![]() ‘বিলাসী জীবন’ বিতর্ক: রাজনীতিকে ছোট করার চেষ্টা?
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() অভিযোগ উঠেছে, রাজনীতির মাঠে দিশেহারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা যখন গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, ঠিক তখন কেন্দ্রীয় নেতারা বিদেশে ‘আয়েশি’ জীবন-যাপন করছেন। তৃণমূল ও দেশের সুধীসমাজের অনেকে এমন অভিযোগ করলেও বাস্তবে দূর-পরবাসে তারা কি ‘বিলাসী’ জীবন-যাপন করছেন? বিষয়টি জানতে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে বিদেশে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানতে চাওয়া হয় তাদের প্রবাস জীবনের বাস্তব কাহিনি। ভারত ও যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা বিদেশে অবস্থান কিংবা আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি ‘আয়েশি জীবন-যাপন’ বলতে নারাজ। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজ জন্মস্থান, বাড়িঘর ও আত্মীয়-স্বজন ছাড়া নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন বলে জানান। আলো-ঝলমলে, বর্ণিল আর চাকচিক্যময় শহরে অবস্থান করলেও মনে তাদের শান্তি নেই। দেশের পরিস্থিতি ও মব জাস্টিস থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একপ্রকার পালিয়ে বিদেশে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হন না— এমনটি জানিয়ে কেউ কেউ বলেন, প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের নিমন্ত্রণ করেন। এর মধ্যে দলীয় কর্মসূচিও থাকে। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও তারা সেগুলোতে যোগ দেন। ‘বিদেশে বসে বিলাসী জীবন-যাপন’ করছেন আওয়ামী লীগের পলাতক সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় অনেক নেতা। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিষয়টি তারা ‘অবগত’ জানিয়ে ওই নেতারা বলেন, “পরিস্থিতি বিবেচনায় সমালোচনা করাটা স্বাভাবিক। তবে, এখানে অপপ্রচারের মাধ্যমে বিরাজনীতিকরণের প্রয়াস চলছে। ‘বিলাসী জীবন’ বিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে ‘রাজনীতিকে ছোট’ করার হীন ষড়যন্ত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা দেশের সার্বিক গণতন্ত্র বিনষ্ট করবে।” আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি দেশের মানুষের জন্য। আমাদের যে কমিটমেন্ট, সেটা সবসময় দেশের জনগণকে ঘিরে। একজন মানুষ কখন দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়? ৫ আগস্টের পর দেশে কী অবস্থা ছিল, কী পরিস্থিতি ছিল? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। মব জাস্টিসের শিকার হয়েছে। তখন বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন আওয়ামী লীগসহ আমাদের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শুধু আমরা নই, আওয়ামী লীগের সমর্থক প্রকৌশলী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী— সবাইকে জীবন বাঁচাতে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ কেউ দেশের বাইরে যেতে সামর্থ্য হন। এছাড়া উপায় কী ছিল?’ ‘প্রবাসে এখন দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছি। সেটা নিয়েও পরিহাস করা হচ্ছে। ভিন্নভাবে মানুষের কাছে অপপ্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রতারণা করার মতোই মনে করি আমরা।’ সম্প্রতি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের ছেলে ফাইয়াজ রহমানের বিয়ের অনুষ্ঠানে দলটির অন্তত চার সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে দেখা যায়। লন্ডনের ওটু এলাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ওই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। বিয়েতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবও ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের আয়োজনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সর্বত্র। বাদ যাননি দেশে থাকা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতৃত্বও। দলটির নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিদেশে অবস্থান নেওয়া নেতাদের বিলাসী জীবন-যাপনের ব্যাপক সমালোচনা করেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা কষ্টে আছেন, তারা সমালোচনা করতেই পারেন। তবে, আমি যদি সেই শহরে থাকতাম, আমি সেখানে যেতাম না। কারণ, এসব অনুষ্ঠানে গেলে ছবি তোলা হবে। তা আবার ভাইরাল হবে। আর দেশের বাইরে থাকা নেতারা যে সুখে আছেন, এমনটা নয়। তারাও কষ্টে আছেন। তাদের নামে অসংখ্য মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলা-হামলার কারণেই তারা বিদেশে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’ ‘বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি গোষ্ঠী আমাদের ওপর মব জাস্টিস পরিচালিত করছে। যেন আমরা রাজনীতির মাঠ ছেড়ে আত্মগোপনে থাকি, রাজপথে যেন সক্রিয় না হই। তারা জানে, আওয়ামী লীগের মাঠের নেতৃবৃন্দকে দমিয়ে রাখা যাবে না। প্রথম প্রথম সফল হলেও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এখন রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হচ্ছেন। সমনে আরও সক্রিয় হবেন এবং আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’ ‘তৃণমূলের শক্তিই আওয়ামী লীগের বড় শক্তি’— উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নির্যাতন, জুলুমের প্রতিরোধ করা হবে। যারা হামলা-মামলা শিকার এবং জেলে যাচ্ছেন, তাদের এবং তাদের পরিবারকে আইনি ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য স্থানীয় সচ্ছল নেতাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। আর আদালতে আমাদের আইনজীবীরা তো নিরাপদ নন। তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন। আমরা রাজনৈতিকভাবে বিপর্যয়ে আছি। তারপরও আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন আছে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। সেই হিসাবে পারিবারিকভাবে কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই পারি। যারা গেছেন তারা তো সেই শহরে ছিলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে নেতাদের যাওয়া নিয়ে সমালোচনা করতে চাইলে সেটা যে-কেউ করতেই পারেন।’ দলীয় সূত্র মতে, ৫ আগস্টের পর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা পাশের দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করছেন। সেখানে ভাড়া বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছেন। কেউ কেউ আয়েশি জীবন-যাপনও করছেন। তবে, বেশির ভাগই নিদারুণ অর্থ কষ্টে আছেন। তারা পারছেন না দেশে আসতে, আবার পারছেন না সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে। কেউ কেউ আবার দেশ থেকে টাকা নিয়ে দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করছেন। জানা গেছে, ভারতে অবস্থানরত নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারা সবচেয়ে বেশি আর্থিক কষ্টে আছেন। ভাড়া করা এক কক্ষে তিন থেকে পাঁচজন অবস্থান করছেন। প্রয়োজন না হলে তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। ভারতে শুধু ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ নন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের থেকে শুরু করে অনেক কেন্দ্রীয় নেতা অবস্থান করছেন। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে তারা আত্মগোপনে আছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী, এমপি এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী আমলা ও কর্মকর্তারা। বিদেশে অবস্থান নেওয়া অনেক নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, যারা দেশে আছেন তারা মনে করছেন পালিয়ে যাওয়া নেতা-কর্মীরা বেশ সুখে আছেন। খাচ্ছেন-দাচ্ছেন, আড্ডা মারছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এককথায় বিলাসিতা করে বেড়াচ্ছেন। অথচ বাস্তবচিত্র ভিন্ন। তারা বলেন, ‘দেশে থাকলে হয়তো গ্রেপ্তার হতাম, নির্যাতনের শিকার হতাম। অথচ আপনজনদের সান্নিধ্যে থাকতাম। সবাই মনে করছেন, আমরা হাজার কোটি টাকার মালিক। অথচ প্রবাসী ভাইদের দয়া-দীক্ষায় আমাদের দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। এখন আর কেউ খোঁজ-খবর নেন না। রাজনীতি করতে গিয়ে বিপদে পড়ে দেশ ছেড়ে এসেছি, কিন্তু আজীবনের জন্য নয়। পরিস্থিতি ভালো হলে চলে আসব।’ তাদের মন্তব্য, বিলাসী জীবন-যাপনের কথা বলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আমাদের আলাদা করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দূরে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে। আপনাদের (তৃণমূলের নেতা-কর্মী) প্রতি আমাদের অনুরোধ, মিথ্যা প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা আপনাদের ভাই, আমাদের প্রতি আস্থা রাখুন। রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক ভুলত্রুটি হয়েছে, সেগুলো শুধরে নিয়ে শিগগিরই আপনাদের কাতারে দাঁড়াব; ফ্যাসিস্ট এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করব। অন্যদিকে, দেশে আত্মগোপনে থাকা একাধিক নেতা বলেন, উড়ে এসে জুড়ে বসার রাজনীতি এখন শেষ। দেশকে এবং দলকে ভালোবাসলে দেশেই থাকতে হবে। বিদেশে বিলাসী জীবন-যাপন করে আবার দেশে এসে বড় পদ ভাগিয়ে নেওয়ার দিন শেষ। এখন যারা মাঠে আছেন তাদের মধ্য থেকে আগামীর নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন করে দল গোছাতে হবে। যারা বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বসে আছেন, তারা কি কোনো কর্মীর খোঁজ নিয়েছেন? কর্মীরা জেলে আর উনারা বিদেশে বসে আনন্দ-ফুর্তি করবেন, এটা আর দেশের নেতারা মেনে নেবেন না। তারা আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘সরকার পতনের পর দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বাড়িছাড়া। মামলা-হামলার ঝুঁকি নিয়েও তারা দেশত্যাগ করেননি। ঈদটাও বাড়িতে করতে পারেননি।’ আওয়ামী লীগ করতে হলে দেশে এসে মাঠে থাকতে হবে— উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘মামলা-গ্রেপ্তার রাজনীতির অংশ। নিজেকে বড় নেতা দাবি করবেন, আবার সংকটের সময় বিদেশে পালিয়ে যাবেন— এমন রাজনীতি আর করা যাবে না। এটা পকেটনীতি। এখন রাজনীতির পরীক্ষা দেওয়ার সময়, যোগ্য হলে পরীক্ষা দিন।’ ৫ আগস্টের পর বিদেশে আশ্রয় নেওয়া নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পটুয়াখালী জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাদল। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতা— যারা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তারা শহরে ঘুরছেন, বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর নেই। যত হামলা-ভাঙচুর আর মামলার আসামি ছাত্রলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা।’ সাত মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের লাইভে বাদল দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তিনিসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কোনো টাকা-পয়সা ইনকাম করতে পারেননি। উল্টো খরচ করেছেন। ৫ আগস্টের পর কেউ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন না। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ভিপি মান্নান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে যারা পরিচালনা করেছেন, সেসব নেতা শহরের বাসা কিংবা ঢাকার ফ্লাটে বসবাস করছেন। অথচ তাদের বসতবাড়িতে একাধিকবার হামলা করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের কী অবস্থা, দেশের মানুষের কী অবস্থা, আইনের শাসনের কী দুরবস্থা..., ঘর থেকে নারীরা, শিশুরা, ছাত্রীরা বের হতে পারেন না। যেখানে শিশুধর্ষণ, নারীধর্ষণ নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। তারা নিজেরা নিজেদের প্রশংসা করছেন। আবার জনগণ নাকি তাদের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার দায়িত্ব দিয়েছেন। এগুলো জনগণের সঙ্গে উপহাস করা ছাড়া কিছুই নয়। পাগলের প্রলাপ মাত্র।’ ‘রাজনীতিবিদদের অসম্মান করা, মানুষের কাছে খাটো করে উপস্থাপন করা জাতির জন্য কখনও মঙ্গল বয়ে আনে না’— উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের কাছে রাজনীতিবিদদের ছোট করে উপস্থাপনের মাধ্যমে যারা বিরাজনীতিকরণের প্রয়াস চালাচ্ছে তারা গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য নয় বরং গণতন্ত্র বিনষ্ট করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় মত্ত বলে মনে করি।’ |