/ শিল্প ও সাহিত্য / একুশে বইমেলায় সাড়া ফেলেছে এম মিরাজ হোসেনের ‘তবু ফুল ফুটুক’ এবং ‘ব্যাখ্যাতীত’
একুশে বইমেলায় সাড়া ফেলেছে এম মিরাজ হোসেনের ‘তবু ফুল ফুটুক’ এবং ‘ব্যাখ্যাতীত’
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
এবারের একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে লেখক এম মিরাজ হোসেন এর চতুর্থ উপন্যাস ‘তবু ফুল ফুটুক’। গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত এই উপন্যাসটি ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বয়সের পাঠক প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নওরোজ কিতাবিস্তানের স্টলে।
বইটি সম্পর্কে লেখক এম মিরাজ হোসেন জানান, “তবু ফুল ফুটুক বইটি একটি সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে রচিত। প্রত্যন্ত একটি গ্রাম রসুলপুরের একটি পরিবারের সাথে ঘটতে থাকা অদ্ভুত, নিদারূন এক গল্পকথা ‘তবু ফুল ফুটুক’। এই গল্পকথায় উঠে এসেছে ভালোবাসা ও সংসারের বিভিন্ন টানাপোড়ন। বইটি প্রায় সব বয়সী পাঠকেরা পছন্দ করছে। যদিও এবারের বইয়ের বাজার বেশ চড়া তারপরেও বইটি বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। ইতিমধ্যে বইটির দ্বিতীয় মূদ্রন শেষ হয়ে তৃতীয় মূদ্রন চলছে। নতুন বইয়ের পাশাপাশি আমার গতবছরের ‘ব্যাখ্যাতীত’ বইটিও ভালো বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে এর তৃতীয় মূদ্রন শেষ হয়ে চতুর্থ মূদ্রন চলছে।“ উল্লেখ্য, গত বছর বইমেলায় এম মিরাজ হোসেন এর দ্বিতীয় বই “আপন নামা” নওরোজ কিতাবিস্তানের সর্বোচ্চ বিক্রীত বই এবং একুশে বইমেলা – ২০২২ এর অন্যতম সেরা বিক্রীত বই ঘোষিত হয়েছিলো। তার প্রতিটি বই ভিন্ন ভিন্ন ঘরনার। এ ব্যাপারে লেখক এম মিরাজ হোসেন জানান, “আমি কখনো গল্প তৈরী করি না। প্রতিটা মানুষের জীবনেই কিছু বিচিত্র ঘটনা থাকে। আমি কেবল আমার দেখা-জানা সেসব ঘটনাগুলোকে লেখায় প্রকাশ করি। আমার লেখাগুলো আমার জীবনের সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পৃক্ত।“ এম মিরাজ হোসেন মূলত একজন ব্যবসায়ী। সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা থেকে ব্যস্ত সময়ের মাঝে লেখালেখি করেন। পাঠক মহলে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি তিনি অর্জন করেছেন বেশ কিছু দেশি ও বিদেশি পুরস্কার। সাহিত্যকর্মে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য গতবছর তিনি পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ থেকে ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণপদক এবং আসামে মানব বিকাশ পরিষদ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। উপন্যাস রচনার পাশাপাশি তিনি তার ফেসবুকে “অনুগল্প” নামে নিয়মিত ছোটগল্প লিখে থাকেন যেগুলো পাঠক মহলে বেশ নন্দিত। পাঠকমহলে তার বই এবং লেখার জনপ্রিয়তা এবং প্রত্যাশা দিন দিন বাড়ছে। পাঠকদের ভালোবাসার প্রতি সম্মান রেখে সামনের দিনগুলোতে তিনি লেখা-লিখির পিছনে আরো মনোনিবেশ করতে চান। তিনি আহ্ববান জানান সবাইকে বেশি বেশি বাংলা বই পড়তে। |