/ সারাদেশ / কুষ্টিয়ায় অনলাইন জুয়ায় আসক্ত যুবকের অপহরণ নাটক
কুষ্টিয়ায় অনলাইন জুয়ায় আসক্ত যুবকের অপহরণ নাটক
সুজন কুমার কর্মকার,কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
|
কুষ্টিয়ায় অনলাইন জুয়ায় আসক্ত যুবক অপহরনের নাটক সাজিয়ে পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপনের টাকা চাওয়ার পর র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে। ২৫ অক্টোবর গত মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া মজমপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১২ সিপি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্প। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার সময় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারকৃত যুবক মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন মহেশপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোঃ তাকহীমূল আলম নিশান (২২)। সে মাগুরা সরকারি কলেজের বোটানী বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র। র্যাব সুত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখ রাতে যশোর সদর উপজেলার পালবাড়ি এলাকা থেকে তাফহীমুল আলম নিশান নিখোঁজ হয়।পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ১২ টার সময় নিখোঁজ তাফহীমুল আলম নিশান এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার পিতাকে মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হয় যে, তার ছেলে তাফহীমুল আলম নিশানকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ছেলেকে জীবিত ফিরে পেতে চাইলে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য তার পিতাকে একটি নগদ একাউন্ট নাম্বার দেওয়া হয়। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তার পিতা যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেন। যার জিডি নং- ১৩৮১, তারিখ- ২৪/১০/২০২২। নিখোঁজ যুবক তাফহীমুল আলম নিশানকে উদ্ধারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর একটি আভিযানিক দল নিখোঁজ যুবকের পিতার নিকট পাঠানো নগদ এজেন্ট এর মজমপুর এলাকায় অবস্থিত দোকানের আশেপাশে অবস্থান নেয় এবং ২৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখ দুপুর ১২ টার সময় তার পিতাকে পাঠানো টাকা উত্তোলনের সময় তাফহীমুল আলম নিশানকে আটক করা হয়। র্যাব আরও জানায়, লেখাপড়ার পাশাপাশি সে তার পিতার কর্মস্থল যশোর শহরে মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবসা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবত অনলাইন জুয়ায় আসক্ত গেমস খেলে আসছে। নিখোজ হওয়ার আগেরদিন সে তার পিতার নিকট হতে অনলাইন জুয়ায় লগ্নি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কথা বলে ৫০,০০০ টাকা নেয়। কিন্তু উক্ত টাকা সে হারিয়ে ফেলে। এরপর সে তার বাবার ভয়ে উক্ত হারানো টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য নিজেই অপহৃত হওয়ার পরিকল্পনা করে এবং যশোর হতে কুষ্টিয়া শহরে এসে একটি আবাসিক হোটেলে উঠে। |