আজ সোমবার, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করতে সংস্কার জরুরি
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করতে সংস্কার জরুরি
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Monday, 10 March, 2025 at 2:35 AM
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করতে সংস্কার জরুরিসাম্প্রতিক বছরগুলোয় কর্তৃত্ববাদী সরকারের উত্থান ও গণতন্ত্রের পিছু হটা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ব্যাপক এবং এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান থেকে শুরু করে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-আমাদের হাতে থাকা কর্তৃত্ববাদী শাসক ও হবু একনায়কদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। তাঁদের সবাই দক্ষিণপন্থী ও জনতুষ্টিবাদের প্রচারক। যদিও তাঁরা সাধারণ জনগণকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন এবং জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণের কথা বলেন, আদতে তাঁরা শক্তিমানদের সুরক্ষা দেন এবং দীর্ঘদিনের লালিত আদর্শকে ছুড়ে ফেলেন। আর এর বাইরে আমরা যারা আছি, তারা এই নেতাদের আবেদনের উৎস কী, তা নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে দিন পার করি। সত্যিকার অর্থে অনেক ধরনের ব্যাখ্যাই আছে, তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হলো নব্য উদার পুঁজিবাদী ব্যবস্থা থেকে সৃষ্ট বৈষম্য। এই বৈষম্য থেকে আবার গণতন্ত্র দুর্বল হতে থাকে।অর্থনৈতিক বৈষম্য রাজনৈতিক বৈষম্যের দিকে ধাবিত করে, যদিও সব দেশ এসব ক্ষেত্রে একই মাত্রায় প্রভাবিত হয় না।গণতন্ত্র তখনই সর্বোৎকৃষ্ট, যখন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় খুব কম বা বেশি না হয়ে যায়। যদি খুব কম হয়ে যায়, তখন মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। বেশ কিছু পন্থা অনুসরণ করলে তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুখকর করে তুলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ সংসদীয় ব্যবস্থার কথা বলা যায়। এই ব্যবস্থা কখনো কখনো চরমপন্থীদের বদলে কেন্দ্রে থাকা দলের সঙ্গে জোট বাঁধে। বাধ্যতামূলক বা পছন্দের ক্রম অনুসারে প্রার্থী বাছাই অনেক সময় সুফল বয়ে আনতে পারে। তবে সে জন্য চাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সুরক্ষিত প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে নিজেদের গণতন্ত্রের বাতিঘর বলে দাবি করে আসছে।

যদিও এর মধ্যে ভণিতা আছে।রোনাল্ড রিগ্যান অগাস্তো পিনোশের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। জো বাইডেন সৌদি আরবের সঙ্গে যেমন দূরত্ব বজায় রাখতে পারেননি, তেমনি ধর্মান্ধ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিন্দা জানাতে পারেননি। কিন্তু এখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অসাম্য এত তীব্র হয়ে উঠেছে যে অনেকেই গণতন্ত্রকে বাতিল করে দিচ্ছেন। ২০২৪ সালের আগস্টে গণবিক্ষোভের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং প্রতিশোধমূলক সহিংসতার দীর্ঘস্থায়ী সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।ভবিষ্যতের সরকারগুলির যেকোনো দমন-পীড়ন সহ্য করতে সক্ষম এমন দ্রুত এবং কাঠামোগত সংস্কার না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের কষ্টার্জিত অগ্রগতি সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যেতে পারে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের উচিত মার্চ মাসে মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব আনা যাতে অব্যাহত ভাবে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিবেদন তৈরি করা যায় সংস্কারের প্রক্রিয়াকে সহযোগীতা করার জন্য এবং দাতা সরকারগুলির উচিত মূল কাঠামোগত সংস্কারের উপর জোর দেওয়া। গত ১৫ বছর ধরে, হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার সমালোচক এবং বিরোধী দলের সদস্যদের জোরপূর্বক গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নজরদারি এবং নির্যাতনের মাধ্যমে দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছিল। হাসিনা ক্ষমতা সুসংহত করার সাথে সাথে, তার সরকার বিচার বিভাগ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সহ তার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখার ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপর তত্ত্বাবধান এবং জবাবদিহিতা বজায় রাখার জন্য ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠানগুলিকেও দুর্বল করে দিয়ে ছিল। একজন পুলিশ হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন যে, প্রায়শই লাভজনক পদের জন্য যোগ্যতার চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, যার ফলে পুলিশ ক্রমশ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে ওঠে, বছরের পর বছর ধরে দলীয় ক্যাডারদের মতো আচরণ করে।

ছাত্র-জনতা হাসিনার বিদায়ের কয়েকদিন পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্ব সহকারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন চলছিল বেশ কিছুদিন থেকেই। প্রকাশ্যে বক্তৃতা-বিবৃতিও দিয়েছেন কেউ কেউ। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নানা বিষয়ে মতভেদ পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপটি তাৎপর্যপূর্ণ। এই সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক কমিটি, ইসলামী আন্দোলন, এলডিপি, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় পার্টি, খেলাফত মজলিস, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদসহ ২৭টি দল ও জোটের প্রায় ১০০ রাজনীতিক অংশ নেন।সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও প্রায় সব রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারা বক্তব্য দেন। প্রধান উপদেষ্টা ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার এ প্রয়াসকে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেন। দেশের নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলো ইতিমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পুরো সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও আলী রীয়াজকে সহসভাপতি করে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছিল। মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় মাস। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত লক্ষ্য সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করা। 

তবে রাজনৈতিক দলের নেতাদের কণ্ঠে ঐকমত্যের বিষয়ে আশাবাদের কথা শোনা গেলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও নির্বাচনের সময়ের বিষয়ে ভিন্নমত আছে। অনেক দল ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে।আবার কোনো কোনো দল ব্যাপকভিত্তিক সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচন আগে না স্থানীয় নির্বাচন আগে হবে, তা নিয়েও বিতর্ক আছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, শিগগিরই দল ও জোটভিত্তিক আলোচনা শুরু হবে। প্রধান উপদেষ্টা ভবিষ্যতে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন, যাতে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা আর কখনোই ফিরে না আসতে পারে। এ বিষয়ে মোটাদাগে কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না। অন্তত প্রকাশ্যে সে কথা কেউ বলেননি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তর্কবিতর্ক হতে পারে, কিন্তু কতিপয় বিষয়ে তাদের একমত হতেই হবে। গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নির্বাচন যে জরুরি, এ কথা কেউ অস্বীকার করবে না। আবার ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করতে সংস্কারকেও অগ্রাহ্য করা যাবে না। সর্বোপরি গুরুত্বপূর্ণ হলো সংলাপের মধ্য দিয়ে যে সনদ তৈরি হবে, সেটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর একাগ্রতা ও আন্তরিকতা। প্রধান উপদেষ্টা যাকে জাতির সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তার সদ্ব্যবহার করা যাবে কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করবে রাজনৈতিক বোঝাপড়ার ওপর। রাজনৈতিক দলগুলো অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেবে আশা করি। স্বাধীনতার অন্যতম প্রত্যয় ছিল গণতন্ত্র। একাত্তরে পাকিস্তানি শাসকেরা জনরায় অস্বীকার করেছিল বলেই এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু গত ৫৩ বছরেও আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে পারেনি। নির্বাচন নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, সব দলের অংশগ্রহণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি হবে।এ নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা তৎপরতাও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশবাসী এমন একটি নির্বাচন পেলেন, যাতে নাগরিকেরা তাঁদের প্রতিনিধি বাছাই করার যথেষ্ট সুযোগ পাননি।

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনব্যবস্থার প্রতিই জনগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, যা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্বাচন-পরবর্তী বক্তব্যেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। আমরা যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে চাই, নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সংকীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। স্বাধীনতার মূল চেতনাকে বিবেচনায় নিয়ে একটি কার্যকর ও টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইলে সংবিধানে বর্ণিত প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক মত ও যেকোনো ধরনের ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বাক্‌স্বাধীনতাসহ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও নিরঙ্কুশ করতে হবে। আরো অনেক ক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন। যেমন প্রতিযোগিতার নীতিকে আরো কার্যকর করা, কর ব্যবস্থাকে আরো দক্ষ ও ন্যায্য করা এবং দুর্নীতির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সরকারি অর্থায়নের প্রয়োজন। উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে যাওয়া বিপুল সহায়সম্পত্তির ওপর উচ্চহারে করারোপের বিষয়টিও বিবেচনা করা উচিত যেন রাষ্ট্রের জনগণের ব্যয় নির্বাহের কিছু অর্থ মেলে।সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে স্বৈরতন্ত্রের তুলনায় গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতা ভালো ফল বয়ে এনেছে। যদি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রতিযোগিতা মূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আসতেন, তিনি কি একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হতেন? তবে গণতন্ত্র যেন আরো ভালোভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। এটা মানতেই হবে যে গণতন্ত্র তখনই কাজ করে যখন সমাজের প্রতি আনুগত্য ব্যক্তির প্রতি আনুগত্যকে ছাপিয়ে যায়। একটি কার্যকর গণতন্ত্রে যারা ভিন্নমত পোষণ করে তাদের আইনি বৈধতাকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে।নাগরিক দেশপ্রেম পুনর্জোরদারকরণ,শাসনকাজ উন্নততর ও বিকেন্দ্রীকরণ, রাজনীতিতে টাকার ভূমিকা হ্রাসকরণের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের উচিত হবে সরকারকে অধিকতর জবাবদিহির আওতায় আনা। আমাদের এমন গণমাধ্যম থাকতে হবে যেটা গণতন্ত্রকে অবনমন নয় বরং জোরালভাবে সমর্থন করবে। এসব সংস্কারমূলক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করতে সংস্কার জরুরি
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করতে সংস্কার জরুরি
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কর্তৃত্ববাদী সরকারের উত্থান ও গণতন্ত্রের পিছু হটা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ব্যাপক এবং এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ...
আতঙ্কে ‘রাতের ভোটের সহযোগী’ সাবেক ডিসিরা
আতঙ্কে ‘রাতের ভোটের সহযোগী’ সাবেক ডিসিরা
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিতর্কিত তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনগুলোতে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৬৬ জন ...
হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্য শোডাউনে আতঙ্ক, যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্লেষকরা
হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্য শোডাউনে আতঙ্ক, যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্লেষকরা
আগস্টের পর, কারাগার থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বের হওয়ার পাশাপাশি, মুক্তি পান নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। যারা প্রকাশ্যে করেন সভা-সমাবেশ। শুক্রবার (৭ ...
যে ফলগুলো নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে
যে ফলগুলো নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে
আজকাল কিডনির সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। কমবয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যার বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। পানি কম খাওয়া, দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা, বাইরের ...
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনা-আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনা-আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কারা অভ্যন্তরে বিডিআরের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ...
আত্রাইয়ে জামাতের কমিটি গঠিত: আমীর-গালিব, সেক্রেটারী-তোজাম্মেল
আত্রাইয়ে জামাতের কমিটি গঠিত: আমীর-গালিব, সেক্রেটারী-তোজাম্মেল
নওগাঁর আত্রাইয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠিত হয়েছে।কমিটিতে উপজেলা আমীর-আসাদুল্লাহ আল গালিব, সেক্রেটারী-তোজাম্মেল হক এবং নায়েবে আমীর ওসমান গনি নির্বাচিত ...
মৌলভীবাজারে চিহ্নিত গরুচোর ও সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার দু'টি পরিবার - অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
মৌলভীবাজারে চিহ্নিত গরুচোর ও সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার দু'টি পরিবার - অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পাহাড় বর্ষিজাড়া গজিমারা গ্রামে হামলার শিকার হয়েছে দু'টি পরিবার। মৌলভীবাজার মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ০৬/০৩/২০২৫ ইং ...
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত ঠাকুরগাঁও
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ ...
ধর্ষণের বিচার দাবিতে এলেঙ্গাতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন
ধর্ষণের বিচার দাবিতে এলেঙ্গাতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন
দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশুসহ ক্রমাগত ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর ...
১০
বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল বসতঘর, অঙ্গার হলো ৬ ছাগল
বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল বসতঘর, অঙ্গার হলো ৬ ছাগল
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে  আগুনে পুড়ে গেছে বসতঘর। এসময় পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে ঘরে থাকা ৬টি ছাগল।রবিবার (৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ...
 
পিল খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা উচিত? স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটুকু
পিল খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা উচিত? স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটুকু
রমজান হচ্ছে ইবাদতের মাস। পবিত্র এই মাসটিতে নারী-পুরুষ সবাই চায় বেশি বেশি ইবাদত করে মহান প্রভুর সান্নিধ্য লাভ করতে। এই ...
১ রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
১ রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এতে রোববার (২ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। সেই ...
টাঙ্গাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাকরিজীবীকে অপহরণ, দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাকরিজীবীকে অপহরণ, দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে অপহরণের পর বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো ...
লক্ষ্মীপুরে খোয়াসাগর দিঘীর সৌন্দর্যবর্ধন ও বোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন
লক্ষ্মীপুরে খোয়াসাগর দিঘীর সৌন্দর্যবর্ধন ও বোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন
লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী খোয়াসাগর দিঘির সৌন্দর্যবর্ধন ও বোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার ১ মার্চ বিকেলে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ...
বোয়ালখালীতে পৃথক অভিযানে ৪জনকে জরিমানা
বোয়ালখালীতে পৃথক অভিযানে ৪জনকে জরিমানা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চার জনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (৫ মার্চ) বিকেল ...
‘নজিরবিহীন’ অনিয়ম, মেডিকেল অফিসারসহ সকল নিয়োগ বাতিল
‘নজিরবিহীন’ অনিয়ম, মেডিকেল অফিসারসহ সকল নিয়োগ বাতিল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রক্রিয়াধীন মেডিকেল অফিসার, কনসালটেন্ট, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ সকল নিয়োগ কার্যক্রম ...
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক, বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক, বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল
ডাকাত আতঙ্কে যাতায়াত করছেন গাড়ির যাত্রীরা। একাধিক ডাকাতির ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে টাঙ্গাইল জেলা। শুধু মহাসড়কই নয়, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ...
পল্লবীতে ভইরা দে গ্রুপের কাল্লু জীবন গ্রেফতার
পল্লবীতে ভইরা দে গ্রুপের কাল্লু জীবন গ্রেফতার
রাজধানীর আলোচিত ভইরা দে কিশোর গ্যাং গ্রুপের অন্যতম প্রধান সদস্য জীবন সরদার ওরফে কাল্লু জীবনকে (১৬) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৪।বুধবার ...
এস আলমের ১৭৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণে বাড়তি সুবিধা, প্রমাণ মিলেছে
এস আলমের ১৭৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণে বাড়তি সুবিধা, প্রমাণ মিলেছে
ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে এস আলম গ্রুপের অনুকূলে দেওয়া ১৭৫০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ও গ্রেস পিরিয়ডের মেয়াদ ...
১০
বোয়ালখালীতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
বোয়ালখালীতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত মোহা. হৃদয় (২৫)  নামের যুবকটির মৃত্যু হয়েছে। সে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসের ছাদে চড়ে ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com