/ বিশেষ / মিরপুরের মাদক সম্রাটের গড ফাদার কাউন্সিলর হাজী রজ্জ্বব হোসেনকে নিয়ে ধোঁয়াশা
মিরপুরের মাদক সম্রাটের গড ফাদার কাউন্সিলর হাজী রজ্জ্বব হোসেনকে নিয়ে ধোঁয়াশা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
মিরপুরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং বর্তমান মাদক বিরোধী অভিযানে ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত মাদক সম্রাট নজুর গড ফাদার হিসেবে পরিচিত মিরপুরের ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী রজ্জ্বব হোসেনকে নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছে তাকে র্যাবে আটক করেছে। কেউ বলছেন, তিনি আটকের ভয়ে দেশেই পালিয়ে আছেন। আবার কেউ বলছেন তিনি থাইল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছেন।
নতুন বার্তা'র নিজস্ব অনুসন্ধানে তার থাইল্যান্ডে পালিয়ে থাকার বিষয়ে সর্বাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঢাকা ১৬ আসনের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেতা ও ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সবচেয়ে কাছের লোক হিসেবে পরিচিত হাজী রজ্জ্বব হোসেন। বাসের হেল্পার থেকে কোটিপতি হওয়া রূপনগর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী রজ্জ্বব হোসেন বিভিন্ন কারণে বারাবরই বিতর্কিত ছিলেন। মিরপুরের ফুটপাত থেকে শুরু করে প্রায় সকল অবৈধ ব্যবসার একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন হাজী রজ্জ্বব হোসেন। রাজধানীর মিরপুরের সবচেয়ে বড় মাদক স্পট চলন্তিকা বস্তির নজুর মাদক স্পট হাজী রজ্জ্বব হোসেনের একক নিয়ন্ত্রনে চলত। এই স্পট থেকে হাজী রজ্জ্বব হোসেনের প্রতি সাপ্তাহে আয় কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা ছিল বলে শুনা যায়। পুলিশ নজুর স্পটে অভিযান চালানোর আগে যাতে নজুকে খবর দিতে পারেন সেই জন্য হাজী রজ্জ্বব হোসেন নিজ উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন নজুর স্পটে যাওয়ার পথেই। ফলে পুলিশ কোন অভিযানেই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারেনি। এই অবস্থায় শীর্ষ একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরপরই পুলিশ কাউন্সিলর কার্যালয়ে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নেয়। এই সময় অনেকটা বাধ্য হয়ে ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা হাজি রজ্জ্বব হোসেনকে সাথে নিয়ে নজুর মাদক স্পট উচ্ছেদ করেন। সেই সময় ঘোষনা দিয়েই এই মাদক স্পট উচ্ছেদ করা হয়। ফলে নজু তার মাদক দ্রব্য নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সময় পায়। পরবর্তীতে সারা দেশে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হলে নজু ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এই সময় ধারনা করা হয়, নজু গ্রেফতারের পরপরই হাজী রজ্জ্বব হোসেনকে নিয়ে বিস্তারিত ডিবি পুলিশকে জানায়। ফলে নজু নিহত হওয়ার সংবাদ শুনেই গা ঢাকা দেয় হাজী রজ্জ্বব হোসেন। এই সময় র্যাবে অভিযানে হাজী রজ্জ্ববের অফিস থেকে তার একাধিক লোক গ্রেফতার হয় বলে শুনা যায়। অনেকে বলছে তারা নিজেরা দেখেছে হাজী রজ্জ্ববকে এই সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার অনেকে বলছে তাকে দুপুর তিনটায় কিভাবে গ্রেফতার করা সম্ভব? তিনি সকাল ১১টায় এয়ারপোর্ট চলে গেছেন। আবার অনেকে বলছেন, তিনি র্যাবে উপস্থিতি টের পেয়েই পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু, সঠিক কোন তথ্য কেউ খোলাসা করছেন না। তবে নতুন বার্তা'র কাছে স্থানীয় শীর্ষ যুবলীগ নেতা ও হাজী রজ্জ্বব হোসেনের খুব কাছের একজন নিশ্চিত করেছেন হাজী রজ্জ্বব হোসেন গ্রেফতার হননি। বরং, তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। এছাড়াও নতুন বার্তা'র নিজস্ব সোর্স তার খুব কাছের কয়েকজনের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। মাদক বিরোধী অভিযান একটা শান্ত হলেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। এই বিষয়ে নাম প্রকাশ করে বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার কাউকে পাওয়া যায়নি। হাজী রজ্জ্বব হোসেনের পরিবারের সবার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গিয়েছে। |