/ অর্থনীতি / বাণিজ্য / রাজধানীতে শুরু হলো চার দিনব্যাপী গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য প্রদর্শনী
রাজধানীতে শুরু হলো চার দিনব্যাপী গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য প্রদর্শনী
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি বা গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য নিয়ে রাজধানীতে শুরু হলো গার্মেন্টস টেকনোলজি প্রদর্শনী বাংলাদেশ (জিটিবি ২৫) -এর ২২তম এবং গ্যাপ এক্সপো ২০২৪-এর ১৪তম সংস্করণ। আজ সকালে বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এবং এএসকে ট্রেড শো অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড-এর যৌথ আয়োজনে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত চারদিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। আইসিসিবির ৮টি হল জুড়ে এই প্রদর্শনীটিতে অংশ নিয়েছে ২৫টি দেশের ৫০০ প্রতিষ্ঠান। আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি), সকাল ১১টায় আইসিসিবির ৪ নম্বর হলের মেজ্জানিন ফ্লোরে প্রদর্শনীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. শাহরিয়ার, সাবেক সভাপতি ও এ্যাডভাইজর মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান হাসান উল করিম তমিজ, এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. টিপু সুলতান ভূঁইয়া এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নন্দ গোপাল কে. সহ খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তৈরি পোশাক খাতের বৈশ্বিক প্রযুক্তিগুলোকে নিয়ে গত ২১ বছর ধরে প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে জিটিবি। এই প্রদর্শনীগুলোতে আরএমজি সেক্টরের কাটিং, সেলাই, ফিনিশিং, এমব্রয়ডারি মেশিনারি, খুচরা জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের আনুষঙ্গিক পণ্য এক সাথে দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। অন্যদিকে প্রদর্শনীতে বিজিএপিএমইএর নেতৃস্থানীয় সদস্যরাও তাদের গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিংয়ে সর্বশেষ উদ্ভাবন প্রদর্শন করে থাকেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে এই ধরণের প্রদর্শনী বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমি আয়োজকসহ সকল অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই খাতকে এগিয়ে নিতে আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে মনোযোগী হতে হবে। সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো একসাথে কাজ করতে পারলে নীতিমালা পরিমার্জন, গ্যাস ও জ্বালানী সংকটসহ যেকোন সমস্যা মোকাবেলায় সহজে কাজ করা যাবে।” বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, “উৎপাদন সক্ষমতা ও সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেমের কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। কোরিয়া ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই বিনিয়োগ অব্যহত থাকবে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, কোরিয়া সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।“ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত ২০২৫ সাল নিয়ে বেশ আশাবাদী। ইউরোপ ও আমেরিকার মতো বাজারগুলোতে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাওয়ায় পশ্চিমা ক্রেতারা ফিরে আসতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও ২০২৪ সালে আরএমজি খাত রপ্তানি আয়ে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই উন্নতি সামগ্রিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও খাতটির দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতাকেই প্রতিফলিত করে। প্রদর্শনীটি সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ব্যবসায়িক দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। জিটিবি– গার্মেন্ট টেকনোলজি বাংলাদেশের এই প্রদর্শনীটি সমগ্র গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং ভ্যালু চেইনকে কভার করে। বিশেষ করে প্রোডাক্ট জোন ও ফোকাসড সেগমেন্টের মাধ্যমে একই ছাদের নিচে খাতসংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো খুঁজে নেয়ার সুযোগ করে দেয় ৷ জিটিবি এবং গ্যাপ এক্সপোর দর্শনার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কারিগরী বিভাগের প্রধান ও সোর্সিং টিম। এছাড়া প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, গার্মেন্ট এক্সেসরিজ, প্যাকেজিং এবং শিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহে সারাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এ প্রদর্শনীতে আসেন। |