আজ রবিবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে চীন-মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা
অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে চীন-মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Sunday, 15 December, 2024 at 2:04 PM
অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে চীন-মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রযুক্তি শিল্পে কে আধিপত্য বিস্তার করবে এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন অনেক দিন ধরে প্রতিযোগিতা করে আসছে। একবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিকাশে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে চীন ও গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করছে এবং এর মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীন শুধু প্রতিযোগিতাই করছে না বরং ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তিতে বিশ্ব শাসন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্ষমতার যে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা চলছে, সেটিকে চলতি শতাব্দীর প্রথমার্ধের একটি সংজ্ঞা নির্ধারণী বৈশিষ্ট্য বলা যেতে পারে। তবে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ঠিক কোন ধরনের সংজ্ঞায় আটকানো উচিত হবে, তা নিয়ে খুব কম লোকই একমত হতে পেরেছেন। কেউ কেউ এটিকে গত শতাব্দীর দুটি বিশ্বযুদ্ধের আগে জার্মানি ও ব্রিটেনের মধ্যে শুরু হওয়া দীর্ঘ দ্বন্দ্বের মতো একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলে অভিহিত করেছেন। আবার অন্যরা আশঙ্কা করছেন, খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতকে স্পার্টা ও এথেন্সের মধ্যে যে আদলে যুদ্ধ হয়েছিল, আমেরিকা ও চীন সেই ধরনের যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সমস্যা হলো, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সংঘাত অনিবার্য-এমন একটি ধারণা সবার মনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাস্তব হয়ে ওঠা একটি ভবিষ্যদ্বাণীতে রূপ নিতে পারে।দীর্ঘস্থায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিজেই একটি বিভ্রান্তিকর শব্দবন্ধ। ১৯৪৯ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীন-আমেরিকা সম্পর্ক যতগুলো ধাপ পেরিয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে একটু চিন্তা করলে দেখা যায়,১৯৫০-এর দশকে কোরীয় উপদ্বীপে আমেরিকান ও চীনা সেনারা পরস্পরকে হত্যা করেছে। এরপর ১৯৭০-এর দশকে চীনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ঐতিহাসিক সফরের সুবাদে এই দুই দেশ কাছাকাছি এসেছিল।

এই সময়টাতে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভারসাম্যমূলক জায়গায় আটকে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ঘনিষ্ঠভাবে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে শুরু করে। ১৯৯০-এর দশকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক যুক্ততা বাড়তে থাকে। এর সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চীনের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন দিয়েছিল। এখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা চীনকে যেভাবে মার্কিন অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামরিক ব্যবস্থার জন্য ধাবমান হুমকি বলে অভিহিত করছেন, ২০১৬ সালের আগে এমনটি ছিল না। ১৮৫৩ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিলার্ড ফিলমোরের আদেশে মার্কিন নৌবাহিনীর কমোডর ম্যাথিউ পেরি চারটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে জাপানে অভিযান চালিয়ে ছিলেন। জাপান ২০০ বছর ধরে পশ্চিম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার যে নীতি অনুসরণ করে আসছিল, সেই নীতি থেকে জাপানকে সরে আসতে বাধ্য করাই ছিল এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।ম্যাথিউ পেরি টোকিও উপসাগরে পৌঁছানোর পর জাপানের তৎকালীন তোকুগাওয়া শোগুনেতকে আলটিমেটাম দেন: হয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য করার জন্য জাপানকে উন্মুক্ত করে দিন, নয়তো কঠোর পরিণতির মুখোমুখি হন। যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘কালো জাহাজ’-এর আগমন জাপানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। প্রযুক্তিগত দক্ষতার এই চমকে দেওয়া প্রদর্শনী মুখে পড়ে শোগুনেত একান্ত অনিচ্ছায় পেরির দাবি মেনে নিতে রাজি হয়েছিল। পেরির ধমকের মুখে ১৮৫৪ সালের কানাগাওয়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর এক বছর পরে শোগুনেত তার প্রথম বাষ্পীয় ইঞ্জিনচালিত যুদ্ধজাহাজ ডাচদের কাছ থেকে বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে পেয়েছিল। এরপর বহু বছর কেটে গেছে। প্রযুক্তিতে সভ্যতা এগিয়ে গেছে। এনার্জি গ্রিড, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এবং এখন কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবটের মতো প্রযুক্তি আজ একক ব্যক্তিকেও প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

পেরির অভিযান দেখিয়েছিল, প্রযুক্তি রাষ্ট্রীয় সামরিক সার্বভৌমত্বের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করতে পারে। তার ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তিগত আধিপত্যের সুবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের সেই চিত্র দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের টিকে থাকার সুবাদে আমেরিকার আর্থিক সার্বভৌমত্ব এখনো অক্ষুণ্ন আছে বটে, কিন্তু দেশটির অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব চীনের দ্বারা দিন দিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাচ্ছে। ক্রয়ক্ষমতা সমতার দিক বিবেচনায় চীন ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। চীন এখন ১২০টির বেশি দেশের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার। এই দুটি পরাশক্তি বর্তমানে সেমিকন্ডাক্টর, এআই, সিন্থেটিক বায়োলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং ব্লকচেইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির নকশা, বিকাশ ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে তুমুল প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। অবাক করা বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র বা চীন-কেউই এখন পর্যন্ত সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি। এর কারণ হলো পাঁচ ন্যানোমিটারের ছোট আকারের সেমিকন্ডাক্টর তাইওয়ানের তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ছাড়া আর কেউ উৎপাদন করতে পারে না। এ অবস্থা বদলে ফেলার জন্য উভয় পরাশক্তি এমন একটি ‘প্রযুক্তি সার্বভৌমত্ব বলয়’ গড়ে তুলতে চাইছে, যেখানে অন্যান্য দেশকেও তাদের সঙ্গে শরিক হতে হবে। পুরোনো ঔপনিবেশিকতার বিপরীতে নতুন এই প্রযুক্তি-উপনিবেশবাদ ভূখণ্ড দখলে বিশ্বাসী নয়। এই উপনিবেশবাদ বিশ্ব অর্থনীতি ও আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে এমন প্রযুক্তিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়। এই ক্ষমতা অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ক্রমবর্ধমানভাবে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের সবচেয়ে উদ্ভাবনী এবং জটিল বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

চীন অতিগুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালের সরবরাহ শৃঙ্খলব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে,যা দেশটিকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদনকারী হতে সক্ষম করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ক্যাডেন্স ডিজাইন সিস্টেম এবং সিনোপসিসের মতো সংস্থাগুলোর সুবাদে চিপ ডিজাইন সফটওয়্যারের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্ব এখন প্রযুক্তি ঔপনিবেশিকতার দিকে এগিয়ে চলেছে। বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার জন্য একটি শক্তিশালী ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্যান্য এশীয় অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পশ্চিমারা বৈশিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের নিয়ম নতুন করে সাজাতে পারে। ফলে প্রযুক্তি শিল্প নিয়ে নতুন মান নির্ধারণ করতে পারে যেটা বৈদেশিক কোম্পানিগুলোর জন্য আরো সুষম খেলার মাঠ নিশ্চিত করবে। যদি গণতান্ত্রিক দেশগুলো একজোট হয়ে কাজ করতে পারে তাহলে চলমান এই শতাব্দীতে চীনের অর্থনীতিকে ভালোভাবেই ছাড়িয়ে যাবে।কারণ চীনের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের চেয়ে কূটনৈতিক ইস্যুগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ভবিষ্যৎ যুক্তরাষ্ট্র-চীন শক্তির ভারসাম্যের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, প্রযুক্তি ভূমিকা রাকবে তবে সমমনা শক্তির সঙ্গে জোট করা আরো গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হবে। ইউরোপীয়দের নেতৃত্বাধীন আইএমএফ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য অর্জনের লক্ষ্যে চীন যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এটিকে তারই অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীন বৈশ্বিক দক্ষিণকে এক করে নিজের নেতৃত্বে নিতে পারবে কি না, তা এখনই বলা যাবে না। আমেরিকা নিশ্চিতভাবেই তেমনটা আশা করে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো অন্যরা ব্রিকস প্লাসকে একটি নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছে।

চীনের এই ক্রমবর্ধমান শক্তিকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা স্পষ্টতই অকার্যকর ও বেশ পিছিয়ে থাকা পদক্ষেপ। গত এক দশক ধরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রযুক্তি নিয়ে ঠান্ডা যুদ্ধ দেখা যাচ্ছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। এবার যুক্তরাষ্ট্র ফেরত বিজ্ঞানী ডুয়ান লুমিংয়ের হাত ধরে নতুন কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে সাফল্য লাভ করেছে চীন। কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের দুনিয়াতে বিজ্ঞানী ডুয়ান আলোচিত এক নাম। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় যোগ দেওয়ার পর প্রায় ১৫ বছর কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ওপরে আলোচিত সব গবেষণায় যুক্ত ছিলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে চীনে ফেরত আসেন এই বিজ্ঞানী। যুক্তরাষ্ট্র ফেরত এই বিজ্ঞানীর হাত ধরেই চীনে তৈরি হলো শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার।চীনের সিংগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনফরমেশন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত বিজ্ঞানী ডুয়ান লুমিংয়ের নেতৃত্বে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আয়নভিত্তিক কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। জি-৭-কে আবার জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তেমন উদ্যোগ নেই। ফলে এই গ্রুপের পক্ষে উদীয়মান অথচ শক্তিশালী ব্রিকস প্লাসকে ঠেকানো কঠিন হবে। আর ব্রিকস প্লাসের দুর্দমনীয় গতি বৈশ্বিক দক্ষিণকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, যা পশ্চিমা ব্যবস্থার যথার্থ বিকল্প শক্তি হয়ে উঠবে। আর সেটি হলে গোটা বিশ্বব্যবস্থারই খোল নলচে বদলে যাবে।সুতরাং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে অচিরেই এমন একটি অবস্থা তৈরি হবে, যখন বিশ্বের বাকি দেশগুলো এই দুটোর যেকোনো একটি পক্ষকে বেছে নিতে বাধ্য হবে। এটি প্রযুক্তিগত ঔপনিবেশিকতার একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �


 
কালাইয়ে দিনব্যাপী বিডিক্লিন এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান
কালাইয়ে দিনব্যাপী বিডিক্লিন এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান
এই শহর আমার, এই দেশ আমার, পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমার' এ প্রতিপাদ্য নিয়ে জয়পুরহাটের কালাইয়ে দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। ...
জয়পুরহাটে সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ
জয়পুরহাটে সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ
গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে গভীর রাতে সাদ পন্থীদের হামলা, হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার ও তাদের সংগঠনের সকল কার্যক্রম বন্ধের ...
লক্ষ্মীপুরে বিরোধকৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মানের চেষ্টা
লক্ষ্মীপুরে বিরোধকৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মানের চেষ্টা
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নে বিরোধকৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দিদার ...
মানুষের ধারণা অন্তর্বর্তী সরকার ইচ্ছা করেই নির্বাচন বিলম্বিত করছে
মানুষের ধারণা অন্তর্বর্তী সরকার ইচ্ছা করেই নির্বাচন বিলম্বিত করছে
দীর্ঘকাল অনির্বাচিত সরকার থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় ...
’২৫ সালের মধ্যেই জুলাই হত্যার বিচার
’২৫ সালের মধ্যেই জুলাই হত্যার বিচার
আগামী বছরের ১৬ই ডিসেম্বরের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ...
গাজীপুরে কেমিক্যাল ভর্তি ড্রাম বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ
গাজীপুরে কেমিক্যাল ভর্তি ড্রাম বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি ওষুধ কারখানায় কেমিক্যালের ড্রাম বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ হয়েছেন।শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কোনাবাড়ীর বিসিক শিল্প এলাকার ...
আ.লীগ পালানোর সময় পাইছে, আপনারা সেটাও পাবেন না : মনিরুল হক
আ.লীগ পালানোর সময় পাইছে, আপনারা সেটাও পাবেন না : মনিরুল হক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দলের (বিএনপি) ক্যাডাররা, সাবধানে থাইকেন। আওয়ামী লীগের মতো কর্মকাণ্ড করলে ...
দেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর
দেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর
দেশে এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপর রিজার্ভ রয়েছে। এরমধ্যে গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া আগস্ট মাসের ...
৩১ ডিসেম্বর কী হচ্ছে? যা জানা গেলো
৩১ ডিসেম্বর কী হচ্ছে? যা জানা গেলো
আগামী ৩১ ডিসেম্বর সামনে রেখে ফেসবুকে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা ফেসবুকে ৩১ ...
১০
নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট স্থগিত
নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট স্থগিত
মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজের সাতজনকে খুনের ঘটনার বিচার ও নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চলা নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। ...
 
৩১ ডিসেম্বর কী হচ্ছে? যা জানা গেলো
৩১ ডিসেম্বর কী হচ্ছে? যা জানা গেলো
আগামী ৩১ ডিসেম্বর সামনে রেখে ফেসবুকে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা ফেসবুকে ৩১ ...
ধীরে-ধীরে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: ইউএনও রানা
ধীরে-ধীরে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: ইউএনও রানা
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেছেন, ধীরে-ধীরে সকল অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে উপজেলা প্রশাসন।সোমবার ...
উচ্চ আদালতের রায় মানছেন না জেলা রেজিস্ট্রার
উচ্চ আদালতের রায় মানছেন না জেলা রেজিস্ট্রার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণ্দ্বীপ ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার নিয়োগ নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দেয়ায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দেয়ার বিধান ...
কয়রায় আগামি২৬ ডিসেম্বর কর্মী সম্মেলন বাস্তবায়ন লক্ষ্যে সংবাদিক দের সাথে মতবিনিময়
কয়রায় আগামি২৬ ডিসেম্বর কর্মী সম্মেলন বাস্তবায়ন লক্ষ্যে সংবাদিক দের সাথে মতবিনিময়
আগামি ২৬ ডিসেম্বর কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই আলোকে ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে ৩ টার ...
মারা গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ককটেল নির্মাতা সুরুজ
মারা গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ককটেল নির্মাতা সুরুজ
অবশেষে ঝলসিত মুখমন্ডল নিয়েই চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ককটেল নির্মাতা হাফিজুর রহমান সুরুজ। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল ...
কালিহাতীর কাজীবাড়িতে বিএনপির অফিস উদ্বোধন
কালিহাতীর কাজীবাড়িতে বিএনপির অফিস উদ্বোধন
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কাজীবাড়ি বিএনপি বাজারে  বিএনপির অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে  শুক্রবার বিকালে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা ...
ড. ইউনূসসহ ২০ উপদেষ্টাকে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা, যা জানা গেল
ড. ইউনূসসহ ২০ উপদেষ্টাকে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা, যা জানা গেল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ২০ জন উপদেষ্টার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন ...
এক বছরে ২ সরকার, ‘বিলম্ব’ পিছু ছাড়েনি ট্রেনের
এক বছরে ২ সরকার, ‘বিলম্ব’ পিছু ছাড়েনি ট্রেনের
১৯৭১ সালের পর ২০২৪, ইতিহাস সৃষ্টির এক বছর। এই এক বছরে প্রবল প্রতাপশালী এক সরকারের পতন হয়েছে, এসেছে নতুন সরকার। ...
সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না: মির্জা ফখরুল
সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাধারণ মানুষ সংস্কার কী বোঝে না। তারা বোঝেন যেন তারা ভোটটা দিতে পারেন, ...
১০
লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com