/ পরামর্শ / ধরে রাখতে হবে পোশাক শিল্পের অগ্রগতি
ধরে রাখতে হবে পোশাক শিল্পের অগ্রগতি
রায়হান আহমেদ তপাদার:
|
সুদিন ফিরছে দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পে পোশাকের অর্ডার বৃদ্ধির সঙ্গে দাম বাড়াতেও রাজি হয়েছে, বিদেশি বড় ক্রেতারা পাশাপাশি গত কয়েক মাস থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান প্রধান ক্রেতা দেশে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে-শুধু তাই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতের মতো নতুন দেশের বাজারেও পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮০ শতাংশের ওপরে পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকার করোনা-পরবর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় ক্রেতা দেশগুলো থেকে এখন পোশাক রফতানির কার্যাদেশ আসছে ব্যাপক হারে। এছাড়া করোনাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক দেশের তুলনায় পোশাক রফতানিতে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। গত ত্রিশ বছরে তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির রুপ বদলে দিয়েছে। বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে বর্তমানে চীন এবং ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বাংলাদেশের সর্বমোট ২৫ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে এককভাবে শতকরা ৮০ভাগ অর্জনের পাশাপাশি গার্মেন্টস খাত প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখের বেশি দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। আশার কথা হল, এ ৪০ লাখ দরিদ্র মানুষের মধ্যে ৮০% নারী শ্রমিক। নারীর ক্ষমতায়ণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গার্মেন্টস খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এছাড়াও গার্মেন্টস শিল্পে পরোক্ষভাবে আরও প্রায় ২ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য যে, মোট দেশজ আয়ের ১৬.৫% আসে এই গার্মেন্টস শিল্প থেকে । বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত প্রতিষ্ঠান পাওয়র পর যখন আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের কদর বেড়েছে তখন পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশ নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের পোশাক খাতকে অস্থির করে তোলার পায়তাঁরা করছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে। তাই এই শিল্প খাতের অগ্রযাত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে খুবই সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে।
আমাদের থেমে গেলে চলবে না। যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ, তা ধরে রাখাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সব ক্ষেত্রেই উন্নতির দিকে এগুচ্ছি। যেমন: রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়ন, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রেই ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এসবই হয়েছে গত ৫০ বছরের মধ্যে। এপথ ছিল বন্ধুর ও পিচ্ছিল ছিল আরও অনেক বাধাও। সব বাধা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। নিম্ন, নিম্ন-মধ্যম ও মধ্যম আয়ের দেশের গণ্ডি পার হয়ে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার অপেক্ষায় দেশ। দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করতে পারে এমন সুচিন্তিত পরিকল্পনার কথা প্রথম বলেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প যাত্রা শুরু করে ষাটের দশকে। তবে সত্তরের দশকের শেষের দিকে রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে এই শিল্পের উন্নয়ন ঘটতে থাকে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী শিল্পখাত। স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশ। এই সময়কালে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সাফল্যের কথা অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বার বার সামনে এসেছে। বিশ্ববাজারে পোশাক কেনার গতি করোনাকালে কিছুটা স্থবির হলেও পরবর্তীতে এর ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি নতুন নতুন বাজার তৈরি হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের ঘুরে দাঁড়ানো এবং রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধির খবর প্রায়ই ফলাও করে ছাপা হচ্ছে পত্রিকায়। সামপ্রতিক সময়ে পোশাক খাতের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিকে আরও বড় চমক। যদিও করোনাকালে দুর্দিনে পড়েছিল পোশাক খাত। সেখান থেকে ঘুরে দঁড়ানোর গল্প খুব সহজ ছিল না। এসময় প্রায় ৩ লাখ শ্রমিক কাজ হারিয়েছিলেন। বন্ধ হয়েছিল বহু কারখানা। শ্রমিকদের বেতন-বোনাস, লে-অফ, ছাঁটাই, বেতন না পাওয়া ছিল সেই সময়ের বৈশিষ্ট্য। ওই সময় বাতিল হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার। কিন্ত পরিস্থিতি কিছুটা সামলে উঠলে বড় অংশের অর্ডার ফেরতও আসে। কাজহারা শ্রমিকরাও অনেকে ফেরত পান কাজ। করোনা সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত। বাড়ছে রপ্তানি আয়। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের কারণে চিন্তিত ছিলেন পোশাক মালিকরা। মাঝে সংক্রমণ কমলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাকের ক্রয়াদেশ থেমে গিয়েছিল। যদিও রপ্তানিতে এর প্রভাব তেমন পড়েনি। বরং এরইমধ্যে শঙ্কা কাটিয়ে উঠেছে দেশের রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাতটি। শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে আগামীতে আরও বিপুল পোশাক রপ্তানির হাতছানি দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশকে তাদের ভালো সোর্সিং হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি আরও বাড়ানোর কথা বলছেন। একইসঙ্গে পোশাক রপ্তানি বাজারে চীনের একক আধিপত্যও যখন কমছে, তখন বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার মাধ্যমে ক্রেতাদের বাংলাদেশমুখী করতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।গত কয়েক বছরে কমপ্লায়েন্সের মানদণ্ডে বাংলাদেশের যে বিপুল অগ্রগতি হয়েছে, সে তথ্য এখনো বিশ্বের পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের কাছে সঠিকভাবে যাচ্ছে না। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি কিংবা তার পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশের পোশাক খাতের চিত্র এখনো তাদের মনে গেঁথে আছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দরাদরিতে এখনো পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের পোশাক খাতের ইতিবাচক দিক বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে বিশ্বের পোশাক খাতের ব্র্যান্ড, বায়ার, ফ্যাশন জায়ান্টসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের পোশাক খাতের অগ্রগতি, উচ্চ মূল্যের পোশাক তৈরিতে সক্ষমতার চিত্র বিশ্ববাজারে সঠিকভাবে তুলে ধরা গেলে দরের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ আরও ভালো অবস্থানে থাকতে পারবে। বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রকৃত চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও ব্র্যান্ডিং করতে হবে। স্বাধীনতার ৫১ বছরে জাতি হিসেবে আমাদের অর্জন এবং গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। এবং আমাদের পোশাক রপ্তানি আরও বাড়াতে সক্ষমতার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে বিশ্বে একটি নিরাপদ, টেকসই এবং প্রতিযোগিতামূলক শিল্প হিসেবে অবস্থান শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৩৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ শতাংশ। অর্থবছর শেষে আমাদের রপ্তানি ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। ২০২০ সালে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাকের শেয়ার ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ। চলতি বছরে তা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ অতিক্রম করবে। আর ২০২৫ সাল নাগাদ এই শেয়ার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে সবার প্রত্যাশা। তাই এখন আমাদের প্রবৃদ্ধির পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার সময় এসেছে। আমাদের অগ্রগতি এবং সম্ভাবনাগুলো পাশ্চাত্যের কাছে আমাদেরকে অন্যতম সাসটেইনেবল সোর্সিং পার্টনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং এই অবস্থান ধরে রাখতে বাংলাদেশকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। করোনার সময় যখন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা ছুটিতে ছিলেন, তখন শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন। প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক বর্তমানে পোশাক খাতে নিয়োজিত আছেন। পরোক্ষভাবে যুক্ত আরও ১০ লাখ। এদের পরিবারের সংখ্যা ধরলে মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই এখানে যুক্ত। বাংলাদেশের রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৩১.৪৫ বিলিয়ন ডলারের। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এ খাত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ তা ৪২ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া পোশাকের মূল রপ্তানিকারক চীন ধীরে ধীরে পোশাক রপ্তানি থেকে বেরিয়ে আসায় বাংলাদেশের সামনে আগামী দিন গুলোতে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে যে খাত একসময় প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল এখন সে খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বে তৈরি পোশাকের একক বাজার চীনের দখলে থাকলেও দেশটি এখন প্রযুক্তির দিকে মনোনিবেশ করছে। বাংলাদেশ যদি চীনের এ বাজার থেকে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ দখলে নিতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার হতে পারে দ্বিগুণের বেশি। ‘টুওয়ার্ডস নিউ সোর্সেস অব কম্পিটিটিভনেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে চীন পোশাক রপ্তানিতে প্রথম এবং রপ্তানি বাজারের ৪০ ভাগ তাদের দখলে। বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় হলেও মোট বাজারের মাত্র ৫ ভাগের কিছু বেশি বাংলাদেশের দখলে। বাংলাদেশ গত বছর মোট ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশের এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শ্রমিকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ ও তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করি তৈরি পোশাক খাতের সব ধরনের সমস্যা, সংকট ও সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং বিশ্ববাজারে গ্রহণযোগ্য আসন তৈরি করবে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আরো প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে। এ কাজে সরাসরি উপকৃত হতে পারে প্রায় ৫৪ লাখ মানুষ। রপ্তানির পরিমাণ বাড়তে পারে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। আমাদের মনে রাখতে হবে,আন্তর্জাতিক বাজারে এ শিল্পের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।একসময় যেসব রপ্তানি আদেশ বাংলাদেশ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছিল তা আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এর আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ রপ্তানি আদেশ ফিরিয়ে নিয়েছিল বিদেশি ক্রেতারা। সবার আগে পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ ঠিক করার পাশাপাশি শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, দিতে হবে শ্রমিকদের সঠিক নিরাপত্তা। কারখানায় সঠিক পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি সরকারকে গ্যাস, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেও উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে উৎপাদন ব্যাহত হবে।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টরে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে সাভারের রানা প্লাজায়। এ বিপর্যয়ের ফলে ১ হাজার ১২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং যে আড়াই হাজার মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের বিপুল অংশ পঙ্গু হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে তৈরি পোশাক খাত যাতে ওই ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে না পড়ে সেদিকেও সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নজর দিতে হবে।কারখানার মালিকরা যাতে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন সরকারকে সে ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের অসন্তোষ দেখা দিলে সরকারের পক্ষে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে সুখকর নয়। আমাদের এ শিল্পে কর্মপরিবেশ ঠিক রাখতে হবে। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট |