/ লাইফস্টাইল / নিয়মিত চুমু খেলে কি আসলেই ঠোঁট ফাটে না?
নিয়মিত চুমু খেলে কি আসলেই ঠোঁট ফাটে না?
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
শীতের আগমন অনেকেরই ত্বক ও শরীরের নানা অংশে পরিবর্তন আনতে শুরু করে। সে প্রস্তুতি হিসেবে সবার পকেটে বা ব্যাগে ঠাঁই হয় ভেজলিন, বোরোলিন কিংবা লিপ বামের। তবে, আপনি জানেন কি, প্রিয়জনকে নিয়মিত চুমু খেলে ঠোঁটকে শুষ্কতা থেকে বাঁচানো যেতে পারে? চুমু খেলে শীত থাকবে তবুও ঠোঁট ফাটবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুম্বন ঠোঁটের সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। গভীর চুম্বনে রক্তসঞ্চালন বাড়ে। আর এতে ঠোঁটের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। শুধু এখানেই শেষ নয়, চুমুর সময় সঙ্গীর স্যালাইভা ঠোঁটে লাগলে, তা ঠোঁটের চামড়ার শুষ্কতা দূর করে। আর শুষ্কতা দূর হলেই, ঠোঁট ফাটবে কম। তবে হ্য়াঁ, রাতে শোয়ার আগে একটু ভেজলিন বা বোরোলিন মেখে নিলে, ঠোঁট আরো সুন্দর হয়ে উঠবে। এছাড়াও চুমু ঠোঁটের আরো কিছু উপকার করে। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক। চুমু ঠোঁটের আদ্রতা বৃদ্ধি করে চুমু খাওয়ার সময় আপনার ভালোবাসার মানুষের ঠোঁট থেকে রূপান্তরিত হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ঠোঁটের ময়েশ্চারকে বজায় রাখতে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়া ঠোঁটের আর্দ্রতা সঞ্চালন এবং ত্বকের প্রাকৃতিক তেল তৈরি করতে সাহায্য করে, যা ঠোঁটের শুষ্কতা কমাতে সহায়ক। তাই চুমু খাওয়ার মাধ্যমে ঠোঁটের আর্দ্রতা ও কোমলতা বজায় রাখতে পারবেন। কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি পায় চুমু খাওয়ার ফলে শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে। এর ফলে ত্বক মসৃণ ও সুস্থ থাকে। ঠোঁটের ত্বকে কোলাজেন সঠিকভাবে বজায় থাকার মাধ্যমে ঠোঁট ফাটার ঝুঁকি কমে যায় এবং ঠোঁট থাকে কোমল। পানি ও স্যালিভার প্রভাব চুমু খাওয়ার সময় শরীর থেকে নিঃসৃত পানি এবং স্যালিভা (যা আমরা সাধারণত লালা বলি) ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে এবং ঠোঁটের ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। হরমোনের প্রভাব চুমু খাওয়ার সময় শরীরে এক ধরনের ‘হ্যাপি হরমোন’ অর্থাৎ ডোপামিন, অক্সিটোসিন এবং সেরোটোনিন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনগুলো আপনার মন ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকও আরো স্বাস্থ্যবান ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই হরমোনগুলো ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতেও সাহায্য করতে পারে। ভালোবাসার মুহূর্তে ঠোঁটের যত্ন তবে, শুধু চুমু খাওয়ার মাধ্যমে একা ঠোঁটের যত্ন নেওয়া সম্ভব নয়। একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা জানানো ও আদর করার সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁটের সঠিক যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শীতের সময় ময়েশ্চারাইজিং লিপ বাম ব্যবহার, বেশি করে পানি পান করা এবং ঠোঁটের জন্য ন্যাচারাল স্ক্রাব ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ত্বক সুরক্ষিত রাখতে হবে। |