আজ শনিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / বিদেশে শ্রমবাজার বিস্তৃত করতে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন
বিদেশে শ্রমবাজার বিস্তৃত করতে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Thursday, 5 September, 2024 at 7:34 PM
বিদেশে শ্রমবাজার বিস্তৃত করতে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজনআজকের বাংলাদেশে প্রবাসীরা দেশের জন্য অবদান রাখেন মূলত প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) পাঠিয়ে। খুব নগণ্যসংখ্যক প্রবাসীই এর বাইরে অন্য কোনো ক্ষেত্রে বর্তমানে অবদান রাখতে পারছেন। প্রবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেশের সবচেয়ে মেধাবী, সবচেয়ে শিক্ষিত এবং সবচেয়ে অর্থশালী বিপুলসংখ্যক মানুষ আছেন, যাঁরা রেমিট্যান্সের চেয়েও গভীরতর অবদান রাখতে পারেন। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য বিশ্বমানের কর্মসংস্থানের প্রকল্পে আর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিক উন্নয়নে জড়িত হতে পারেন।একসময় অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস, জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং স্যার ফজলে হাসান আবেদদের মতো মানুষ প্রবাসজীবন ছেড়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রকল্পে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, অগণিত মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। পৃথিবীজুড়ে তাদের অসামান্য সফলতার জন্য সম্মানিত হয়েছেন। কিন্তু এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশের পরিবেশ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিভাবান প্রবাসীদের দেশে ফিরে অবদান রাখার পক্ষে অনুকূল ছিল না। সবকিছু দলীয়করণের এ সময়টাতে রাজনৈতিক দলের দাসত্ব না করে, সম্মান আর মর্যাদা বাঁচিয়ে দেশে থাকা অত্যন্ত কঠিন ছিল। এর ফলে দেশের সবচেয়ে মেধাবী, সবচেয়ে সৃজনশীল মানুষদের একটা বড় অংশ দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। যাঁরা যাননি, হয় তাঁরা ক্ষমতাসীনদের দাসত্ব করেছেন অথবা ক্রমাগত নির্যাতিত হয়েছেন, উৎপীড়িত হয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি বৈদেশিক শ্রমবাজার থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স ও তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়।এ দুই আয়ের উত্থান-পতনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। তাই এ দুই খাতকে বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় এ শ্রমবাজার সরকারিভাবে পরিচালনার চেষ্টা হলেও মূলত শ্রমবাজারে সফলতা আসে প্রাইভেট সেক্টরের হাত ধরেই। মুক্তবাজারের রীতি অনুযায়ীই মুনাফা অর্জনের প্রণোদনায় ব্যক্তি খাতের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত সন্ধান করে চলছেন বিদেশে নতুন শ্রমবাজার আকৃষ্ট করছেন লাখ লাখ চাকরি প্রত্যাশীকে। কিন্তু প্রাইভেট সেক্টরের এ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দুঃখজনক ভাবে সরকারি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কলা কৌশলে সৃষ্টি হয় সিন্ডিকেট, ব্যাহত হয় প্রতিযোগিতা যা ক্ষতি করে পুরো সেক্টরকেই। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৭৬টি দেশে কাজের জন্য মানুষ যায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ১১ দশমিক ৯৬ লাখ শ্রমিক কাজের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২২-২৩ সালে ১১ দশমিক ৩৭ লাখ শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ যান। ২০২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৪ শতাংশ অভিবাসী কর্মীর গন্তব্য ছিল সৌদি আরব এবং ২২ শতাংশের গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়ায়। ২০২৪ অর্থবছরের শেষ দিন ৩০ জুনের হিসাব অনুযায়ী,বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়া। বাংলাদেশী শ্রমিকরা মূলত কাজ করেন নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, বৃক্ষরোপণ, কারখানা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও সেবা খাতের রেস্টুরেন্ট, কফিশপ, হোটেল, ছোট দোকান ইত্যাদিতে সাধারণ কর্মী হিসেবে। এসব শ্রমিকের মধ্যে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম ও বাংলাদেশে যে মানদণ্ডে দক্ষতা নিরূপণ করা হয় তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বৈশ্বিক মানদণ্ডে টেকে না। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বিস্তৃত করতে প্রয়োজন কিছু কাঠামোগত সংস্কার। যদিও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রবাসীদের কল্যাণ সাধনের জন্য কিন্তু বাস্তবে তা ভিন্ন। 

দুঃখজনক হলেও সত্য, এই ক্লিয়ারেন্স এতটাই অস্বচ্ছ ও দীর্ঘসূত্রতার জন্ম দেয় যে এটি একজন শ্রমিকের বিদেশ যাত্রার সময়কে নষ্ট করে ফেলে। দেশের শ্রমবাজারের বিভিন্ন সিন্ডিকেটও সৃষ্টি হয় এই ক্লিয়ারেন্সের নামে। বাংলাদেশী শ্রমিকপ্রধান দেশগুলোর বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসের একটি বড় কাজের অংশ সেখানে অবস্থানরত শ্রমিকদের নাগরিক সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা। তাছাড়া আরেকটি কাজ হলো বিদেশে কোনো কোম্পানি বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য চাহিদাপত্র পাঠালে তা যাচাইপূর্বক সত্যায়িত করা। আপাতদৃষ্টিতে এ কাজকে প্রশংসনীয় ও বাংলাদেশী শ্রমিকবান্ধব মনে হলেও এ সত্যায়নকে ঘিরে চলে মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাইকমিশন থেকে প্রতিনিধি কোম্পানি ভিজিট করে না। এ সত্যায়নপ্রাপ্তির প্রধান উপায় শ্রমিকের সংখ্যানুপাতে অর্থ প্রদান ও প্রভাবশালীদের চাপ। তাছাড়া এ সত্যায়ন জন্ম দেয় দীর্ঘসূত্রতার যা বাংলাদেশী শ্রমিককে বঞ্চিত করে তার প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায়। সবচেয়ে বড় বিষয়, একটি কাজের সত্যায়ন হওয়ার পর হাইকমিশন থেকে ই-মেইল আসে বিএমইটিতে যে ই-মেইল ম্যানুয়াল উপায়ে চেক করে ভিসাসহ পাসপোর্ট জমা করে ক্লিয়ারেন্স প্রদান করা হয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী নেপাল, ভারত, পাকিস্তান কিংবা শ্রীলংকা আমাদের চেয়ে অনেক সহজ প্রক্রিয়ায় এ বিষয়গুলো বলে দেয়, যার কারণে তারা শ্রমিক পাঠানোয় আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। আমাদের লাখ লাখ বেকার যুবক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের লিবারাল আর্টসের ডিগ্রি নিয়ে প্রত্যাশা করে বিদেশে ভালো চাকরি পাবেন। অথচ যেকোনো শ্রমবাজারেই টেকনিক্যালি দক্ষ লোকদের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।

সুন্দর জীবনদর্শনের জন্য অবশ্যই লিবারাল আর্টসের গুরুত্ব আছে কিন্তু শ্রমবাজারে দরকার প্রকৌশলগত দক্ষ জনশক্তি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে বিশালসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বাজারের চাহিদা উপযোগী করে সৃষ্টি করা যায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশী শ্রমিককে উপযুক্ত পারিশ্রমিকও দেয়া হয় না। বাংলাদেশী শ্রমিকদের দক্ষতাভিত্তিক মানদণ্ড করা গেলে দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়বে ও বর্তমানের চেয়ে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন তারা। এতে প্রবাসীদের আয় বাড়বে যা তাদের জীবনমান যেমন বাড়াবে তেমনি বাড়বে রেমিট্যান্স আয়। বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশে মন্ত্রণালয় কর্তৃক লাইসেন্সকৃত প্রায় ২ হাজার ৮০০ এজেন্সি রয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এজেন্সিগুলো স্বাধীনভাবে বিদেশে শ্রমিক পাঠাতে পারে না। কারণ প্রতিটি দেশের জন্যই বিভিন্ন উপায়ে প্রতিযোগিতার পথ রোধ করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হলেই শ্রমিক পাঠানো যায় না। ঢাকার সৌদি দূতাবাস থেকে নিতে হয় আবেদন আইডি ও পাসওয়ার্ড, যা কিছুদিন আগেও লাইসেন্সপ্রতি ২৫ হাজার মার্কিন ডলারে নিতে হয়েছে। তাছাড়া সিঙ্গাপুরের শ্রমবাজারে রয়েছে নয়টি ট্রেনিং সেন্টার যাদের সার্টিফিকেট ছাড়া সিঙ্গাপুরে শ্রমিক পাঠানো যায় না এবং দক্ষতার এই সার্টিফিকেট বিক্রি হয় অবিশ্বাস্য উচ্চ মূল্যে যা কখনো কখনো ৫-৬ লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যায়। মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বন্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর মাধ্যমে, যারা ২০১৭ সালে ১০টি লাইসেন্সের সিন্ডিকেট করে ও ২০২২ সালে ১০০ লাইসেন্সের সিন্ডিকেট করে কর্মীপ্রতি দেড় লাখ টাকা অতিরিক্ত হাতিয়ে নেয়।

এছাড়াও জনশক্তি রফতানি খাতের অংশীজনদের মধ্যে রয়েছে পারস্পরিক আস্থার সংকট। এ খাতের মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে রয়েছে একাধিক এজেন্সি ও সরকারি সংস্থার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা এড়ানো না গেলেও এটির কারণে বিপত্তি তৈরি হয়। বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের ক্যাশ লেনদেনের কারণে দুর্নীতির পরিমাণও বেশি এবং সংগত কারণেই অনাস্থা তৈরি হয়। সমাজেও রয়েছে এ খাতের অংশীজনদের প্রতি ব্যাপক বিদ্বেষ। এ কারণে স্বাভাবিক ভাবেই এক অস্থির অবস্থার মধ্য দিয়ে পুরো সেক্টরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার‍ মাধ্যমে এ সেক্টরের অংশীজনদের মধ্যে বিদ্বেষ কমাতে পারলে আরো বেশিসংখ্যক শ্রমিক অল্প খরচে বিদেশ যেতে পারবেন। নতুন দেশে কর্মসংস্থান তৈরি টেকসই বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। বাংলাদেশের অনেক যুবক বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে যাত্রাপথে জীবন হারান। অথচ ২০২২ সালে ইউরোপের রোমানিয়া বাংলাদেশে অস্থায়ী ভিসা সেন্টার খুললে সেখানে ক্ষমতাসীন রাজনীতিতে যুক্ত কিছু ব্যবসায়ী রোমানিয়ান কর্মকর্তাদের জিম্মি করে ফেলেন। এ অবস্থায় রোমানিয়া বাংলাদেশে তাদের ভিসা কার্যক্রম স্থগিত করে ও অফিস গুটিয়ে চলে যায়। যেখানে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত নীতি শ্রমবাজারের বহুমাত্রিকীকরণ সেখানে বাংলাদেশ সরকার ইউরোপের ভিসা সেন্টারের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। তাছাড়া পূর্ব ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের বাংলাদেশে দূতাবাস না থাকায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশী শ্রমিকরা সেখানে যেতে পারছেন না। দেশে এখন কর্মক্ষম জনশক্তি যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

এ জনশক্তিকে এখন কাজে লাগাতে না পারলে ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনশক্তির সংকট হবে। তখন চাইলেও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের কাজে পাওয়া যাবে না। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর দৃশ্যমান সব বাধা দূর করতে হবে। প্রশিক্ষিত জনবলের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে, যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। প্রতিবেশী এশিয়ার আরও অনেক দেশের মতোই এভাবে বাংলাদেশে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের জন্য বিশ্বমানের আকর্ষণীয় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। শিক্ষিত মানুষের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে ভালো মানের চাকরি খুবই কম তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা পৃথিবীর ২ দশমিক ১ শতাংশ। আমাদের জনশক্তি অত্যন্ত পরিশ্রমী, বিশ্বজুড়ে কর্মীদের যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৩০০ বিলিয়ন ডলারের পৃথিবীজোড়া বিদেশি বিনিয়োগের আমাদের অংশটা বর্তমানের তুলনায় আরও বিশ বা পঁচিশ গুণ বেশি হতে পারে ৫০ বিলিয়ন এমনকি ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর জন্য দরকার প্রশিক্ষিত জনবল আর একটি সক্ষম এবং শক্তিশালী জনসংযোগ দল, যারা বর্তমানে চীন থেকে বের হয়ে আসা কোম্পানি গুলোকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারবে। সর্বোপরি, ড. ইউনূসের বিশ্বময় অগাধ বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে, যা অনেক বৈশ্বিক সংস্থাকে অনুপ্রাণিত করবে বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য, ঋণ দেওয়ার জন্য। প্রবাসীদের মেধা, অর্থ আর দেশের ঋণ শোধ করার স্পৃহা দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা আর প্রযুক্তি নীতিমালা প্রণয়নে, অর্থায়নে ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার
অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক ...
ঢাবিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনের পাঁচজনই ছাত্রলীগের
ঢাবিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনের পাঁচজনই ছাত্রলীগের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম (এফএইচ) হলে মোবাইল চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ...
যেভাবে অশান্ত হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম
যেভাবে অশান্ত হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম
অশান্ত চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে দুপক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত ...
জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস
জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন বলে আশা ...
জলাবদ্ধতার কারনে বিদ্যালয় মাঠে আমনের বীজতলা
জলাবদ্ধতার কারনে বিদ্যালয় মাঠে আমনের বীজতলা
অব্যাহত ভারী বর্ষণে সৃষ্ট কৃত্তিম জলাবদ্ধতায় এখনো পানির নীচে ফরিদগঞ্জের ফসলের মাঠ। চলছে আমনের মৌসুম। ঘরে থাকা বীজ ধান নষ্ট ...
৩ ট্রিলিয়ন ডলার হালাল অর্থনীতির সুযোগ: মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসে বাংলাদেশ
৩ ট্রিলিয়ন ডলার হালাল অর্থনীতির সুযোগ: মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসে বাংলাদেশ
আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের বৃহত্তম হালাল শোকেস হিসেবে পরিচিত মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস এর ২০তম আসরে ...
ভারত কীভাবে একযোগে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে?
ভারত কীভাবে একযোগে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে?
একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে আর এক ধাপ এগোল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদিত ...
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে- চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে। ...
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ধুম্রজাল
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ধুম্রজাল
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।  তিনি যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্র‍য় নিয়েছিলেন, তার ...
১০
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
বাঙালি ও পাহাড়িদের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ...
 
জানা গেল কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা
জানা গেল কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা
বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য এখন পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ০১ আগস্ট ২০২৪ থেকে মঙ্গলবার (১৭ ...
সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১২৯৯০২ টাকা
সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১২৯৯০২ টাকা
দেশের বাজারে সোনার দামে বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার ...
বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুতের বকেয়া আদায়ে ভারতীয় সংস্থাগুলো কী করবে?
বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুতের বকেয়া আদায়ে ভারতীয় সংস্থাগুলো কী করবে?
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যেই গোটা দেশ যখন এই মুহুর্তে লোডশেডিং আর তীব্র বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ...
বিশ্বের ‘স্মার্টেস্ট’ শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ধরন ঠিক কেমন?
বিশ্বের ‘স্মার্টেস্ট’ শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ধরন ঠিক কেমন?
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত পরিবর্তন পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। শহরগুলো একটা সাসটেইনেবল বা টেঁকসই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ...
কাজে ফিরতে চান শ্রমিকরা, উস্কানিতে তৃতীয় পক্ষ
কাজে ফিরতে চান শ্রমিকরা, উস্কানিতে তৃতীয় পক্ষ
বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া পরিশোধ, টিফিন, ছুটি বৃদ্ধি, মাতৃকালীন সময়ে ভারী কাজ না করা, কোম্পানির লভ্যাংশের অংশ প্রদানসহ বেশ কিছু দাবি ...
পোশাক কারখানায় অস্থিরতার ৩ কারণ চিহ্নিত
পোশাক কারখানায় অস্থিরতার ৩ কারণ চিহ্নিত
দেশে তৈরি পোশাক শিল্পে চলমান অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষের জন্য তিন কারণকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- বহিরাগতদের আক্রমণ-ভাঙচুর, শ্রমিকদের ...
মেট্রোরেল মেরামতে ‘৩৫০ কোটি’ টাকার জায়গায় এখন কত টাকা লাগছে?
মেট্রোরেল মেরামতে ‘৩৫০ কোটি’ টাকার জায়গায় এখন কত টাকা লাগছে?
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন সংস্কার করে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে ...
সরকারি জমি দখল, টেন্ডারবাজিতে ‘ক্লিন ইমেজের’ আইভী
সরকারি জমি দখল, টেন্ডারবাজিতে ‘ক্লিন ইমেজের’ আইভী
প্রায় ১৩ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা শামীম ...
পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে ‍সুখবর দিল ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে ‍সুখবর দিল ভারত
পেঁয়াজ উৎপাদন অঞ্চল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপরে থাকা কঠোর শর্ত শিথিল করেছে ভারত সরকার।এখন থেকে প্রতি ...
১০
আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম না : মাহফুজ আলম
আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম না : মাহফুজ আলম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাফজুল আলম বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে একটা ক্যাম্পেইন চলছে। বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এবং বিএএল ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com