গাজাকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে, তাই পুরো গাজা অঞ্চলকেই আমাদের চোখের সামনে জারি রেখে গাজাকে হৃদয়ে ধারণ করার প্রয়াস থেকে আমরা এই মানচিত্র আঙ্কন করেছি। উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, এই আয়োজন আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবিক বোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং রাজনৈতিক সচেতনতার অনন্য দৃষ্টান্ত। একটি রাষ্ট্রের নিরীহ জনগণের ওপর যখন নির্বিচারে হামলা চলছে, তখন একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নীরব থাকা নয়, বরং প্রতিবাদ জানানোই দায়িত্বশীলতার পরিচয়। এই প্রতীকী মানচিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা ন্যায় ও মানবতার পক্ষে তাদের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছেন। |