/ সারাদেশ / আদালত প্রাঙ্গণে জয় বাংলা স্লোগান, তিন আইনজীবীর কক্ষে তালা
আদালত প্রাঙ্গণে জয় বাংলা স্লোগান, তিন আইনজীবীর কক্ষে তালা
নতুন বার্তা, নোয়াখালী :
|
নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জয় বাংলা স্লোগান ও বিক্ষোভ মিছিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে নোয়াখালীর সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ছাত্র-জনতা আওয়ামীপন্থি তিন আইনজীবীর কক্ষে তালা দেন। জানা যায়, সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরিবহন শ্রমিক মো. খোকন হত্যা মামলায় শুনানির জন্য নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ১০০-১৫০ জন নেতাকর্মী সমবেত হন। শুনানি শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় নেতাকর্মীরা একরামুলের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে থাকেন। তিন আইনজীবী হলেন- নোয়াখালীর জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পিপি ও নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলজার আহমেদ জুয়েল, নোয়াখালী জেলা মানবাধিকার কাউন্সিলের সভাপতি ও নোয়াখালী জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাবেক অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফারুক ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী কলেজের সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, গতকাল আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের রাতের ভোটের এমপি খুনি একরামুল করিম চৌধুরীর পক্ষে কয়েকজন আইনজীবীসহ তার সমর্থকরা নিকৃষ্টতম স্লোগান ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা ও এর দোসরদেরকে যারা সহযোগিতা করবে তাদের কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে ও যারা হত্যার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। যেখানেই আওয়ামী লীগ ও এর দোসররা চক্রান্ত করার চেষ্টা করবে সেখানেই ছাত্র জনতাসহ সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক বনি আমিন বলেন, আইনজীবীরা ফ্যাসিবাদী দালাল। তারা আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি স্লোগান দিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের লোকজনও ছিল। তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের নিষিদ্ধ না করলে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের টিকে থাকাই অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির নিষিদ্ধ করতে হবে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম, হাসিবুল হোসেন, নোয়াখালী কলেজের সমন্বয়ক ফরহাদুল ইসলাম, মাজহার রাকিব ও আফসার বিন আজিজ, নোয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র মাজহারুল ইসলাম রাকিব, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি খলিলুর রহমান, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আকবর, আইনজীবী রবিউল হাসান পলাশ, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবদুজ জাহের, ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর শাখার প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। |