![]() ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন চায় এনসিপি
নতুন বার্তা, চট্টগ্রাম:
|
![]() সোমবার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম নারী সেলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাজনীতি ও নাগরিক হিসেবে নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘নারীদের যেভাবে রাজনীতিতে নিয়ে আসার কথা সেই দৃশ্যপটকে পুরোপুরিভাবে পরিবর্তন করেছে শেখ হাসিনা। তার যে দৃশ্যায়ন, তার যে ভূমিকা সে কারণে মেয়েরা মনে করে নাই তাদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে বিএনপি ৩১ দফায় সবই বলা হয়েছে, নারী ক্ষমতায়নের কথা বলছে কিন্তু তারা সুকৌশলে নারীদের এড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ মেয়েরা যে কোনো আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে এবং এই চব্বিশের আন্দোলনে নারীদের কয়েকটা ডিসিশন আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।’ কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জেরিন বলেন, ‘এনসিপির যে কেন্দ্রীয় কমিটি এখানে নারী আছে ২৩ জন। শুরুতে তুলনামূলক কম হলেও এনসিপি বিশ্বাস করে এ নারীদের ছাড়া আগামীতে কোনো রাজনীতি হবে না, দল দাঁড়াতে পারবে না। তাদের নিজেদের অস্তিত্বের জন্যই নারীরাই কিন্তু এনসিপির শক্তি।’ তিনি বলেন, ‘নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন যেগুলো হয় সেগুলো কারও স্ত্রী বা কোনো পরিচিত অথবা আত্মীয় হয়। কিন্তু তারা আসল নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই এনসিপি চায় এ ১০০ আসনে যেন জনগণের ভোটে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাধারণ পরিবার থেকে নারী নেতৃত্ব উঠে আসে।’ যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী ১০০ নারী সরাসরি ভোটে সংসদে যাবে। এই প্রস্তাবের যারা বিরোধিতা করবে আপনারা আগামী ইলেকশনে তাদের প্রত্যাখ্যান করবেন, এটা আমাদের আহ্বান। আগের পদ্ধতিতে কোনো নারীর ক্ষমতায়ন হয়নি। এটার মাধ্যমে জনগণের পয়সায় ওমুকের খালা তমুকের স্ত্রী সংসদে গেছেন। সেখানে গিয়ে তারা রিডিংও পড়তে জানে না।’ সংগঠনের উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনে আমার স্ত্রীর তুলির আঁচড়ে আমার প্রথম প্লেকার্ড লেখা হয়েছিল। আমরা নারীদের সাহসিকতায় পুলিশের ব্যারিকেট ভাঙতে সফল হয়েছি।’ |