আজ বুধবার, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / বিশেষ / বাড়তি বাড়িভাড়ায় বছর শুরু, সাবলেট-মেসেও অস্বস্তি
বাড়তি বাড়িভাড়ায় বছর শুরু, সাবলেট-মেসেও অস্বস্তি
নতুন বার্তা, ঢাকা:
Published : Monday, 20 January, 2025 at 1:02 PM
বাড়তি বাড়িভাড়ায় বছর শুরু, সাবলেট-মেসেও অস্বস্তিক্রমে কঠিন হয়ে উঠছে নাগরিক জীবন। রাজধানী ঢাকার জীবনযাত্রায় বিগত কয়েক বছরে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বছরের শুরুতেই একগাদা খরচের চাপ আসে জগদ্দল পাথরের মতো। বাসাভাড়া, সন্তানের পড়াশোনার খরচ বাড়েই। সঙ্গে যোগ হয় মূল্যস্ফীতি কিংবা ভ্যাট-ট্যাক্স, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়া, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা সংক্রান্ত কারণে অতিরিক্ত পণ্যমূল্য। নগরজীবনে টিকে থাকার লড়াই নিয়ে জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইয়াসির আরাফাত রিপনের চার পর্বের ধারাবাহিকের আজ থাকছে প্রথমটি।
বছর ঘুরলে ক্যালেন্ডারের পাতায় যেমন একটি সংখ্যা যোগ হয়, নগরের বাসাভাড়ায়ও তেমন যোগ হয় নতুন বোঝা। ২০২৪ সালের পর ২০২৫ আসা যেমন অবধারিত, দুই কোটির বেশি মানুষের ঢাকায় বাসাভাড়া বাড়ানোও যেন তেমনই অবধারিত। আর নতুন বাসা নিতে গেলে দিতে হয় দু-তিন মাসের অগ্রিম। সঙ্গে চলতি মাসের ভাড়া। এই টাকার জোগান দিতে অনেকের সঞ্চয় ভাঙতে হয় নতুবা করতে হয় ধার-দেনা। এতে বছরের শুরুতেই চাপে পড়েন ভাড়াবাসায় থাকা সব শ্রেণির মানুষ।
বাড়তি খরচের চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই সাবলেট বেছে নেন। অথবা শহর থেকে একটু দূরে নেন ছোট বাসা। কেউ কেউ পরিবার পাঠিয়ে দেন গ্রামে। স্বস্তিতে নেই মেসে থাকা ব্যাচেলর কিংবা শিক্ষার্থীরাও। সব কিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদেরও বাড়ছে মেসভাড়া, খাবারের খরচ। খাবারের মান কমিয়ে কেউ আবার সমন্বয় করছেন বাড়তি খরচ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতবারের মতো এবারও বছরের শুরুতেই রাজধানীতে এলাকাভেদে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাসাভাড়া বাড়িয়েছেন মালিকরা। বাড়তি ভাড়া নতুন বছরের প্রথম মাস (জানুয়ারি) থেকেই পরিশোধ করতে হবে। এর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল তো আছেই। আর নতুন ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া চাওয়া হচ্ছে আরও বেশি। এ নিয়ে মালিক-ভাড়াটিয়ার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও সমাধানের কোনো পথ দেখা যায়নি।
বাসা মালিকদের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়ছে। ভাড়াটিয়ারা বলছেন, দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ‘মানবিকতার’ পরিচয় দেওয়া উচিত মালিকদের।
বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘কদিন আগে গ্রামের বাসায় কিছু টাকা দিয়েছি বোনের বিয়েতে। এখন বাচ্চার স্কুলে ভর্তিসহ নতুন বাসার খরচ রয়েছে। হাতে নগদ অর্থ নেই, সামান্য সঞ্চয় রয়েছে সেটা ভেঙে খরচ করতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে তো ঋণ করা ছাড়া উপায় নেই।’
বছরের শুরুতে এমন চাপে পড়েন অধিকাংশ চাকরিজীবী। স্কুলে ভর্তিতে বড় একটি টাকা চলে যায়। সঙ্গে থাকে স্কুলের জুতা, ইউনিফর্ম, ব্যাগ, স্টেশনারি, টিফিন বক্স ইত্যাদি কেনার খরচ। বাড়িভাড়ার চাপ তো আছেই। নতুন বছর উদযাপনটাও হয়ে ওঠে না অধিকাংশ মানুষের।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাব্বির আহমেদেরও একই অবস্থা। তিনি বলেন, ‘গত বছরের শুরুতে বাসা সংস্কার করার অজুহাত দেখিয়ে এক হাজার টাকা বাড়িয়েছিলেন মালিক। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মালিকের ভাই জানিয়েছেন নতুন বছর থেকে আরও দেড় হাজার টাকা ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটেই এ নিয়ে নোটিশ দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘কথা বলতে গেলে মালিক বলেন না পোষালে বাসা ছেড়ে দিতে। মানে ভাড়া বাড়ানো হবে মালিকের ইচ্ছায়। কথাও বলা যাবে না। বাসা ছাড়তেও পারছি না, কারণ বাচ্চাদের স্কুল বাসার কাছে। দূরে বাসা নিলে তাদের জন্য নতুন স্কুলে ভর্তিসহ বাড়তি পরিবহন খরচ লাগবে। সঙ্গে নিত্যপণ্যের দামও নাগালের বাইরে। কষ্টের কথা কাউকে বলতেও পারছি না, আবার জীবিকার তাগিদে এ শহরও ছাড়তে পারছি না।’
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর আগে যে বাসা ১২ থেকে ১৩ হাজারে পাওয়া যেত এখন ভাড়া নিতে গুনতে হচ্ছে অন্তত ১৬ হাজার টাকা। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার বাসা। মধ্যবিত্ত শ্রেণি এমন বাসা খোঁজেন। এতে তারা বেশি খেয়াল রাখেন কর্মস্থলের দূরত্ব এবং বাচ্চাদের স্কুলের যাতায়াত।

সিটি করপোরেশনগুলোতে বসবাসকারীদের ৭২ শতাংশই থাকেন ভাড়া বাসায়
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্যনিরাপত্তা পরিসংখ্যান-২০২৩-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন বলছে, দেশের সিটি করপোরেশনগুলোতে বসবাসকারীদের মধ্যে ৭২ শতাংশই ভাড়া বাসায় থাকেন। এসব এলাকায় নিজের বাসায় থাকেন মাত্র ২৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ মানুষ। সিটি করপোরেশনের বাইরে অন্য শহরে ভাড়ায় থাকেন ১৮ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্য আরও বলছে, দেশে বাসাভাড়াও বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়ে শহরে বাড়িভাড়া বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মানুষ ভাড়া বাড়িতে থাকেন। যার মধ্যে গ্রামে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ, শহরে ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ আর সিটি করপোরেশনে ৭২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। দেশে ভাড়া ছাড়াই থাকেন ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ মানুষ।

বাড়ির মালিকদেরও খরচ বাড়ার দাবি
তবে ভাড়া বাড়লেও বাড়ির মালিকরা বলছেন উল্টো কথা। তারা এর পেছনে নানান সংস্কারসহ বিভিন্ন বিলের ইস্যু নিয়ে আসছেন। মগবাজার চান বেকারির গলির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার মেইনটেন্যান্স খরচ বেড়েছে। নিরাপত্তা প্রহরীদের বাড়তি খরচ না দিলে থাকবে না। সব মিলে আমাকেও চলতে হবে।’
একই কথা বলেন ব্যাপারী গলির বাসামালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিপন। তিনি বলেন, ‘কদিন আগেই গ্যাস লাইন মিটারে কনভার্ট করলাম, বিদ্যুতের কাজও চলমান। বাসার কিছু সংস্কার করেছি। আমার বাড়তি আয় নেই। বাসাভাড়ার ওপরেই চলতে হয়। তাহলে এই বাড়তি অর্থ কোথায় পাবো?’

ভাড়া বাড়ানোর আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই
২০০৭ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৭৭৫টি এলাকায় ১০টি রাজস্ব আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, কাঁচাবাড়ি, পাকা ঘর, সেমি পাকা, মেইন রোডের তিনশ ফিট ভেতরে এবং বাইরে পাঁচ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত প্রতি বর্গফুট ভাড়া নির্ধারণ করা করে দেওয়া হয়। এটির প্রয়োগ কোথাও দেখা যায়নি বা শোনা যায়নি। আবার বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ এ রয়েছে সুনির্দিষ্ট বিধান। আইনের ১৬ ধারা মতে, বড় কোনো ধরনের নির্মাণকাজ বা পরিবর্তন আনা ছাড়া বাসার মালিক দুই বছরের মধ্যে মূল ভাড়া বাড়াতে পারবেন না। এটা মানা হয় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে ২০২৫ সালে বাড়িভাড়া বাস্তবায়ন ও স্বাভাবিক রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেস সংঘের (বিএমও) মহাসচিব মো. আয়াতুল্লাহ আকতার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘চাকরিজীবী, শ্রমজীবী, শিক্ষার্থীরা প্রতি নতুন বছরে বাসাভাড়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। তাদের আয়ের সিংহভাগ বাসাভাড়ায় চলে যায়। নতুন বছরে লাগামহীন বাড়িভাড়া বাড়ানো কারও কাম্য নয়। অযৌক্তিকভাবে কোনো অবস্থায়ই বাড়িভাড়া বাড়ানো যাবে না। বাড়িভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।’
মালিকের ইচ্ছামতো বাসাভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায় কি না- এ বিষয়ে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সিনিয়র আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিম বলেন, ‘বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন আছে, যেটা ভাড়াটিয়া কিংবা মালিক কেউ ফলো করেন না। মালিক খেয়ালখুশি মতো ভাড়া বাড়াতে পারবেন না। আইনের বিধান সাপেক্ষে, কোনো বাড়ির ভাড়া মানসম্মত ভাড়ার বেশি বাড়ালে সেই অধিক ভাড়া কোনো চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও, তা আদায়যোগ্য হবে না। তবে সুনির্দিষ্ট চুক্তি না থাকলে বাড়ির মালিক ভাড়া বাড়াতে পারবেন, কিন্তু সেটা যৌক্তিক হতে হবে।’

আর্থিক সংকটে বাড়ছে সাবলেট
প্রতিনিয়ত বাড়ছে খাদ্যপণ্যের দাম, এর প্রভাব পড়ছে অন্য পণ্যেও। অথচ সেভাবে বাড়ছে না আয়। এতে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে খাদ্যপণ্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ হিসাবে, গত নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এটি গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার। ডিসেম্বরেও প্রায় ১৩ শতাংশ ছিল। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল। আর এসবের প্রভাব পড়ছে নগরের অধিবাসীদের বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ওপর। এতে অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন সাবলেট নিতে।
কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আহসান হাবীবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে ছোটো ফ্ল্যাট নিয়ে ছিলাম। এখন আর আয় ও ব্যয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছি না। বাচ্চাকে এবার স্কুলে ভর্তি করতে হবে। খরচ বাড়বে সেখানেও। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে সাবলেট বেছে নিয়েছি।’
শফিউল্লাহ কারওয়ান বাজারে সবজির ব্যবসা করেন। তিনি গত মাসে পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে চলতি মাস থেকে সাবলেট নিয়ে থাকছেন। শফিউল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনেকেই সাবলেট ছেড়ে ফ্ল্যাটে ওঠেন, আমি এখন ছোট ফ্ল্যাট ছেড়ে সাবলেটে উঠেছি। এতদিন চলেছি, এখন পারছি না। গ্রামে বাবা-মা রয়েছেন, বাচ্চাটার স্কুল খরচ, পরিবারের বাজার-সদাই নিয়ে আর চলে না। খাওয়া খরচ এখন দ্বিগুণ হয়েছে। এখন দুই ভাই মিলে সাবলেট নিয়েছি আর পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়েছি।’
সাবলেট নিয়েও স্বস্তিতে নেই অনেকে। সেখানেও মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাড়তি ঝামেলা। আজিমপুর এলাকায় সাবলেট নিয়ে থাকা ফেরদৌস জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাবলেট নিয়ে থাকা মানে অন্য একটি পরিবার কিংবা অন্য সংস্কৃতির কিছু মানুষের সঙ্গে থাকা। এটা বেশ কষ্টের। নতুন বছরে নিরাপত্তা বিল বাবদ অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিতে বলেন ফ্ল্যাটের মালিক। এর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে ভাড়া। এটি অমানবিক।’
অর্থাভাবে নগরে বসবাসকারীদের ‘কোয়ালিটি লাইফ’ কমে যাচ্ছে। এতে নগরজীবনে আর্থিক সংকটে চাহিদা বাড়ছে সাবলেটের। আনিসুর রহমান একটি সরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। প্রায় ২৪ হাজার টাকা বেতন তার। তিনি থাকছেন রাজধানীর রেলওয়ে কলোনিতে একটি সাবলেট রুমে। আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে পারছি না। এ কারণে একটা ভালো বাসায় রাতযাপন করবো সেটাও হয়ে ওঠে না। পরিবার গ্রামে থাকে, মাঝে মধ্যে আত্মীয় আসে ঢাকায়। তাদের কথা ভেবে মেসে থাকতে পারছি না। একটা সাবলেট বাসায় থাকতে হচ্ছে। সেখানেও প্রায় আট হাজার টাকা চলে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারায়ে সুলতান বাহার বলেন, ‘রাজধানীর বাসার মালিকের অবস্থা মনে হয় খুবই করুণ। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ভাড়া দিয়েই তার সংসার চলে। ভাড়া কম হলে চলতে পারবেন না, তাই প্রতি বছরই বাড়াতে হবে। দেশের অর্থনীতি আগের মতো নেই, এ অবস্থা থেকে সরে আসা উচিত। এখন মানবিক হওয়া উচিত। মানিবকতার পরিচয় দেওয়া উচিত। মানুষের হাতে টাকা এলে বা নিত্যপণ্যের দাম কম হলে তখন বাড়াতে পারেন, এখন বাড়ানোটা অমানবিক।’

মেসেও মিলছে না স্বস্তি
সুমাইয়া আক্তার পাখি, ধোলাইখাল এলাকায় একটি মেসে থাকেন। পড়াশোনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। টিউশনি করার পাশাপাশি একটি কোচিং সেন্টারেও খণ্ডকালীন চাকরি করেন। চারজন মিলে এক রুমের মেসে থাকছেন। খাওয়া ও মেসভাড়া বাবদ মাসে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার টাকা চলে যায়। তার মাসিক আয় গড়ে সাত হাজার টাকার কিছু বেশি।
পাখি বলেন, ‘একটা সময় ছিল পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে সব খরচ হয়ে যেত। হাতে বাড়তি দেড়-দুই হাজার টাকা থাকতো। এখন মাস যায়, খরচ বাড়ে। মালিক ভাড়া বাড়িয়েছেন, এতে এক ধাপে মেস খরচ ৫০০ টাকা বেড়েছে। চাল-তেলের দামও বাড়তি। এখন সব খরচ শেষে আর হাতে টাকা থাকে না।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্র নাসিরুল ইসলাম থাকেন লালবাগ এলাকার একটি মেসে। একটা সময় বাড়ি থেকে টাকা এনে পড়াশোনা চললেও প্রায় তিন বছর ধরে নিজের টাকায় চলতে হয়। পার্টটাইম চাকরির পাশাপাশি চলছে চাকরির পড়া। মেসের ভাড়া, খাবার খরচ জোগাতে এখন চাইলেও ভালো খাবার বা কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয় না তার।
নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সব কিছুর দাম বেড়েছে দেখে মেসের মালিক নিজেই মেসের ভাড়া বাড়িয়েছেন। আগে মেসের ভাড়ার সঙ্গে পানি-বিদ্যুৎ থাকলেও এখন আলাদা করে আরও ৫৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বাড়ি থেকেও টাকা নিতে পারি না, আবার আয়ও বাড়েনি। চাইলেও বাড়তি কাজ করতে পারছি না, চাকরির প্রস্তুতির কারণে। সবমিলিয়ে একটা কঠিন সময় পার করছি।’

ঢাকায় আয় অনুযায়ী যেসব বাসায় থাকেন ভাড়াটিয়ারা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, মিরপুর, গুলশান, বনানী ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০ হাজার টাকা আয়েও থাকতে হচ্ছে ঝুপড়ি ঘরে। অর্ধলাখ টাকা আয় না হলে মানসম্মত আবাসনে থাকার ব্যবস্থা নেই। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেটস অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন বা রিহ্যাব।
রিহ্যাব গবেষণা সেলের তথ্য বলছে, রাজধানী ঢাকায় যাদের আয় ২০ হাজার বা ২০ হাজার টাকার মধ্যে তাদের ভরসা তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার কোনো ঝুপড়ি ঘর। এ ঘরে পরিবার নিয়ে কোনোরকমে থাকছেন তারা। যাদের আয় ২১ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা তারা থাকছেন ছয় থেকে ১০ হাজার টাকায়, সাবলেট। ৩১ থেকে ৪০ হাজার টাকা যাদের আয়, তারা থাকছেন ছোট আকারের কোনো ফ্ল্যাটে। যেগুলোর ভাড়া ১১ থেকে ১৪ হাজার টাকার মধ্যে।
যাদের আয় ৪১ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে তারা থাকছেন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার ফ্ল্যাটে। যেগুলোর আয়তন ১১০০ থেকে ১১৫০ বর্গফুট। ৫১ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয়ের মানুষের ভরসা ১১৫০ থেকে ১২০০ বর্গফুটের কোনো ফ্ল্যাট, যেগুলোর ভাড়া ২১ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। ৮০ থেকে এক লাখ টাকা আয়ের মানুষ থাকছেন ১২০০ থেকে ১৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটে- যেগুলোর ভাড়া ৩১ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ভালো মানের ১৫০০ বর্গফুট বা তারচেয়ে একটু বড় কোনো বাসায় থাকতে হলে অবশ্যই একলাখ টাকার বেশি তাকে আয় করতে হবে। যেগুলোর ভাড়া ৪০ হাজার টাকা বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়তে এলাকাভিত্তিক ম্যাপিং করে বসবাসের উপযোগী করা যায়। ওয়ার্ডভিত্তিক নগর পরিকল্পনা প্রণয়নে টেকসই নগর গড়ে তোলাও সম্ভব। যেখানে সব শ্রেণির আয়ের মানুষের জন্য বাসযোগ্য নগর প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে লাখ লাখ মানুষের বসবাস এড়িয়ে কোনো উন্নয়ন সম্ভব হবে না। নগরে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের আবাসনের প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে।’


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
 
জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা নিহত
জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা নিহত
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের সোপোর এলাকায় অভিযানের সময় এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সোপোর পুলিশ বলছে, জেলার জালুরা গুজারপতিতে ...
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় কী ইঙ্গিত করলেন সাইফ
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় কী ইঙ্গিত করলেন সাইফ
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানকে কয়েকদিন আগে মধ্যরাতে ছুরিকাঘাতে জখম করা হয়। ছয়টি ছুরিকাঘাত লাগে তার। পরে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ...
৭ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার হবে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা
৭ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার হবে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা
আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হবে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ...
বেনজীরের রিসোর্টে এনবিআরের অভিযান, মিলেছে কর ফাঁকির প্রমাণ
বেনজীরের রিসোর্টে এনবিআরের অভিযান, মিলেছে কর ফাঁকির প্রমাণ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ...
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে অধ্যাদেশ জারি
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে অধ্যাদেশ জারি
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ করতে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে ...
তুরস্কের হোটেলে আগুন, ৬৬ জনের মৃত্যু
তুরস্কের হোটেলে আগুন, ৬৬ জনের মৃত্যু
তুরস্কের মধ্যাঞ্চলীয় বোলু প্রদেশের একটি স্কি রিসোর্টের হোটেলে আগুন লেগে ৬৬ জন নিহত ও কমপক্ষে ৫১ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় ...
২ বছরের ওয়ারেন্টি ও স্ক্রিন প্রোটেকশন সুবিধা নিশ্চিতে একযোগে কাজ করবে ওয়াদা ও অনার
২ বছরের ওয়ারেন্টি ও স্ক্রিন প্রোটেকশন সুবিধা নিশ্চিতে একযোগে কাজ করবে ওয়াদা ও অনার
শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনার বাংলাদেশ সম্প্রতি, ডিভাইসকে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দিতে ওয়াদার সাথে অংশীদারিত্ব করেছে। অনার বাংলাদেশ এর সকল ...
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীর প্রতিবাদ সভা
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীর প্রতিবাদ সভা
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চৌহাটি, বাঁশপুকুর, কাজীপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির এবং জীবন ও বসতভিটা রক্ষা ...
ফকিরহাটে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে আলোচনা সভা
ফকিরহাটে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে আলোচনা সভা
বাগেরহাটের ফকিরহাটে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়রি) বেলা ১১টায় বাহিরদিয়া-মানসা পাবলিক ...
১০
মৌলভীবাজারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন
মৌলভীবাজারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন
"জ্ঞান-বিজ্ঞানে করবো জয়, সেরা হবো বিশ্বময়" এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৪৬ তম ...
 
ঢাকা বার এডভোকেটস্ ক্লার্ক নির্বাচন: আলোচনায় তুঙ্গে সভাপতি প্রার্থী রফিক
ঢাকা বার এডভোকেটস্ ক্লার্ক নির্বাচন: আলোচনায় তুঙ্গে সভাপতি প্রার্থী রফিক
ঢাকা বার এডভোকেটস্ ক্লার্ক এসোসিয়েশন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে আইনজীবী পাড়া। নির্বাচন ঘিরে আইনজীবী পাড়ায় আলোচনায় তুঙ্গে রয়েছেন সভাপতি ...
হামযা রা. সালাফিয়্যাহ মডেল মাদরাসার আয়োজনে ফিরে দেখা ২০২৪ র্শীষক সভা অনুষ্ঠিত
হামযা রা. সালাফিয়্যাহ মডেল মাদরাসার আয়োজনে ফিরে দেখা ২০২৪ র্শীষক সভা অনুষ্ঠিত
রাসূল (ছা.)-এর পূর্নাঙ্গ অনুসরণে ছালাত আদায়, কুরআন কারীম এবং দলিল ভিত্তিক বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে ইসলাম প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে ...
আইয়ুব খান নতুনধারার সহ-সম্পাদক মনোনীত
আইয়ুব খান নতুনধারার সহ-সম্পাদক মনোনীত
নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন আইয়ুব খান। ১৮ জানুয়ারি বিকেল ৪ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই মনোনয়ন দেন নতুনধারা ...
নাম-পরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব দিতে হচ্ছে আইন
নাম-পরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব দিতে হচ্ছে আইন
নাম-পরিচয়হীন ও পরিত‌্যাগ করা শিশুদের অধিকার রক্ষায় একটি আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এসব শিশুর অভিভাবকত্ব দেওয়ার মাধ‌্যমে তাদের বেঁচে থাকা, ...
তালেবান শাসনকে বৈধতা না দেওয়ার আহ্বান মালালার
তালেবান শাসনকে বৈধতা না দেওয়ার আহ্বান মালালার
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই মুসলিম নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন আফগান তালেবান সরকারের শাসনকে বৈধতা না দেন ...
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রমকালে বিজিবি কতৃক বাংলাদেশী যুবক আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রমকালে বিজিবি কতৃক বাংলাদেশী যুবক আটক
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় সীমান্তে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রমকালে বিজিবি টহলদল মো: নাঈম আহম্মেদ (২২) নামে এক যুবককে আটক করে। সোমবার ...
সিলেটের ঝালোপাড়ায় অগ্নিকাণ্ড: মার্কেট ও বসত ঘর ভস্মীভূত
সিলেটের ঝালোপাড়ায় অগ্নিকাণ্ড: মার্কেট ও বসত ঘর ভস্মীভূত
সিলেটের চাঁদনীঘাটের ঝালোপাড়া  এম রহমান  মার্কেটে  অগ্নিকাণ্ডে  ১০টি দোকান ও ২টি পুড়ে ভস্মীভূত  হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায়  ব্যবসা ...
ফ্যাসিবাদীদের পলায়নে সহায়তাকারীরা বিমানবন্দরে এখনো বহাল তবিয়তে
ফ্যাসিবাদীদের পলায়নে সহায়তাকারীরা বিমানবন্দরে এখনো বহাল তবিয়তে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের পর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর ব্যবহার করে দেশ ছেড়েছেন ফ্যাসিবাদের দোসর ও গণহত্যায় হুকুমদাতাদের অনেকে। কারো চোখে ...
টিউলিপের পর এবার নজর তার দিকে: যোগ্যকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল
টিউলিপের পর এবার নজর তার দিকে: যোগ্যকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল
দুর্নীতি ও অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগে কয়েকদিন আগে যুক্তরাজ্যের সিটি মন্ত্রীর পদ হারান শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এবার তার ...
১০
জয়পুরহাটে কুসুম্বা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোমেনা
জয়পুরহাটে কুসুম্বা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোমেনা
জুলাই-আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সামনে দাঁড়াতে না পেয়ে গত বছর ৫ আগষ্ট/২৪ আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দেশ থেকে পলিয়ে ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com