![]() ঠাকুরগাঁওয়ে সেপটি ট্যাংক হতে অপহৃত কলেজ ছা্ত্রের লাশ উদ্ধার
কামরুল হাসান,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
|
![]() অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করার পরও তাকে হত্যা করে লাশ সেপটি ট্যাংকে ফেলে দেওয়ায় এবং নৃশংসভাবে হত্যা করায় বিক্ষুদ্ধ জনতা সেজান আলীর বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।সেই সাথে তার মা শিউলী বেগমকে মারপিট করে পুলিশে তুলে দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভোর ৬ টা চলে এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি । জানা যায়, অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজ ছাত্র মিলনকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রাতে অপহরণ করে তারই বন্ধু সেজান আলী সহ একটি চত্র । ওইদিন রাত ১ টার সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে মুঠোফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা। প্রথমে ১২ ঘন্টার মধ্যে মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহৃতার পরিবার ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হলে চক্রটি ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরদিন দাবির পরিমাণ বেড়ে ১০ লাখ টাকা হয়। তিনদিন পরে ১৫ লাখ টাকা চায় চক্রটি। সবশেষে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। ৯ মার্চ রাতে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্র বুঝে পায়। অপহরণকারীদের পরামর্শ মতে, অপহৃত মিলনের পিতা পানজাব আলী ২৫ লাখ টাকা একটি ব্যাগে ভর্তি করে দিনাজপুর গামি একতা এক্সপ্রেস টেনে উঠে এবং সেনয়া নামক স্থানে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।টাকা পাওয়ার পর চক্রটি পান্জাব আলেকে দিনাজপুর রেল ষ্টেশনে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেয়।কিন্তু সারারাত অপেক্ষা করেও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন তিনি।মানববন্ধনও করা হয়।অবশেষে অপহরণের ২৫ দিন দিন পর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় মিলনের বন্ধু সেজান আলী সহ ২জনকে বুধবার গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করলে রাতেই সেজানের বাড়ির পাশে ওয়াপদার একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের সেপটি ট্যাংক হতে অপহৃত মিলনের গলিত লাশ উদ্ধার করে। মিলন ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাও ইউনিয়নের চাপাপাড়া গ্রামের পানজাব আলীর ছেলে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, বুধবার রাতে মিলনকে অপহরণে ঘটনায় আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করি। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবা করলে ও তাদের দেখানো মতে আমরা স্থানীয় স্বাক্ষীদের সামনে লাশ উদ্ধারের কাজ করছি। এবিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।,গ্রেফতাররা হলেন- সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকার মো. মতিয়র রহমানের ছেলে মো. সেজান আলী। বৃহসপতিবার সকালে বিক্ষুদ্ধ জনতা সেজান আলীর মহেশপুর গ্রামের বাড়ি ও দোকানঘর আগৃুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।এ রিপোর্ট লেখা অবধি উত্তেজিত জনতা বাড়িঘর ভাংচুর চালাচ্ছিল।খবর পেয়ে পুলিশ গেলেও পরিস্থিতি দেখে ফেরত আসে।এ সময় তার মা শিউলী বেগম বাঁধা দিতে গেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা তাকে বেধরক মারপিট করে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে শিউলী বেগমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অপরহরণকারী সেজান আলীর ফাঁসি দাবি করেছে। |