আজ শনিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / দেশ শাসনে আয়নাঘর এক বিরল দৃষ্টান্ত
দেশ শাসনে আয়নাঘর এক বিরল দৃষ্টান্ত
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Saturday, 31 August, 2024 at 10:39 PM
দেশ শাসনে আয়নাঘর এক বিরল দৃষ্টান্তকোন দেশ শাসনে আয়নাঘর লাগে এটা অনেকের জানা থাকলেও আমার জানা ছিল না। বলতে পারেন এটা আমার কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা। যা আমাকে কিছু লিখতে বাধ্য করেছে। আয়নাঘর নামটা খুবই সুন্দর। মনে হতে পারে আয়নায় মোড়া যেন রূপকথার কোনও জায়গা কিন্তু, এই রূপকথাসূলভ নামের আড়ালে লুকিয়ে আছে গুম, অত্যাচার, বিনা বিচারের বছরের পর বছর আটকে রাখার ভয়ানক কাহিনি। হাসিনার আমলে, সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিরোধী, সমাজকর্মী, আইনজীবী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সেনাকর্তা থেকে শুরু করে, বহু মানুষকে গুম করা হয়েছে। বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে এখানে। আসলে, আয়নাঘর হল বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দফতর বা ডিজিএফআই-এর আওতাধীন এক গুপ্ত গুম ঘর।গুপ্ত গুম ঘরেটির কোডনেম ছিল আয়নাঘর।কীভাবে এই কোডনেম এল তা স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা অনেক প্রচেষ্টা করেছিলেন। গত পনেরো বছরের বেশি সময় দেশের মাথা পিছু আয়ের ব্যাপক বৃদ্ধিতে স্পষ্ট, তাঁর সেই চেষ্টা কাজেও দিয়েছিল। সেই সঙ্গে হাসিনা জোর দিয়েছিলেন পরিকাঠামো উন্নয়নে কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযোগ ছিল, তিনি স্বৈরাচারী। কোনও ধরনের বিরোধিতা তিনি সহ্য করতে পারতেন না।তাঁর আমলে,সাংবাদিক,রাজনৈতিক বিরোধী, সমাজকর্মী, আইনজীবী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সেনাকর্তা থেকে শুরু করে, বহু মানুষকে গুম করা হয়েছে।বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে বলে,অভিযোগ ছিল। ঢাকার মানবাধিকার সংগঠন, অধিকার-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত, বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদতে, সেই দেশে প্রায় ৩৪৪ জন ব্যক্তিকে গুম করা হয়েছিল। পরে, তাদের মধ্যে ৪০ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সরকারি হেফাজতে পাওয়া গিয়েছিল ৬৬ জনকে। আরও ২০৩ জন ছিলেন নিখোঁজ। তাঁরা কোথায়,কেউ জানত না। 

এদের অনেকেই আয়নাঘরে বন্দি ছিল বলে মনে করা হয়। বিচার বহির্ভূতভাবে আটকে রাখা এবং হত্যার এই সকল ঘটনা নিয়ে, সময়ে সময়ে হাসিনা সরকারের নিন্দা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে’র মতো বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। ১০ বছর ধরে আটক থাকা ৮৬ জনের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই আয়নাঘরের অস্তিত্বর কথাও কেউ জানত না। ২০২২ সালে, নেত্র নিউজ নামে সুইডেনের এক সংবাদ সংস্থা এবং জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়চেভেল,পৃথক পৃথক ভাবে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দফতরের এই গোপন বন্দিশালা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাদেরকেই বলা যায় আয়নাঘরের ‘হুইশল ব্লোয়ার’। আজ পর্যন্ত খুব কম বন্দিই আয়নাঘর থেকে মুক্তি পেয়েছে। সামান্য কিছু বন্দিকে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে, হাসিনা বাংলাদেশে থাকাকালীন, এই মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কারও মুখ খোলার সাহস হয়নি। আরও কড়া শাস্তির ভয়ে তাঁরা মুখ বন্ধ রেখেছিলেন।তবে, নেত্র নিউজের কাছে আয়নাঘরের রহস্য ফাঁস করেছিলেন শেখ মহম্মদ সেলিম এবং হাসিনুর রহমান। যে পরিবহণ ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট কর্নেলের কাহিনি দিয়ে। তাঁদের লেখা থেকেই এই গুপ্ত জেলখানার খুঁটিনাটি জানা গিয়েছিল। জানা গিয়েছিল এর অবস্থান। জানা গিয়েছিল, এই জেলখানায় কীভাবে রাখা হত বন্দিদের। কতটা অত্যাচার করা হত। অত্যাচার ঢাকতেই বা কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেলিম বুঝতে পরেননি আয়নাঘরের অবস্থান। শুধু জানতেন, কাছাকাছি কোনও জায়গায় সারাদিন বিমান ওঠানামা করে। তবে, হাসিনুর রহমান নিজেই সেনায় ছিলেন। ২০১২ সালে, ২৮ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ার পর, তাঁকেই সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকা’র দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছিল। 

এরপর, ২০১৮ সালে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। ডিজিএফআই-এর কাউকে আটক করার আইনি এক্তিয়ার নেই। তাই, ওই পরিচয়েই এই সংস্থার সদস্যরা তাঁকে এক প্রকার গুম করেছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তাঁকে ছেড়ে হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর ঘরের লোক হওয়ায়, আয়নাঘরের অবস্থান তিনি ঠিকই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেতে অবস্থিত ডিজিএফআই সদর দফতর। হাসিনুর ও আরও বিভিন্ন মানুষের বয়ান অনুযায়ী, তার মধ্যেই এক জায়গায় অবস্থিত আয়নাঘর। আমেরিকার ‘ম্যাক্সার স্যাটেলাইট’-এর মাধ্যমে, ঢাকার সেনানিবাসের মধ্যে আয়নাঘর জেলখানার ছবিও দেখা গিয়েছে। সেলিম বা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান আয়না ঘর থেকে মুক্তি পেলেও, বহু মানুষেরই সেই সৌভাগ্য হয়নি। গুম হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে সেলিম জানিয়েছিলেন,তাঁকে যে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরের দেওয়ালে তাঁর আগে ওই ঘরে থাকা বহু মানুষ তাদের নিজেদের কথা লিখে রেখেছিলেন। মাংসের হাড় বা অন্য কোনও ধারাল বস্তু দিয়ে কক্ষের দেওয়ালে তারা অনেক কথাই লিখে ছিলেন। কেউ কেউ ফোন নম্বর লিখে বলেছিলেন, তাঁদের বাড়িতে পারলে একটা খবর দিতে। বলে দিতে, তাঁদের আয়না ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। বলে দিতে, তাঁদের গুম করেছে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ২০০৯ সালেই প্রথম, সেই দেশে এই ধরনের বিচার বহির্ভুতভাবে আটকে রাখা বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাকে এই অগণতান্ত্রিক কাজ করার অধিকার দেওয়া হল? শুধু রাজনৈতিক বিরোধীরাই নন,বাংলাদেশের সুশীল সমাজের বহু মানুষও দাবি করেছেন, আওয়ামি লিগ শাসিত দেশকে বিরোধী শূন্য করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

আর তাই কখনও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকা,কখনও জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গুমকরে দেওয়া হয়েছে অজস্র মানুষকে।আগে যাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে,তারা ছাড়াও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা শিক্ষাবিদ মোবাশার হাসান,প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাইফুল ইসলাম ও ইলিয়াস আলী সহ আরও অসংখ্য মানুষ। এদের অনেককেই মুক্তি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। হাসিনা দেশ ত্যাগের পর,তাঁরা এক এক করে মুখ খুলতে শুরু করছেন মারুফ জামান জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৬ মাস তিনি আয়না ঘরে বন্দি ছিলেন। তাঁর দাবি, আয়নাঘর তৈরি ছিল শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মস্তিষ্ক প্রসূত। অবসরপ্রাপ্ত লে.কর্নেল হাসিনুর রহমানও গুমের ঘটনার মূল হোতা হিসেবে সিদ্দিকের নামই করেছেন। হাসিনার দেশত্যাগের পর আজ আয়না ঘর থেকে একের পর এক বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা নিখোঁজ ছিলেন, তাঁরা ঘরে ফিরেছেন।তবে,তারপরও এখনও বহু মানুষেরই খোঁজ পাওয়া যায়নি।গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা মায়ের ডাক নামে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন। দেশে ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামি লিগ সরকারের শাসনে, যাদেরকে গুম করা হয়েছে, সেই সকল ঘটনা গুলিকে জনসমক্ষে আনাই ছিল তাদের লক্ষ্য। হাসিনা বিদায়ের পর তারা দাবি করেছে,সকল বন্দিদের পাশা পাশি আয়না ঘরের বন্দিদেরও মুক্তি দিতে হবে। এরপরই, রহস্যজনক পরিস্থিতিতে পরপর মুক্তি পান আইনজীবী আহমদ বিন কাসেম আরমান, বরখাস্ত হওয়া বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমি, মাইকেল চাকমারা। হাসিনা বিদায়ের পরই ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেতে, ডিজিএফআই সদর দফতরের সামনে মানববন্ধন করেছিল মায়ের ডাক।

দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়নাঘরের অনেকেই এনকাউন্টারের শিকার হয়েছেন। হাসিনার শাসনে এই জাতীয় ঘটনার কোনও তদন্ত হয়নি বললেই চলে। আয়নাঘরে বন্দি অনেকেরই আবার দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে বলেও শোনা যায়। তারপর তাদের লাশ সেখান থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে সরিয়ে দেওয়া হত। কেউ জানতেও পারত না। কারণ যাদের আটক করা হত, খাতায় কলমে তাদের কোনও তথ্য রাখা হত না। হাসিনার আস্থাভাজন- রাই এই আয়নাঘরের দায়িত্বে থাকতেন। কাজেই কোনও কথা বেরও হত না। তাই, আয়নাঘর থেকে আর কাউকে নাও পাওয়া যেতে পারে। অবশ্য মনে করা হয়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দাদের এই একটিই নয়, দেশ জুড়ে অন্তত ২৩টি এই ধরনের গোপন গুমখানা আছে। সেগুলিতেও থাকতে পারেন কেউ কেউ। হাসিনার পতনের পর আয়নাঘর আবার আলোচনায় উঠে এসেছে।সেখান থেকে ইতোপূর্বে তিনজন বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। সম্প্রতি রাজধানীর কচুক্ষেতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া মানুষের খোঁজে ভিড় জমাচ্ছেন স্বজনরা। ভারতের জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়নাঘর শুনতে যতটা সাদামাটা ততটাই রহস্যময়। শেখ হাসিনার আমলে তৈরি এই আয়নাঘরেই রাখা হতো গুম করে রাখা মানুষদেরকে। শেখ হাসিনার আমলে বিরোধীদলের বহু নেতাকর্মী নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা কোথায় তাদের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সেনাবাহিনীর লোকজন রয়েছেন ওই তালিকায়। আয়নাঘর আসলে গোয়েন্দাদের একটি গোপন বন্দিশালা বা ডিটেনশন ক্যাম্প। আনন্দো বাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়নাঘর অর্থাত গুমখানা। হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে মোট ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে নিখোঁজ হন ৪০২ জন মানুষ।

এ তথ্যটি প্রকাশ করে ঢাকা ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অধিকার ২০১৪ থেকে জুলাই ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে ৩৪৪ জন ব্যক্তি গুমের শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জন ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেফতার অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে ২০৩ জন এখনো গুম রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে আসেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌন অবলম্বন করেন। ধারণা করা হয় এসব মানুষদের গুম করে রাখা হয় আয়নাঘরে। আয়নাঘরে যারা বন্দি থেকেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ মোবাশার হাসান,সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়। এছাড়াও আয়নাঘর থেকে সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন বাংলাদেশী ব্যারিস্টার এবং জামায়াতে ইসলামী নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমদ বিন কাসেম, সাবেক সামরিক জেনারেল এবং জামায়াতে ইসলামী নেতা গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আজমি, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফের মুখপাত্র মাইকেল চাকমা।উল্লেখ্য যে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ এসব ঘটনার জন্য জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থা, যেমন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে নিন্দা প্রস্তাব জানানোর পরও শেখ হাসিনা এসব চালানোর সাহস দেখিয়েছেন। যা দেশ ও জাতির জন্য দুঃখের ও লজ্জার। আসলে হাসিনা বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে পারছিলেন না বিধায় রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য তৈরি করেছিলেন আয়না ঘর। যা ছিল রাজনৈতিক বন্দিদের কাছে বিভীষিকাময়। যেখানে মানবিকের চেয়ে অমানবিক শক্তির প্রদর্শন বেশী ছিল। 
এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না বিধায় গণজাগরণ হয়েছে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
 
অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার
অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক ...
ঢাবিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনের পাঁচজনই ছাত্রলীগের
ঢাবিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনের পাঁচজনই ছাত্রলীগের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম (এফএইচ) হলে মোবাইল চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ...
যেভাবে অশান্ত হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম
যেভাবে অশান্ত হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম
অশান্ত চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে দুপক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত ...
জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস
জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন বলে আশা ...
জলাবদ্ধতার কারনে বিদ্যালয় মাঠে আমনের বীজতলা
জলাবদ্ধতার কারনে বিদ্যালয় মাঠে আমনের বীজতলা
অব্যাহত ভারী বর্ষণে সৃষ্ট কৃত্তিম জলাবদ্ধতায় এখনো পানির নীচে ফরিদগঞ্জের ফসলের মাঠ। চলছে আমনের মৌসুম। ঘরে থাকা বীজ ধান নষ্ট ...
৩ ট্রিলিয়ন ডলার হালাল অর্থনীতির সুযোগ: মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসে বাংলাদেশ
৩ ট্রিলিয়ন ডলার হালাল অর্থনীতির সুযোগ: মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসে বাংলাদেশ
আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের বৃহত্তম হালাল শোকেস হিসেবে পরিচিত মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস এর ২০তম আসরে ...
ভারত কীভাবে একযোগে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে?
ভারত কীভাবে একযোগে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে?
একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে আর এক ধাপ এগোল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদিত ...
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে- চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে। ...
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ধুম্রজাল
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ধুম্রজাল
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।  তিনি যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্র‍য় নিয়েছিলেন, তার ...
১০
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
বাঙালি ও পাহাড়িদের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ...
 
জানা গেল কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা
জানা গেল কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা
বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য এখন পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ০১ আগস্ট ২০২৪ থেকে মঙ্গলবার (১৭ ...
সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১২৯৯০২ টাকা
সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১২৯৯০২ টাকা
দেশের বাজারে সোনার দামে বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার ...
বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুতের বকেয়া আদায়ে ভারতীয় সংস্থাগুলো কী করবে?
বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুতের বকেয়া আদায়ে ভারতীয় সংস্থাগুলো কী করবে?
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যেই গোটা দেশ যখন এই মুহুর্তে লোডশেডিং আর তীব্র বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ...
বিশ্বের ‘স্মার্টেস্ট’ শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ধরন ঠিক কেমন?
বিশ্বের ‘স্মার্টেস্ট’ শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ধরন ঠিক কেমন?
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত পরিবর্তন পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। শহরগুলো একটা সাসটেইনেবল বা টেঁকসই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ...
কাজে ফিরতে চান শ্রমিকরা, উস্কানিতে তৃতীয় পক্ষ
কাজে ফিরতে চান শ্রমিকরা, উস্কানিতে তৃতীয় পক্ষ
বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া পরিশোধ, টিফিন, ছুটি বৃদ্ধি, মাতৃকালীন সময়ে ভারী কাজ না করা, কোম্পানির লভ্যাংশের অংশ প্রদানসহ বেশ কিছু দাবি ...
পোশাক কারখানায় অস্থিরতার ৩ কারণ চিহ্নিত
পোশাক কারখানায় অস্থিরতার ৩ কারণ চিহ্নিত
দেশে তৈরি পোশাক শিল্পে চলমান অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষের জন্য তিন কারণকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- বহিরাগতদের আক্রমণ-ভাঙচুর, শ্রমিকদের ...
মেট্রোরেল মেরামতে ‘৩৫০ কোটি’ টাকার জায়গায় এখন কত টাকা লাগছে?
মেট্রোরেল মেরামতে ‘৩৫০ কোটি’ টাকার জায়গায় এখন কত টাকা লাগছে?
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন সংস্কার করে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে ...
সরকারি জমি দখল, টেন্ডারবাজিতে ‘ক্লিন ইমেজের’ আইভী
সরকারি জমি দখল, টেন্ডারবাজিতে ‘ক্লিন ইমেজের’ আইভী
প্রায় ১৩ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা শামীম ...
পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে ‍সুখবর দিল ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে ‍সুখবর দিল ভারত
পেঁয়াজ উৎপাদন অঞ্চল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপরে থাকা কঠোর শর্ত শিথিল করেছে ভারত সরকার।এখন থেকে প্রতি ...
১০
আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম না : মাহফুজ আলম
আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম না : মাহফুজ আলম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাফজুল আলম বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে একটা ক্যাম্পেইন চলছে। বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এবং বিএএল ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com