![]() চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিভোর্সের সাত বছর পর হত্যা চেষ্টা, যুবক আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
|
![]() জানা যায়, ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পারিবারিক সম্মতিতে ২০১৭ সালে বিয়ে হয় হাবিবা খাতুন ও পিয়ারুল ইসলামের। এরপর স্বামীর নানারকম অত্যাচার ও শারিরীক নির্যাতনের কারণে বনিবনা না হওয়ায় হাবিবার পরিবার বিয়ের ঠিক এক বছর পর ২০১৮ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে নেন। একই সালে আবারও পারিবারিকভাবে দেবিনগর ইউনিয়নের হড়মাঘাট বানু মন্ডল এলাকার এলাহীর সাথে বিয়ে হয় হাবিবার। সাত বছরের সংসারে বর্তমানে দুই সন্তানের জননী হাবিবা। কিন্তু সাবেক স্বামী নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে হাবিবাকে। এ বিষয়ে মামলার বাদি হাবিবা খাতুন বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে কয়েল আনতে বাড়ির বাইরে যান আমার স্বামী এলাহী। এ সময় আমি আমার দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। এই সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে পিয়ারুল আমার গলায় ছুরি ধরে। এ সময় ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। স্থানীয়দের দেখে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশে খবর দিলে ছুরিসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি আরো বরেন, পিয়ারুলের সাথে ৭ বছর আগেই সবার সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু এরপরেও রাস্তাঘাটে আমাকে নানাভাবে বিরক্ত ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। আর এর প্রতিবাদ করলেই নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। আমার স্বামী ও পরিবার এসব বিষয়ে জানে। আর সোমবার রাতে হঠাৎ করে ঘরে প্রবেশ করে গলায় ছুরি ধরে হত্যার চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে গেলেও এরপর থেকে গলায় ছুরি ধরার ঘটনা মনে পড়লেই এখনও অনেক আতঙ্ক লাগছে। ভয়ের মধ্যে দিন পার করছি। আর তাই ন্যায় বিচারের দাবিতে মামলা দায়ের করেছি। প্রত্যক্ষদর্শী তরিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে চিৎকার শুনে আমরা ছুটে এসে দেখি পালিয়ে যাচ্ছে পিয়ারুল। এ সময় তাকে আটকে রেখে পুলিশকে আমরা খবর দেয়। পরে পুলিশ ছুরিসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান বলেন, স্থানীয়রা আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ছুরিসহ তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী নারী হাবিবা মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি। |