আজ সোমবার, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / ভারত-বাংলাদেশ সংকটের নেপথ্যে কী আছে
ভারত-বাংলাদেশ সংকটের নেপথ্যে কী আছে
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Monday, 10 March, 2025 at 12:06 AM
ভারত-বাংলাদেশ সংকটের নেপথ্যে কী আছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত দেড় দশকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছানোর কথা বলা হতো ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে পতন হয়েছে সেই সম্পর্কের। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক মোটামুটি সচল থাকলেও ভিসা বন্ধ। জনসাধারণ পর্যায়েও সম্পর্কের একটা বড় অবনতি হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের ভারত বিরোধী একটা অবস্থান এবং এর প্রকাশ দেখা গেছে। ভারতের সেভেন সির্স্টার্সকে টার্গেট করে বক্তব্য, হুঁশিয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় উদ্বেগ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ভারতে। পাঁচই আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে যান ভারতে। সেখানে পতিত শাসকদলের অনেক নেতাকর্মী ও হাসিনা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তার আশ্রয় মিলেছে। ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর অল্প ক’দিন নীরব থেকে শেখ হাসিনা অডিও-ভিডিও রেকর্ড ও অনলাইনে সমানে বাংলাদেশ নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক এ সময়ে বাংলাদেশে হাসিনার দেড় দশকের বেশি সময়ের শাসনামলে হত্যা, গুম, জঙ্গি নাটক ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ইস্যু এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিবেচ্য বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় পতিত প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের মুখোমুখি করতে দিল্লির কাছে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেয়ার এই চিঠি ঢাকার পক্ষ থেকে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর। সঙ্গত কারণে আলোচনা হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশটি বাংলাদেশে রাজনীতির কেমন বিন্যাসে কাজ করছে।ভারতের জনগণ ও রাজনৈতিক এলিটদের মধ্যে এক ধরনের বিভাজন রয়েছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক সামরিক ও গোয়েন্দা নীতি-প্রণেতাদের চাওয়াই দেশটির নীতিপদক্ষেপে রূপ নেয়।

২০০৬ সালের পরবর্তী সময় থেকে ২০২৪-এর আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৮ বছরব্যাপী বাংলাদেশের রাজনীতি ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে প্রতিবেশী দেশটির এক ধরনের প্রত্যক্ষ প্রভাব বিদ্যমান ছিল। এ সময়ের উল্লেখযোগ্য প্রতিটি ঘটনায় তার প্রভাব লক্ষ করা গেছে। ২১ আগস্ট ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বিরোধী দলের নেতাদের ফাঁসানো, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও জঙ্গি নাটক, আয়নাঘর ও বিডিআর বিদ্রোহ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইত্যাদির পেছনে এ প্রভাব অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটকে ক্ষমতায় আনা হয়। বিভিন্ন কূটনৈতিক অংশীদার ও আন্তর্জাতিক পক্ষ ক্ষমতার এ রূপান্তরের সহযোগী হওয়ায় এর অন্তর্নিহিত কারচুপি সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। এই মেয়াদকাল ছিল বাংলাদেশ-ভারত অধীনতামূলক সম্পর্কের রচনা বা কাঠামো তৈরির সময়কাল। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র দিল্লির চোখে ঢাকাকে দেখার নীতি নেয়ায় বাংলাদেশের প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা কাঠামোতে স্থান করে নেয়া ভারতের জন্য তেমন একটা কঠিন হয়নি। এ কাঠামো তৈরির একটি অংশ ছিল বলে মনে করা হয় পিলখানা হত্যাকাণ্ড বা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা। এ ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাবাহিনী ঢেলে সাজানো হয়। এ প্রক্রিয়া একটি রূপ পাওয়ার মধ্যে ২০১৪ সালে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আসে। আগের নির্বাচনে যেখানে একটি বৃহত্তর কূটনৈতিক সমর্থনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা সম্ভব হয়, এবার সেখানে সরাসরি ভূমিকা রাখে ভারত। আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় শেখ হাসিনা ও তার প্রতিবেশী দেশের উপদেষ্টারা বিরোধী পক্ষকে বাইরে রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেয়।

এ ছক অনুসারে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী পক্ষকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়। এর আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতীয় পক্ষের প্রভাব নিশ্চিত করতে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্য বিরোধী হিসেবে পরিচিত রাজনীতিবিদদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় আন্তর্জাতিক মানের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ কালাকানুন মার্কা আইনে। এই বিচারের মনগড়া রায় তৈরি ও তা এগিয়ে নিতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করে তা দিয়ে রাজনীতির গতিপথ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা নেয়া হয়। একে লক্ষ্য হাসিলের হাতিয়ার করার চেষ্টা হয়। এ সময় অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়। যেমন: ভারতের আধিপত্যের বিরোধিতাকারী বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রহসনের বিচার করে দুনিয়া থেকে বিদায় করা। এর মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশটি যাদের রাজনৈতিক শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের দুর্বল করা। কথিত জঙ্গি নাটক তৈরি করে এ শক্তিকে সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভাবে চাপে ফেলা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন অর্থনৈতিক সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো দখলে নিয়ে এ শক্তিকে কাঠামোগতভাবে দুর্বল করা। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা খাতে নিয়ন্ত্রক প্রভাব তৈরিতে এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পদোন্নতি ও পদায়ন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর বাইরে প্রশাসনের ভিত্তি মূলক হিসেবে পরিচিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা হয়। ২০২৪ সালের একদলীয় নির্বাচনের পর জনসমর্থনের তোয়াক্কার প্রয়োজন না হওয়ায় এ সময় সরকারের নীতি হয়ে দাঁড়ায় ক্ষমতার মূল সমর্থনকারী প্রতিবেশী দেশকে খুশি করা এবং তাদের চাওয়া পূরণ করা।লক্ষণীয়,এ জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে চীন বাংলাদেশের নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলেও দিল্লির বাধায় তা সীমিত থাকে।

আগস্ট বিপ্লব ছিল এক কথায় দেড় দশকের নিবর্তন মূলক ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে। বিপ্লবের পরে ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তী সরকার দেড় দশকের রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডকে জবাবদিহির আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কারে প্রথমে ছয়টি ও পরে আরো পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।জাতীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও পদক্ষেপের সুপারিশে একাধিক টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এসব জরুরি কাঠামোগত পদক্ষেপ ও নীতি গ্রহণের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে অস্থির করতে যেসব অন্তর্ঘাতমূলক কাজ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে উসকে দিয়ে বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করছে; সেগুলো মোকাবেলা করতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। হত্যা, গুম, মানবাধিকার হরণ ও গণহত্যার অপরাধগুলো বিচারের আওতায় আনতে ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়েছে। এই বিচার এগিয়ে নিতে আইন কর্মকর্তা ও পরামর্শক নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।স্বৈরাচারের সাজানো প্রশাসন পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করে সরকারের নীতি বাস্তবায়নের উপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেড় দশকে যেসব কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল তাদের মূলধারায় ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সাথে জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তিগুলো নতুন করে পর্যালোচনার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে পতিত স্বৈরাচারী দল আওয়ামী লীগ ও তার মিত্র দলগুলো ময়দান থেকে ছিটকে পড়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির জন্য অনেক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়ে আইনের মুখোমুখি হয়েছেন। এর সাথে ভারতের যে নিয়ন্ত্রক প্রভাব বাংলাদেশের প্রশাসনে ছিল তা কমতে শুরু করে। তাদের ১৫ বছরের কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আসায় জনমনে যে বিরূপ অবস্থা ছিল তা আরো তীব্র হতে শুরু করে। ফলে প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের অনেক সদস্য বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।

সার্বিকভাবে বাংলাদেশে প্রতিবেশী রাডার নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হতে থাকে। এ অবস্থায় কৌশল হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে প্রথমে পুলিশ-আনসার বিদ্রোহ, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে অস্থিরতা তৈরি এবং সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলার চেষ্টা করা হয়। এসব চেষ্টা ব্যর্থ হলে সামরিক চাপ প্রয়োগের প্রচেষ্টাও নেয়া হয়। এখন নতুন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কাঠামোতে প্রভাব বিস্তার করে অন্তর্বর্তী সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব বিদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। লক্ষ্য সামনে রেখে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে চাইছেন প্রতিবেশী দেশের নীতিনির্ধারকরা। তারা মনে করছেন, ২০২৫ সালে নির্বাচন করা হলে রাষ্ট্র সংস্কার ও ট্রাইব্যুনালে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে না। এছাড়াও বৈশ্বিক জনমত বিভ্রান্ত করতে বাংলাদেশ একটি উগ্রপন্থী ইসলামী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে বলে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকছে, যা কুয়াড, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে প্রচার করে যাচ্ছে।একই সাথে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ পাকিস্তানের জন্য সুরক্ষিত আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে। আন্তর্জাতিক চাপের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইইউ ও কুয়াডভুক্ত এবং অন্যান্য দেশের অ্যাম্বাসি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সামনে নিজেদের লোক দিয়ে বিক্ষোভ করানো হচ্ছে। কঠোর পন্থার অংশ হিসেবে ভারত তার বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে বাংলাদেশের ওপর ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ব্যাপক ভাবে মোতায়েন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ-সংলগ্ন ইন্টার্ন থিয়েটারে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে মিসাইলের মতো উন্নত অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে। রাফায়েল জঙ্গিবিমান ও অন্যান্য যুদ্ধবিমান এবং অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েনের মাধ্যমে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি এবং এ নিয়ে মিডিয়াতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

প্রতিবেশী দেশটি নিজেদের সব ধরনের এসেট ব্যবহার করে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলতে এবং পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র কার্যত অচল করে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনে সরকারের প্রতি অসহযোগিতার প্রবণতা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি করছে। প্রতিবেশী দেশের সর্বব্যাপী কৌশল মোকাবেলা করতে কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স জোরদার করতে হবে। তাদের গোপন কার্যক্রম শনাক্ত ও প্রতিহত করতে গোয়েন্দা ক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রোপাগান্ডা এবং ভারতের অ্যাসেট ও তাদের স্বার্থ রক্ষাকারীদের চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করতে হবে। আন্তর্জাতিক জোট তৈরি ও পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল সব বৃহৎ আন্তর্জাতিক শক্তির সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করতে হবে। একই সাথে জাতিসঙ্ঘ, কুয়াড ও ইইউসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতীয় প্রোপাগান্ডার জবাব দেয়া দরকার। আমাদের মনে রাখতে হবে, জাতীয় ঐক্য যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েনের সবচে উদ্বেগের বিষয় হলো ভারত-বাংলাদেশ জনগণের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতির দিকটি।সার্বিকভাবে দুদেশের সম্পর্কের গতি প্রকৃতি এখন নেতিবাচক বার্তাই দিচ্ছে। একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমাদের জন্য দরকার একইভাবে ভারতের জন্য দরকার। কারণ বাংলাদেশকে ঘিরে তার নিরাপত্তার বিষয় আছে, তার ব্যবসা বাণিজ্য আছে, তার বিনিয়োগ আছে তার ভূরাজনীতি আছে। সবগুলো ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ যদি তার সঙ্গে সহযোগী না হয় বা সহযোগিতা না করে তাহলে সেগুলো ভারতের জন্যই নতুন করে জটিলতা তৈরি করবে। এই বাস্তবতার আলোকেই বাংলাদেশ এবং ভারতের দুই দেশের নেতৃবৃন্দের এই উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় হওয়া দরকার।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করতে সংস্কার জরুরি
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করতে সংস্কার জরুরি
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কর্তৃত্ববাদী সরকারের উত্থান ও গণতন্ত্রের পিছু হটা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ব্যাপক এবং এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ...
আতঙ্কে ‘রাতের ভোটের সহযোগী’ সাবেক ডিসিরা
আতঙ্কে ‘রাতের ভোটের সহযোগী’ সাবেক ডিসিরা
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিতর্কিত তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনগুলোতে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৬৬ জন ...
হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্য শোডাউনে আতঙ্ক, যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্লেষকরা
হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্য শোডাউনে আতঙ্ক, যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্লেষকরা
আগস্টের পর, কারাগার থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বের হওয়ার পাশাপাশি, মুক্তি পান নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। যারা প্রকাশ্যে করেন সভা-সমাবেশ। শুক্রবার (৭ ...
যে ফলগুলো নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে
যে ফলগুলো নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে
আজকাল কিডনির সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। কমবয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যার বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। পানি কম খাওয়া, দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা, বাইরের ...
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনা-আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনা-আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কারা অভ্যন্তরে বিডিআরের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ...
আত্রাইয়ে জামাতের কমিটি গঠিত: আমীর-গালিব, সেক্রেটারী-তোজাম্মেল
আত্রাইয়ে জামাতের কমিটি গঠিত: আমীর-গালিব, সেক্রেটারী-তোজাম্মেল
নওগাঁর আত্রাইয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠিত হয়েছে।কমিটিতে উপজেলা আমীর-আসাদুল্লাহ আল গালিব, সেক্রেটারী-তোজাম্মেল হক এবং নায়েবে আমীর ওসমান গনি নির্বাচিত ...
মৌলভীবাজারে চিহ্নিত গরুচোর ও সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার দু'টি পরিবার - অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
মৌলভীবাজারে চিহ্নিত গরুচোর ও সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার দু'টি পরিবার - অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পাহাড় বর্ষিজাড়া গজিমারা গ্রামে হামলার শিকার হয়েছে দু'টি পরিবার। মৌলভীবাজার মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ০৬/০৩/২০২৫ ইং ...
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত ঠাকুরগাঁও
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ ...
ধর্ষণের বিচার দাবিতে এলেঙ্গাতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন
ধর্ষণের বিচার দাবিতে এলেঙ্গাতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন
দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশুসহ ক্রমাগত ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর ...
১০
বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল বসতঘর, অঙ্গার হলো ৬ ছাগল
বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল বসতঘর, অঙ্গার হলো ৬ ছাগল
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে  আগুনে পুড়ে গেছে বসতঘর। এসময় পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে ঘরে থাকা ৬টি ছাগল।রবিবার (৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ...
 
পিল খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা উচিত? স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটুকু
পিল খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা উচিত? স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটুকু
রমজান হচ্ছে ইবাদতের মাস। পবিত্র এই মাসটিতে নারী-পুরুষ সবাই চায় বেশি বেশি ইবাদত করে মহান প্রভুর সান্নিধ্য লাভ করতে। এই ...
১ রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
১ রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এতে রোববার (২ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। সেই ...
টাঙ্গাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাকরিজীবীকে অপহরণ, দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাকরিজীবীকে অপহরণ, দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে অপহরণের পর বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো ...
লক্ষ্মীপুরে খোয়াসাগর দিঘীর সৌন্দর্যবর্ধন ও বোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন
লক্ষ্মীপুরে খোয়াসাগর দিঘীর সৌন্দর্যবর্ধন ও বোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন
লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী খোয়াসাগর দিঘির সৌন্দর্যবর্ধন ও বোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার ১ মার্চ বিকেলে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ...
‘নজিরবিহীন’ অনিয়ম, মেডিকেল অফিসারসহ সকল নিয়োগ বাতিল
‘নজিরবিহীন’ অনিয়ম, মেডিকেল অফিসারসহ সকল নিয়োগ বাতিল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রক্রিয়াধীন মেডিকেল অফিসার, কনসালটেন্ট, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ সকল নিয়োগ কার্যক্রম ...
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক, বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক, বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল
ডাকাত আতঙ্কে যাতায়াত করছেন গাড়ির যাত্রীরা। একাধিক ডাকাতির ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে টাঙ্গাইল জেলা। শুধু মহাসড়কই নয়, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ...
বোয়ালখালীতে পৃথক অভিযানে ৪জনকে জরিমানা
বোয়ালখালীতে পৃথক অভিযানে ৪জনকে জরিমানা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চার জনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (৫ মার্চ) বিকেল ...
বোয়ালখালীতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
বোয়ালখালীতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত মোহা. হৃদয় (২৫)  নামের যুবকটির মৃত্যু হয়েছে। সে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসের ছাদে চড়ে ...
পল্লবীতে ভইরা দে গ্রুপের কাল্লু জীবন গ্রেফতার
পল্লবীতে ভইরা দে গ্রুপের কাল্লু জীবন গ্রেফতার
রাজধানীর আলোচিত ভইরা দে কিশোর গ্যাং গ্রুপের অন্যতম প্রধান সদস্য জীবন সরদার ওরফে কাল্লু জীবনকে (১৬) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৪।বুধবার ...
১০
এস আলমের ১৭৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণে বাড়তি সুবিধা, প্রমাণ মিলেছে
এস আলমের ১৭৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণে বাড়তি সুবিধা, প্রমাণ মিলেছে
ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে এস আলম গ্রুপের অনুকূলে দেওয়া ১৭৫০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ও গ্রেস পিরিয়ডের মেয়াদ ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com