![]() নবীণ-প্রবীণদের সমন্বয়ে এই বাংলাদেশটাকে সুন্দর করাই হলো আমাদের লক্ষ্য: এ্যানি
কামরুল হাসান,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
|
![]() তিনি বৃহস্পতিবার শহরের গোবিন্দনগস্থ উন্নয়ন সংস্থা ইএসডিও’র জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে ঠাকুরগাঁও জেলা আওতাধীন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের জন্য “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপরোক্ত কথা বলেন। ৩১ দফা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে যে রাষ্ট্র কাঠামো মেরমতের ৩১ দফা দিয়েছিলেন। কমবেশি আপনারা সবাই এই ৩১ দফার সঙ্গে খুব বেশি সুপরিচিত। অনলাইনে, পত্রিকায় এবং বিভিন্নভাবে আপনারা জেনেছেন, শুনেছেন এবং আপনারা আপনাদের মত করে তৃনমূল পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছেন। খুব বেশি প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে এই রাষ্ট্রটি মেরামত করার জন্য। এখানে যারা উপস্থিত আছেন তৃনমূল পর্যায়ে আপনারা সবাই খুব গুরুত্বপুর্ন ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি। প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ ও দ্বিতীয় ধাপে ভাচুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে ভিশন ২০৩০ সেখান থেকেই ধারাবাহিকভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সর্বপ্রথম ২৭ দফা আাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০১৮ এর পরে; তিনি যখন অনুধাবন করলেন আসলে এই দেশে আর এক ব্যক্তির শাসন চলে না। এতে একদলীয় শাসন তথা ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়। যার ভেতরে কতৃত্ববাদ আসে। যার মধ্যে স্বৈরাচারের মনোভাব আছে। যখন নির্বাচনটা রাথের অন্ধকারে হইলো। এর আগে ২০১৪ তে যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মত সুযোগ ছিল না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যাচারিত, নির্যাতিন ছিলেন। তিনি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে গিয়েছিলেন। সংস্কার বিষয়ে এ্যানি বলেন, রাতের অন্ধকারে যখন ওই নির্বাচন হইলো। ওই নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্ট এর প্রধান যখন সবাইকে আশ্বস্ত করলো; যে, আমার উপর আশা, ভরসা ও আস্থা রাখেন; তখনই তারেক রহমান তার নিজস্ব চিন্তা ও ধারনা থেকে তিনি এদেশে কিভাবে একটা সু-শাসন নিয়ে আসা যায়। রাজনীতিটাকে একটা সংস্কারের প্রয়োজন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফার কারনে তাকে বলা হতো আধুনিক রাজনীতির স্থপতি। বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ বলতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া। গণমানুষের দলে পরিনত হওয়া। খুব অল্প সময়ে, মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে বিএনপির সঙ্গে মানুষের যে একটা গণমানুষের সম্পর্ক সেটি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেজা দিয়া আপোষহীন নেত্রী ছিলেন বলেই পরবর্তিতে তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়েছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটি ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি (ভার্চুয়ালী) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিশেষ অতিথি (ভাচুয়ালী) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষক বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জমিউল্লাহ, প্রশিক্ষক লক্ষীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক, বিএনপির যুগ্ম মহাসিচব ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হিরা, রংপুর বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নেওয়াজ হালিমা আরলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মো: আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন, এস,এম মজিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি মো: শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: আব্দুল হামিদসহ জেলা বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবকদল, যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপির সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রায় ৭ শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন। |