![]() ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার
নতুন বার্তা, কক্সবাজার:
|
![]() এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিসহ সংশ্লিষ্টরা। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজান শেষে ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা বিপুলসংখ্যক পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার। ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল, গেস্ট-হাউস ও রেস্টুরেন্টগুলো নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তোলা হয়েছে নতুন নতুন পণ্য। হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঈদে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা সাড়া দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় হোটেল-মোটেলের ৬০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। অধিকাংশ হোটেলে ৫ ও ৬ মে পর্যন্ত শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। কলাতলীর ‘স্বপ্নালয়’ স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের ইনচার্জ কুতুব উদ্দীন জানান, তাদের হোটেলে ৬০টি কক্ষের (ফ্ল্যাট) মধ্যে ৫ ও ৬ মে শতভাগ বুকিং হয়েছে। এর আগে-পরে হয়েছে ৬০ শতাংশের মতো বুকিং। গ্র্যান্ড সেন্ডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান বলেন, ঈদের পর যেহেতু ঝড়-বৃষ্টি আশঙ্কা নেই তাই অনেক পর্যটক সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে হোটেলের কক্ষ বুকিং চলছে। ইতিমধ্যে ৬০-৭০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। আশা করছি, পুরো ছুটির সময়ে সব কক্ষ ভাড়া হবে। রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, রমজানে পর্যটন জোনের রেস্টুরেন্টগুলো ৮০ শতাংশের মতো বন্ধ রয়েছে। বন্ধের এ সময়ে হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো নতুন করে মেরামত ও সাজ-সজ্জা করা হয়েছে। আশা করছি, ঈদের লম্বা ছুটিতে ভালো ব্যবসা হবে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদের ছুটিতে যে পর্যটক সমাগম হবে পরে দীর্ঘ সময় তা আর হবে না। কারণ, তীব্র গরমের পর নেমে আসবে বর্ষা। তখন পর্যটন ব্যবসা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে। তাই ঈদের ছুটিটাই প্রধান লক্ষ্য পর্যটন ব্যবসায়ীদের। সেভাবে সবাই প্রস্তুত রয়েছে। আশা করছি, ভালো একটা ব্যবসা হবে। লাবণী পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ বলেন, পুরো রমজান মাসে সৈকত এলাকার পর্যটন পণ্যের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। এ সময় কোনো কালেকশন ছিলো না। তবে ঈদকে সামনে রেখে দোকানগুলোতে প্রচুর কালেকশন তোলা হয়েছে। তবে সম্প্রতি কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শহরে ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রব বেশ বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো ধরনের ঘাটতি থাকবে না। ইতিমধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করার ছক করা হয়েছে। সে মোতাবেক পুরো পর্যটন এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। |