/ মতামত / আতঙ্ক আর হতাশার মধ্যেই ট্রাম্পের যাত্রা
আতঙ্ক আর হতাশার মধ্যেই ট্রাম্পের যাত্রা
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Sunday, 26 January, 2025 at 9:54 AM
আতঙ্ক আর হতাশার মধ্যেই ট্রাম্পের যাত্রা দ্বিতীয় বারের মত হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, আর তার এই ফেরা বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই তার ঘোষিত 'আমেরিকা ফার্স্ট' মূলনীতি বাস্তবায়ন শুরু করবেন। ট্রাম্পের এই এজেন্ডা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির খুঁটিনাটি তো পরিবর্তন করবেই, পাশাপাশি এর ফলে আমেরিকার সীমানার বাইরে বসবাস করা কোটি মানুষের জীবনও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে। প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হতে পারে, তা নিয়ে মানুষের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিভিন্ন বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ একদিনের মধ্যে শেষ করতে পারবেন। যদিও সেটি ঠিক কীভাবে করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কখনোই খোলাসা করেননি তিনি।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে কোটি কোটি ডলার সেনা অনুদান দিয়েছে, ট্রাম্প সবসময়ই সেটির কড়া সমালোচক ছিলেন। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সাথে দেখা করতে চান এবং ট্রাম্পের সহযোগীরা ঐ বৈঠকের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি সহ ৩২টি দেশের সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা নেটো বহুদিন ধরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের চক্ষুশূল।তিনি প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন হুমকি দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রকে নেটো থেকে প্রত্যাহার করে নেবেন যদি নেটো সদস্যরা তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজ নিজ দেশের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় না করে। সেসময় তিনি এও বলেছিলেন যে, কোনো দেশ যদি প্রতিরক্ষা খাতে তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ ব্যয় না করে তাহলে তারা আক্রমণের শিকার হলেও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহায়তা করবে না। 

চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে ট্রাম্প নেটোর ইউরোপীয় সদস্যদের আহ্বান জানান, যেন তারা প্রতিরক্ষায় ব্যয় বাড়ায় এবং তাদের জাতীয় আয়ের পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ করে। ট্রাম্পের নির্বাচনি ওয়েবসাইটের বর্ণনা অনুযায়ী তার লক্ষ্য হলো- নেটোর উদ্দেশ্য ও মূলনীতির পুনর্মূল্যায়ন।যুক্তরাষ্ট্রকে এই জোট থেকে তিনি কখনোই সরিয়ে নেবেন কিনা, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের দ্বিমত আছে। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক মনে করেন জোটের সদস্য হিসেবে থেকেও নেটোর প্রতি গুরুত্ব কমিয়ে দিতে পারেন ট্রাম্প। মিশেল ওবামা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান কেন বর্জন করছেন, তা নিয়ে খুব বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। স্পষ্টতই এই সাবেক ফার্স্ট লেডি ট্রাম্পকে পছন্দ করেন না। কারণ, ট্রাম্প একজন বর্ণবাদী ও নারীবিদ্বেষী। ইউরোপের অনেক মার্কিন মিত্রদেশও যদি পারত, তাহলে ট্রাম্পকে বর্জন করত। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আগামী চার বছর তাদের ট্রাম্পকে নিয়েই চলতে হবে। তবে কথা হলো, সবাই কিন্তু ট্রাম্পকে একইভাবে দেখে না। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস-এর জরিপে দেখা গেছে, চীন, ভারত, রাশিয়া, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে ট্রাম্পের ফিরে আসাকে স্বাগত জানানো মানুষের সংখ্যা তাঁকে প্রত্যাখ্যানকারীদের চেয়ে বেশি। তার বিপরীতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে ট্রাম্পের ফিরে আসাটা রীতিমতো আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাস্তব অবস্থার কারণেই মিশেল ওবামার মতো ট্রাম্পকে প্রত্যাখ্যান করা বেশির ভাগের জন্য বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা ও প্রভাব কমে গেলেও একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একেবারে অগ্রাহ্য করা বাস্তবসম্মত নয়; সম্ভবও নয়। আর অনেক বড় দেশই মনে করে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ তাদের জন্য লাভজনক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলো ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। তারা ট্রাম্পকে বিশ্বাস করতে পারছে না। 

তবে তারা যদি ট্রাম্পের কাছ থেকে একেবারে দূরে সরে দাঁড়ায়, তাহলে বিশ্বরাজনীতিতে তাদের গুরুত্ব হারানোর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। উদীয়মান শক্তিধর দেশগুলো মনে করছে, ট্রাম্পের আদর্শহীন, জাতীয়তাবাদী ও স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমান সময়ের জন্য বেশি উপযোগী। আসলে এটি তাদের নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। তাদের কাছে ট্রাম্প এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের প্রতীক। কিন্তু ট্রাম্প ইস্যুতে এটি কি তাদের ভুল সিদ্ধান্ত হবে, যা কিনা পরে তাদের জন্য আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে? জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চার্লস কাপচান মনে করেন, ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি কোনো নির্দিষ্ট নীতি বা আদর্শের ধার ধারে না। ফলে তাঁর পররাষ্ট্রনীতি ভালো বা খারাপ, যেকোনো দিকেই যেতে পারে। এ অবস্থায় ট্রাম্পকে সঠিক পথে চালিত করা, তাঁর সঙ্গে কৌশলে কাজ করা এবং তাঁর খারাপ সিদ্ধান্তগুলোর প্রভাব কমানোটাই বিদেশি নেতাদের জন্য আসল কাজ হবে। ট্রাম্পের কাজকারবার ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়। থ্যাচার পুরোনো ব্যবস্থা ভেঙে ফেলেছিলেন; কিন্তু নতুন করে কিছু তৈরি করতে পারেননি। সেই দিকটার ওপর জোর দিয়ে কাপচান সতর্ক করে বলেছেন, ‘ট্রাম্প একজন ধ্বংসাত্মক নেতা, তিনি ভাঙতে জানেন, কিন্তু গড়তে জানেন না। সম্ভবত তিনি নতুন ও উন্নত আন্তর্জাতিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন না, উল্টো পুরোনো ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে আমেরিকা ও বিশ্বকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ফেলে রেখে যাবেন। এ ক্ষেত্রে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, হাঙ্গেরির ভিক্তর ওরবান ও ন্যাটোপ্রধান মার্ক রুটের নাম শোনা গেলেও তাঁদের কারও একার পক্ষে ট্রাম্পের মতো পাগলা ঘোড়াকে সামলানোর ক্ষমতা নেই। তাই ট্রাম্পকে সামলানোর নেতা এখন বিশ্বের জন্য খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। আসলে এখন ট্রাম্পের ভালো-মন্দ ধারণার একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের সামনে রয়েছে। 

ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার খরচ দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে কেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেন, তা তিনি বোঝেন। ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তিনি ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন; তবে এর জন্য ইউক্রেনকে হয়তো কিছু অঞ্চল রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিতে হবে এবং রাশিয়াকেও তার আগ্রাসনের পুরস্কার হিসেবে সেটি মেনে নিতে হবে। তবে ট্রাম্প সম্ভবত জানেন, বাইডেন যে ভুল করে আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, সেটি করা যাবে না। তিনি রাশিয়া, চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে বড় জয় পেতে দিতে চান না। তাই অনেকে বলছেন, ট্রাম্প হয়তো উল্টো ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করার বদলে তা আরও বাড়িয়ে দিতে পারেন, যাতে কিয়েভ ভবিষ্যৎ আলোচনায় শক্ত অবস্থানে থাকতে পারে। আসলে এ মুহূর্তে ইউরোপের নেতারা ও ট্রাম্পবিরোধীরা শুধু দর্শকের ভূমিকায় আছেন। যদি সবকিছু খারাপের দিকে যায়, তাহলে ট্রাম্প বিজয়ী হবেন। আর তা হলে তিনি হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে থাকবেন, পুরোনো মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন, দেশে-বিদেশে গণতন্ত্রকে অবহেলা করবেন এবং স্বৈরশাসকদের প্রশ্রয় দেবেন। যদি তাই হয়, তাহলে কে তাঁকে সামলাবে? এ প্রশ্নের উত্তর খুব দ্রুত প্রয়োজন।ট্রাম্প যদিও গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পরই প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে যোগ দিচ্ছেন, তবে এর দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে তাকে বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়েই যেতে হবে। অর্থাৎ এই যুদ্ধ পাকাপাকিভাবে বন্ধ করাটা ট্রাম্পের জন্য কঠিন হবে। ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ইসরায়েলের পক্ষে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে দাবি করা ও তেল আভিভ থেকে মার্কিন অ্যাম্বাসি জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত।

এছাড়া ইরানের বিরুদ্ধেও তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। সেসময় যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ায় ও ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করে। সমালোচকদের অনেকের মতে, ট্রাম্পের নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে ও এর ফলে ফিলিস্তিনিরা কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি ক্ষমতায় থাকার সময় আব্রাহাম অ্যাকর্ডের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করেন এবং ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান আর মরক্কোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চালান। তবে, ঐ চুক্তিতে আরব দেশগুলোর শর্ত ছিল যে ভবিষ্যতে ইসরায়েল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে, যে শর্ত সেবারও মানা হয়নি। গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পর ট্রাম্প বলেন যে, তিনি আব্রাহাম অ্যাকর্ডের ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি প্রয়োগ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা' করবেন। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন এর অর্থ সৌদি আরব আর ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা স্থাপন করার চেষ্টা করবেন তিনি। ট্রাম্প প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালীন চীনের সাথে একপ্রকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। এই দফায়ও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কর আরোপ করবেন তিনি। নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্প এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে চীন যদি তাইওয়ান অবরোধ করার চেষ্টা করে তাহলে চীনের ওপর আরো কঠোর কর আরোপ করা হবে। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ধারণার বিরোধী হিসেবে পরিচিত। গ্রিন এনার্জি বা পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির ধারণাকে এর আগে জালিয়াতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে তিনি আবারো যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেবেন বলে মনে করেন অনেকে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নেয়া সিদ্ধান্ত বদলে জো বাইডেন ২০২১ সালে প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করেন।

জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া বৈশ্বিক জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য হুমকিস্বরুপ। যথাযথ অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশুতি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনি প্রচারণার একটি অন্যতম প্রধান অংশ। হোয়াইট হাউজে বসে প্রথম দিন থেকেই তিনি 'যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণ বিতারিতকরণ কর্মসূচী' শুরু করবেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই যে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব অর্থাৎ জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের বিধান-সেই নীতিও পরিবর্তন করার লক্ষ্য আছে নতুন প্রেসিডেন্টের। অন্যদিকে, পণ্য ও মালামাল পরিবহনের পথ পানামা খাল অতিরিক্ত ব্যয়বহুল এবং এই পথ দিয়ে পণ্য পরিবহনের খরচ না কমলে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খালের দখল নিয়ে নেবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও যুক্তরাষ্ট্র হয়তো এই দুই অঞ্চলের একটিরও নিয়ন্ত্রণ নেবে না, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য আর 'আমেরিকা ফার্স্ট' মূলনীতির অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র তাদের সীমানার বাইরে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে, পণ্য ও মালামাল পরিবহনের পথ পানামা খাল অতিরিক্ত ব্যয়বহুল এবং এই পথ দিয়ে পণ্য পরিবহনের খরচ না কমলে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খালের দখল নিয়ে নেবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও যুক্তরাষ্ট্র হয়তো এই দুই অঞ্চলের একটিরও নিয়ন্ত্রণ নেবে না, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য আর 'আমেরিকা ফার্স্ট' মূলনীতির অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র তাদের সীমানার বাইরে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন চালিয়ে যাবে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 



পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
সিন্ডিকেটে জিম্মি যাত্রীরা, লাগামহীন বিমান ভাড়া
সিন্ডিকেটে জিম্মি যাত্রীরা, লাগামহীন বিমান ভাড়া
নানা উদ্যোগ নিয়েও সিন্ডিকেটমুক্ত করা যাচ্ছে না আকাশ পথ। কিছু চক্র সিন্ডিকেট গড়ে তুলে জিম্মি করে যাত্রীদের পকেট কাটছে। তারা ...
এমপি পদ থেকে টিউলিপের অপসারণ চায় কনজারভেটিভ পার্টি
এমপি পদ থেকে টিউলিপের অপসারণ চায় কনজারভেটিভ পার্টি
মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেও রেহাই মিলছে না টিউলিপ সিদ্দিকের। মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেও তার এমপি পদ বহাল আছে। তাই বৃটেনের ...
২৮শে অক্টোবরের আগে ২০ লাখ গোলাবারুদ আনে হাসিনা সরকার
২৮শে অক্টোবরের আগে ২০ লাখ গোলাবারুদ আনে হাসিনা সরকার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলন দমাতে তুরস্ক থেকে ২০ লাখ গোলাবারুদ আমদানি করে আওয়ামী লীগ সরকার। মূলত ...
মাদক সেবন করতে এসে সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশের জালে চিহ্নিত দুই ছিনতাইকারী
মাদক সেবন করতে এসে সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশের জালে চিহ্নিত দুই ছিনতাইকারী
সিলেট মেট্রোপলিটন  এলাকায়  ছিনতাইকারীদের কবল নিরাপদ রাখতে  এবং জান মালের নিরাপত্তা দিতে  এসএমপির পুলিশ  কমিশনার মো: রেজাউল করিম  পিপিএম  ( ...
স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে জয়পুরহাটের আলুচাষিদের
স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে জয়পুরহাটের আলুচাষিদের
হিমাগারে আলু রাখার সময় দাম ছিল ১৩ থেকে ১৬ টাকা কেজি। তবে হিমাগার থেকে বের করার সময় বীজ আলুর দাম ...
হাসিনা ঘনিষ্ঠদের অর্থ লোপাট তদন্তে অডিটর নিয়োগ বাংলাদেশ ব্যাংকের
হাসিনা ঘনিষ্ঠদের অর্থ লোপাট তদন্তে অডিটর নিয়োগ বাংলাদেশ ব্যাংকের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অর্থ লোপাট তদন্তে ইওয়াই, ডেলোওয়েট এবং কেপিএমজি নামের তিনটি অডিট প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ...
ইসলামী ব্যাংকে লাখ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, জড়িত এস আলম ঘনিষ্ঠ ২৪
ইসলামী ব্যাংকে লাখ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, জড়িত এস আলম ঘনিষ্ঠ ২৪
ঋণের নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে এস আলম গ্রুপ। লুটপাটের সেই অর্থ হাজার কোটি ছাড়িয়ে লাখ ...
রোহিঙ্গা সহায়তা অব্যাহত থাকবে, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
রোহিঙ্গা সহায়তা অব্যাহত থাকবে, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশে আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ ...
রোহিঙ্গা নিয়ে সম্মেলন সেপ্টেম্বরে, অংশ নিতে পারে ৭০ দেশ-সংস্থা
রোহিঙ্গা নিয়ে সম্মেলন সেপ্টেম্বরে, অংশ নিতে পারে ৭০ দেশ-সংস্থা
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে ...
১০
সাইফউদ্দিনের লড়াই বিফলে: বিদেশি ছাড়াই রংপুরের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয় রাজশাহীর
সাইফউদ্দিনের লড়াই বিফলে: বিদেশি ছাড়াই রংপুরের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয় রাজশাহীর
পারিশ্রমিক জটিলতায় বিদেশিরা খেলতে চাননি। বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন ভেঙে ‘বিশেষ ব্যবস্থা’য় স্বদেশিদের নিয়েই একাদশ সাজায় দুর্বার রাজশাহী। আর এই দল ...
 
ঢাকা বার এডভোকেটস্ ক্লার্ক নির্বাচন: আলোচনায় তুঙ্গে সভাপতি প্রার্থী রফিক
ঢাকা বার এডভোকেটস্ ক্লার্ক নির্বাচন: আলোচনায় তুঙ্গে সভাপতি প্রার্থী রফিক
ঢাকা বার এডভোকেটস্ ক্লার্ক এসোসিয়েশন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে আইনজীবী পাড়া। নির্বাচন ঘিরে আইনজীবী পাড়ায় আলোচনায় তুঙ্গে রয়েছেন সভাপতি ...
আত্রাইয়ে হাতুরি পিথটুনিতে আহত কৃষি শ্রমীকের মৃত্যু
আত্রাইয়ে হাতুরি পিথটুনিতে আহত কৃষি শ্রমীকের মৃত্যু
নওগাঁর আত্রাইয়ে ধান রোপনকে কেন্দ্র করে মারপিটে আহত কৃষি শ্রমীক আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৮) মারা গেছেন।মঙ্গলবার সন্ধায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী ...
শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ
শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এ উপলক্ষে ...
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রমকালে বিজিবি কতৃক বাংলাদেশী যুবক আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রমকালে বিজিবি কতৃক বাংলাদেশী যুবক আটক
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় সীমান্তে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রমকালে বিজিবি টহলদল মো: নাঈম আহম্মেদ (২২) নামে এক যুবককে আটক করে। সোমবার ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাফসির মাহফিলের অর্থ নিয়ে ভারতীয় বক্তার প্রতারণা, দাবী আয়োজক কমিটির
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাফসির মাহফিলের অর্থ নিয়ে ভারতীয় বক্তার প্রতারণা, দাবী আয়োজক কমিটির
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি গোরস্থানের উন্নয়নের জন্য আয়োজিত তাফসির মাহফিলের বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ভারতীয় বক্তার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ...
ঠাকুরগাঁয়ে শীতের উষ্ণতা বিলাতে অভিনয় কায়দা !
ঠাকুরগাঁয়ে শীতের উষ্ণতা বিলাতে অভিনয় কায়দা !
ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের (জুলুমবস্তি) উদ্যোগে পাঁচ শতাধিক হতদরিদ্র, অসহায় ও এতিমদের মাঝে শীত বস্ত্র লেপ বিতরণ করা হয়েছে।সোমবার ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তেলকুপী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত, বিজিবির প্রতিবাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তেলকুপী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত, বিজিবির প্রতিবাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকুপি সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশী নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত পৌণে ...
বাবু হত্যার ঘটনায় উত্তাল পল্লবী, জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি
বাবু হত্যার ঘটনায় উত্তাল পল্লবী, জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি
রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ব্লেড বাবু হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে পল্লবীর সাধারণ মানুষ। ...
মাদক সেবন করতে এসে সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশের জালে চিহ্নিত দুই ছিনতাইকারী
মাদক সেবন করতে এসে সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশের জালে চিহ্নিত দুই ছিনতাইকারী
সিলেট মেট্রোপলিটন  এলাকায়  ছিনতাইকারীদের কবল নিরাপদ রাখতে  এবং জান মালের নিরাপত্তা দিতে  এসএমপির পুলিশ  কমিশনার মো: রেজাউল করিম  পিপিএম  ( ...
১০
ছুরিকাঘাতে ‘ব্লেড বাবু’ নিহত
ছুরিকাঘাতে ‘ব্লেড বাবু’ নিহত
রাজধানীর পল্লবীতে দুষ্কৃতিকারীদের ছুরিকাঘাতে ‘ব্লেড বাবু’ নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকাল পৌনে ৫টায় পল্লবীর টেকেরবাড়ি এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com