 / রাজনীতি / অন্যায় প্রতিহতের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে - সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
অন্যায় প্রতিহতের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে - সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
নতুন বার্তা, ঢাকা:
Published : Friday, 25 April, 2025 at 11:42 PM
|
 বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, অন্যায় প্রতিহতের মাধ্যমে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলবেই। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতির মত জঘন্য অন্যায় প্রতিহত করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মানে জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের আয়োজনে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হজ্জ গাইডলাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হজ্জের ময়দানে আল্লাহর রাজত্বে কাউকে শরিক না করার ঘোষণাদানকারী জমিনে মানুষের তৈরি আইন মেনে নিতে পারে না উল্লেখ করে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, হজ্জ পালনের মাধ্যমে নিজের অতিতের ভুলত্রুটি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে পরিশুদ্ধতায় গড়ে তুলতে হয়। কেউ হজ্জ পালন করার পর আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন ব্যতিত অন্য কোন আইন মেনে নিতে পারে না। মানুষের তৈরি আইন অনুসরণ করা কিংবা মানুষকে নেতা হিসেবে মেনে তার আদর্শ অনুসরণ করা এবং বাস্তবরূপ দেওয়ার চেষ্টা করার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর সাথে অন্যকে শরিক করা। যারা মানুষের তৈরি মতবাদে বিশ্বাস করবে এবং অনুসরণ করবে তারা শিরকে লিপ্ত হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, হজ্জ সবার ভাগ্যে থাকে না। হজ্জ পালনকারী আল্লাহর সম্মানিত মেহমান। যারা আল্লাহর মেহমান তারা আল্লাহর রাজত্ব কায়েমের সৈনিক। জীবন ও মৃত্যু আল্লাহর জন্য এটা স্বীকার ও বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহ বলেছেন, তোমরা কুরআনের কিছু অংশ মানবে কিছু অংশ মানবে না?- তাহলে দুনিয়াতে লাঞ্ছিত এবং পরকালের কঠোর শাস্তির জন্য তৈরি হও। তাই লাঞ্ছিত এবং কঠোর শাস্তি থেকে বাঁচতে পুরো কুরআনকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে মেনে নিতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা ইজ্জত উল্লাহ বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যেই যোগ্যতা দরকার সেই যোগ্যতা হজ্জের শিক্ষায় বিদ্যমান। একজন হজ্জ যাত্রী আল্লাহ বাঁচাই করা ব্যক্তি। যারা আল্লাহর ঘরের মেহমান তারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন ব্যতিত অন্য কোন আইনে সমথর্ন দিতে পারে না। অনুসরণ করতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির বলেন, অতিতে আল্লাহর ঘরের সম্মানতি মেহমানদের নিয়ে এই জাতীয় আয়োজন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ করতে দেয়নি। জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর ঘরের সম্মানিত মেহমানদের নিয়ে গোপনে এই কর্মশালা পরিচালনা করতে হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর আল্লাহ আমাদেরকে প্রকাশ্যে হজ্জ গাইডলাইন কর্মশালার সুযোগ করে দিয়েছে। এই কর্মশালার মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, হজ্জ পালনের পরিপূর্ণ নিয়মকানুন জানা ও শেখা এবং হজ্জের শিক্ষা পরবর্তী জীবনে কাজে লাগানো। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ইসলামের মৌলিক ৫টি বিষয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একামতে দ্বীন বিজয় করা। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় যাকাত সঠিকভাবে আদায় করা হচ্ছে না। নামাজ কায়েম হচ্ছে না। সমাজে শৃংঙ্খলা বিণষ্ট হচ্ছে। ইসলামী সমাজ বিনির্মানের মাধ্যমে সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রেখে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, ৪ হাজার বছর পূর্বে হজ্জের সূচনা শুরু হয়। হজ্জ পালনে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করার অর্থ হচ্ছে হজ্জ পালনের পর আমি আর শয়তানের চক্রান্তে লিপ্ত হবো না। হজ্জ পালনকারী মানুষের তৈরি আইনে সমথর্ন দিতে পারে না। আল্লাহর রাসূল ব্যতিত অন্য কাউকে নেতা মানতে পারে না। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন ব্যতিত অন্য কোন আইন বাস্তবায়ন করতে দিতে পারে না। একমাত্র কুরআন কে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুসরণ করাই হচ্ছে হজ্জের শিক্ষা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। কর্মশালায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হজ্জ যাত্রী মাওলানা জামাল উদ্দিন, ড. মাকসুদুর রহমান। হজ্জ যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মেডিকেল বিভাগের সভাপতি ডা. আতিউর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে জননেতা মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, হজ্জ ব্যবস্থাপনা কিছুটা সহজ ও খরচ কমানোর জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আন্তরিকতা থাকলে হজ্জ যাত্রীর বিমান ভাড়া সহ সার্বিক খরচ আরো কমানো যায়। আগামীতে হজ্জ যাত্রীদের জন্য নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্য সেবা ও সুনিবিড় তত্ত্বাবধানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সহজ করতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় তিনি হজ্জ পালনের মাধ্যমে পাপ মক্ত হয়ে পরবর্তী জীবন আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিচালিত করতে হজ্জ যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান। |
