/ সারাদেশ / গামাইরতলা সীমান্তে ভুয়া পুলিশ কে আটক করলো বিজিবি
গামাইরতলা সীমান্তে ভুয়া পুলিশ কে আটক করলো বিজিবি
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া:
|
বুঝার উপায় নেই সে আসল পুলিশ নয়। কিন্তু সে ভুয়া পুলিশ। সীমান্তে প্রয়োজনে যেতে মানুষ ক্লান্ত হলেও উদ্দেশ্য বিহীন কি পুলিশ সেজে গিয়েছিল সে ? এমন প্রশ্ন জনমনে। কেউ কেউ বলছেন পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে পুলিশের পোশাক পরছিল। আবার কেউ কেউ বলছেন চোরা কারবারিদের কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে মায়না আদায়ের জন্য গিয়েছিল সে। এমন এক ভুয়া পুলিশ এখন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার হাজতে। সোমবার ২ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের মাছিরপুর বিওপির সদস্যরা একটি মোটরসাইকেল সহ ভুয়া পুলিশ বাকির হোসেন ও তার মোটরসাইকেল ড্রাইভার ও তবারক হোসেনকে সন্দেহমূলক আটক করে। ঘটনাটি ঘটে ভোর ৪ টায় সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের ৩ নং ধনপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত সীমান্তবর্তী এলাকা ১২০৯/৫ এস এর নিকটবর্তী গামাইরতলায়। স্থানীয় জানা যায়, সকালে তাবারত হোসেন মোটরসাইকেলে করে পুলিশের পোশাক পরা বাকির হোসেনকে নিয়ে সীমান্ত এলাকায় ঘুরাঘুরি করছিলেন। এসময় সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিজিবির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া প্রমাণিত হয় পুলিশের ড্রেস পরা বাকির। সীমান্তে টহলে থাকা বিজিবির টহল দলের কমান্ডার নায়েক জুনায়েদ হোসেন ভুয়া পুলিশ ও তার সহযোগীকে আটক করে বিশ্বম্ভরপুর থানায় হস্তান্তর করেন। আটক বাকির হোসেন তাহিরপুর উপজেলার উত্তর মোকসেদপুর গ্রামের আবু চানের ছেলে। অপরজন তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক একই উপজেলার গোটিলা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে তাবারত হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানান বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের ওসি কাউছার আলম। ভুয়া পুলিশ সহ সহযোগী আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কর্তা পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন পিপিএম মোঠফোনে জানান, সুনামগঞ্জকে একটি নতুন রূপে উপস্থাপন করার জন্য সকলকে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সীমান্তে পুলিশের ড্রেস পরে গিয়ে ও রক্ষা হয়নি ভুয়া পুলিশের। তাতেই বুঝতে হবে জবাবদিহিতার বাংলাদেশ চালু হয়েছে। স্বচ্ছ ভাবে কাজ করছে সুনামগঞ্জের প্রশাসন। |