![]() মৌলভীবাজারে চিহ্নিত গরুচোর ও সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার দু'টি পরিবার - অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী:
|
![]() মৌলভীবাজার মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ০৬/০৩/২০২৫ ইং দুপুর অনুমান ০২.৫০ ঘটিকার সময় একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইরফান উল্লার ছেলে হাবিব মিয়া (৩৮), -মন্নাফ মিয়ার ছেলে শাহান মিয়া (২৫), বারিক মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া (২৬), ও মন্নাফ মিয়ার মেয়ে প্রীতি আক্তার ওরফে ছালমা (২৬) , ইরফান উল্লার ছেলে খলিল মিয়া (৪৮) সর্ব সাং- পাহাড় বর্ষিজোড়া গজিমারা, থানা ও জেলা মৌলভীবাজারসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে একই গ্রামের -মৃত দুরুদ মিয়ার ছেলে সোয়েজ হোসেন (৩০) এর দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে জানা যায়। ঘটনার বাদী আহত সোয়েজ হোসেন (৩০) জানান, উপরে উল্লেখিত আসামীগন আমার প্রতিবেশী জুনেদ মিয়া (৪০) এর স্ত্রী লাভলী বেগমের উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে লাভলী বেগমকে মারধোর করে এবং লুটপাট করে। এতে এলাকাবাসীসহ বাধা দিলে তাদের হুমকি ধামকী দিয়ে চলে যায়। পরে লাভলী বেগমকে আমরা উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। পরবর্তীতে জুনেদ মিয়ার স্ত্রী আহত লাভলী বেগম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন সেই অভিযোগে আমাদের কয়েকজনকে সাক্ষী হিসেবে দিলে তা জেনে হবিব মিয়া (৪০), প্রীতি আক্তার ছালমা (২৬), শাহান মিয়া (২৫),নয়ন মিয়া (২৬), সহ অজ্ঞাতমামা ৩/৪ জন মিলে ঘটনার তারিখ ও সময়ে সাক্ষী কেন দিলাম এজন্য আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে আমি প্রতিবাদ করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ১নং বিবাদী হাবিব মিয়া লোহার পাইপ দিয়া প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় বারি মারে। উক্ত বারি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমার ডান হাতের কনুতে পরিয়া গুরুতর হাঁড় ভাঙ্গা জখম হয়। ২নং বিবাদী দা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় কপালে কোপ মারিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমি রাস্তায় পরিয়া গেল ৩নং বিবাদী নয়ন মিয়া কাঠের বর্গা দিয়া প্রান হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় বারি মারলে বাম হাত দিয়ে ফিরানোর সময় বাম হতে কনুর নিচে লাগিয়া মারাত্বক লিলাফুলা জখম হয়। আমি গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাণ রক্ষার্থে চিৎকার চেচামেচি করলে সাক্ষী, মৃত ক্লাস মিয়ার ছেলে আহাদ মিয়া মৃত আজাদ মিয়ার ছেলে আজির মিয়া, মিয়াধন মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া সাক্ষীগন সহ আরো লোকজন আগিয়ে আসলে বিবাদীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে আমি বা আমার ভাই ১নং সাক্ষী কোন মামলা করলে আমাদেরকে আরো মারপিট করবো কেউ বাঁচাতে পারবে না । আহত সোয়েজ হোসেন (৩০) ও আমার ভাই ১নং সাক্ষী আমাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে সকল বিবাদীগন আমাকে ও ১নং সাক্ষীকে লাঠি সোঠা দিয়া মারপিট করিয়া ফুলা জখম করে। ১ ও ২নং বিবাদীওয় আমার পকেট থেকে নগদ ১,৫০,০০০/= (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতলে চিকিৎসা গ্রহন করে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান অভিযোগ পেয়ে উক্ত ঘটনা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এস আই উৎপলকে দায়িত্ব প্রদান করলে তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাক্ষীদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে । সরজমিনে পাহাড় বর্ষিজাড়া গজিমারা গ্রামের, রুয়েজ আহমদ জানান, হবিব ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের জ্বালায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। একেক দিন একেক ঘটনা ঘটায় এলাকায় মাদক, চুরিসহ নানা অপকর্মে তারা লিপ্ত রয়েছে। কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই হামলা, না তার গরু ছাগল চুরি করে নিয়ে যায়। এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়া (আলমগীর) জানান, এদের দিনদিন সাহস বেড়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন পূর্বে গরু চুরিতে হাতেনাতে ধরা পড়ে। পরে মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে এবং গরু উদ্ধার করেন। গ্রামের বাসিন্দা ইলিয়াস মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, কয়েকদিন পূর্বে আমাদের ৪টা গরু নিয়ে যায়। কোন আপত্তি জানালে বলে আমার প্রয়োজন আছে। ভয়ে অনেকে কথা বলতে পারেন না। গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি লেচু মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, কয়েকদিন পূর্বে আমার গরু চুরি করে নিয়ে যায় পরে পুলিশের সহযোগিতায় গরু উদ্ধার করি। এরা সন্ত্রাস দীর্ঘ বছর থেকে এসব করে আসছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এদের বিচারের দাবি করছি। গ্রামের বাসিন্দা আহাদ মিয়া জানান, এরা শুধু চুরিতে লিপ্ত নয়। এলাকায় ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা করে আসছে । তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামীলীগ নেত্রী মামলার বিবাদী প্রীতি আক্তার ছালমা। তার চরিত্র এত খারাপ কি বলবো তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এব্যাপারে বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। |