![]() পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে
কুয়েল ইসলাম সিহাত, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
|
![]() মসজিদটি নির্মাণ করতেছেন ডাক্তার মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব খাঁন একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি এর পাশাপশি তার নিজ গ্রামে শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় মা' হাকিমন নেছার নামে বিদ্যা নিকেতন ও বাবার নামে মোহাম্মদ আকালিয়া খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। মূলত তার মা'-বাবার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ২০১৬ সালে ৮০ শতক জমির উপরে ২০১৬ সালে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। পরে স্কুল দু'টির পাশে সাড়ে ১৬ শতক জমির উপর একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মিত হচ্ছে স্থানীয় সমাজের মানুষের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে। মসজিদটি ৫ হাজার স্কয়ার ফিট এ মসজিদে প্রায় ১ হাজার লোক জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারবে। মসজিদের ভিতরে ও বাহিরে যে সমস্ত টাইলস ও মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে সব বিদেশী। এখানে মহিলাদের জন্য এই মসজিদে রয়েছে আলাদা অযু খানা ও নামাজের ব্যবস্থা। মসজিদে প্রতি লাইনে ৬০ জনকে ১২টি লাইনে প্রায় ১ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। নামাজ পড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগের প্রস্ততিও গ্রহন করা হয়েছে। স্কুল ও মসজিদ নির্মানের কর্নধার ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব খান জানান, মসজিদের সামনে ফাকা জায়গায় পাকা করে সেখানে মৃত ব্যক্তির গোসল করানোর ব্যবস্থা ও নামাজের জানাজার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। সেই সাথে ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মসজিদের পাশে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও প্রতি বছর দুই ঈদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, হাকিমন নেছা বিদ্যা নিকেতন নামে একটি প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুল চালু করেছি। সেখানে নার্সারি হতে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত আর ৬ষ্ঠ শ্রেনী হতে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান করার জন্য সেখানে মোহাম্মদ আকালিয়া খান উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। এটি কলেজে রুপান্তর করা হবে। এলাকার গরীব অসহায় লোকজনের স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়ানোর জন্য এখানে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ করার জন্যও চেষ্টা করছি। ধর্মীয় শিক্ষার জন্য এখানে একটি মাদ্রাসা (ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার) উদ্যোগও নেওয়া হবে তিনি জানান। |