![]() কোথায় হাঁটলে সুফল মেলে বেশি
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() তাদের লক্ষ্য ছিল বাইরে ব্যায়াম করলে শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয় এবং এর ফলে মানসিক প্রতিক্রিয়াও বাড়ে কিনা তা বোঝা। গবেষণায় শারীরিক পরিশ্রম মূল্যায়নের জন্য হৃদস্পন্দনের হার পরিমাপ করা হয়েছিল। এই গবেষণায় ৭৪ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছিল। প্রথম দলটি ০.৬ কিলোমিটার সমতল ফুটপাতে বাইরে হেঁটেছিল, অন্য দলটি ট্রেডমিলে ঘরের ভেতরে হেটেছিলো। উভয় দলই তাদের নিজস্ব গতি অনুসারে ১৫ মিনিট ধরে হেঁটেছিলো। সাত দিন ধরে এই পরীক্ষাটি চালিয়ে দু'টি দলের ছেলেমেয়েদেরই নানা রকম স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, যে দলটি বাইরে হেঁটেছে, তাদের হৃৎস্পন্দনের হার ভাল, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিও স্বাভাবিক, হজম ক্ষমতা অনেক উন্নত এবং মানসিক স্বাস্থ্যও খুব ভাল। আর যে দলটি ঘরের ভেতরে ট্রেডমিলে হেঁটেছে, তাদের শরীর ঠিক থাকলেও, মানসিক ভাবে অনেকেই উদ্বেগে ভুগছেন। হজমের সমস্যা রয়েছে অনেকের, ঘুমের সমস্যাও রয়েছে। গবেষকেরা দাবি করেছেন, প্রকৃতির মাঝে শরীরচর্চা করলে বা হাঁটলে ‘হ্যাপি’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যা শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। প্রকৃতির মাঝে যত থাকা যাবে ও প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যাবে, শব্দ শোনা যাবে, ততই মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমবে। বাইরে হাঁটার সুফল বেশি হলেও ঘরের ভিতরে হাঁটার যে কোনও উপকারিতাই নেই, তা নয়। যাঁরা বয়সের কারণে বাইরে হাঁটতে পারছেন না অথবা যাঁদের শারীরিক কোনও সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ঘরের ভিতরেই হাঁটতে পারেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই নিয়ে একটি সমীক্ষাও চালিয়েছিলেন। তাঁরা জানান, সারা দিনে যদি গুনে গুনে ১০ হাজার পা হাঁটা যায়, তা হলে ওজন তো কমবেই, হার্টও ভাল থাকবে। আচমকা হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া |