![]() ৬ বছরে অগ্রগতি ১শতাংশ, ব্যয় ৩২৫ কোটি টাকা: সাবেক শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘কমিশন বাণিজ্য’
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিল্পসচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, এ মন্ত্রণালয়ে আমি নতুন। ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণকাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাচ্ছি। বেশ কয়েকটি কাজ সম্ভবত দরপত্রের মাধ্যমে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। সেগুলো নিয়েও অভিযোগ আছে। অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্তে প্রয়োজনে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হবে। ব্যক্তির দায়সংক্রান্ত কোনো ধরনের অনিয়ম প্রতিষ্ঠান মেনে নেবে না। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এসব বড় প্রকল্পে ত্রিপক্ষয়ী আঁতাত থাকে। এগুলো হলো-মন্ত্রী, রাজনৈতিক সুবিধাভোগী ও আমলা। দীর্ঘদিন নিজেদের গোষ্ঠীর বিভিন্ন ফার্মের নামে নিয়মবহির্ভূতভাবে এভাবেই ব্যয়বহুল কাজ নেওয়া হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির, তারা যেন মনে না করেন এখানে কোনো দলীয় সরকার আছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিগত সরকারের আমলের বিতর্কিত বিষয়গুলো তদন্ত করছে। আশা করছি, এ ব্যাপারটিও প্রভাবমুক্ত তদন্ত করবে। তার আরও অভিমত, ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যে প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার কথা, সেটি যদি ২০২৫ সালে এসে ১ ভাগও সম্পন্ন না হয়, তাহলে দায়িত্বশীলদের ভূমিকা কী, তা নিয়ে অবশ্যই তদন্ত করা প্রয়োজন। ৬ বছর ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের খরচের বিপরীতে কী কাজ হয়েছে, তাও সুচারুরূপে খোঁজখবর নেওয়া উচিত। প্রকল্পের ব্যয় ও সময় কেন বাড়ল, সেটাও দেখা উচিত। আরও জানা যায়, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর থেকেই মন্ত্রী পলাতক। বিদায় করা হয়েছে সচিবকেও। তবে ওই চক্রের অনেক সদস্য এখনো কর্মরত। বিশেষ করে বহাল তবিয়তে আছেন প্রকল্প পরিচালক মনজুরুল হক, যিনি ওই সিন্ডিকেটর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। অনুসন্ধানে জানা যায়, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও দুই প্রকল্প পরিচালককে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া বাস্তবে তেমন কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি। বিধিবিধান লঙ্ঘন করে সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও সচিব জাকিয়া সুলতানার নির্দেশে কয়েকটি গুদাম নির্মাণের কাজ পায় আওয়ামী লীগের দোসর হিসাবে পরিচিত বিতর্কিত ঠিকাদার। তাদের কাজ দিতে পদে পদে দরপত্রের শর্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে। এমনকি প্রকল্পটির বর্তমান পরিচালক মনজুরুল হক সাবেক সচিবের দেখানো পথেই হাঁটছেন। যে কারণে কাজের দরপত্র এখনো শেষ করতে পারছেন না। প্রসঙ্গত, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ২০১৮ সালের আগস্টে ৩৪ গুদাম নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৮ লাখ মেট্রিক টন সার সংরক্ষণ করতে প্রকল্পটি গৃহীত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বছরে ৬শ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২১৭০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ৩ বছর। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও জানা যায়, অধিগ্রহণ, ঠিকাদার নিয়োগ ও নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে কমিশন বাণিজ্যের কারণেই প্রকল্পের অগ্রগতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২৫শ কোটি টাকা। বিগত ৬ বছরে প্রকল্পের কাজে এখন পর্যন্ত খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় ৩০৫ কোটি টাকা, গাড়ি কেনা, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, ভ্রমণ ভাতা ব্যয় দেখানো হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। এমন অবস্থায় প্রকল্পের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ১৩ ভাগ হলেও ভৌত অগ্রগতি ১ ভাগেরও নিচে। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সাবেক সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘স্থান নির্ধারণ না করে বাফার গুদাম নির্মাণের প্রকল্প নেওয়ায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়ায় যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে পুনঃদরপত্রের জন্য ৬ মাস চলে যায়। পুনঃদরপত্র আহ্বান কেন করতে হচ্ছে, এ বিষয়গুলো তদন্ত করা প্রয়োজন। এখন তো কোনো দলীয় সরকার নেই, তাই উচিত হবে ভেতর থেকে খণ্ডখণ্ড অভিযোগুলো জবাবদিহির আওতায় এনে কৃষকবান্ধব প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা। তিনি আরও বলেন, এটি একটি অপরিকল্পিত প্রকল্প। ওয়ার্কপ্ল্যানটিই সঠিকভাবে হয়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, ভূমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণকাজে ১২টি প্যাকেজে ২৪শ কোটি টাকার দরপত্র গ্রহণ করা হয়। বড় অঙ্কের টাকার কমিশন বাণিজ্য আদায় করতে ২০২৪ সালে আওয়ামী আমলে প্রকল্প পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় মনজুরুল হককে। তিনি একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বাফার গুদাম নির্মাণ করার মতো তার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। তিনি বিসিআইসি ভবনে আওয়ামী লীগ সরকারের একজন ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তার বাড়ি বরিশাল শহরে। মনজুরুল হক ৫ আগস্টের আগে নিজেকে শুধু ছাত্রলীগ করা নেতা হিসাবে পরিচিতই করেননি, হাসনাত আবদুল্লাহর আত্মীয়ও বলতেন। সাবেক মন্ত্রীর কমিশন বাণিজ্য নির্বিঘ্ন করতে ‘দলীয় কর্মকর্তা’ বিবেচনায় তাকে প্রকল্প পরিচালক করা হয়। এর আগে মনজুরুল হক ২০২২ সালে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের জিএম থাকাবস্থায় যন্ত্রাংশ ক্রয়ের নামে ৪টি প্যাকেজে ২শ কোটি টাকা কাজের টেন্ডার করেন। অভিযোগ আছে, এ ৪টি প্যাকেজ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুস নিয়ে মেসার্স সাইফ পাওয়ার টেককে কাজ পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে এলে কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। এ নিয়ে প্রকল্প পরিচালক মনজুরুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়। ভুয়া নথিপত্র তৈরি করে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আরএডিপি (রিভাইজড অ্যানুয়াল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান বা সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পিডব্লিউডির রেট শিডিউল দিয়ে নির্মাণকাজের প্রাক্কলন করতে হবে। সেই শর্তে পিডব্লিউডি শিডিউল অনুযায়ী বাফার গুদাম নির্মাণে ২নং প্যাকেজে ৫নং লটে খুলনা সাইটের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অভিযোগ আছে, প্রকল্প পরিচালক মো. মনজুরুল হক ব্যক্তিগত সুবিধা আদায় করে দরপত্র প্রাক্কলনের নথিপত্রে দেখানো হয় ৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। এই টেন্ডারে ১২ কোটি টাকার বেশি দেখানো হয়েছে। কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারের সঙ্গে ওই ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করতে টেন্ডারের নথিপত্র জালিয়াতি করা হয়। এছাড়া ৩নং প্যাকেজের আওতায় সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, জয়পুরহাটসহ ৪টি সাইট মিলে অফিশিয়াল এস্টিমেট ২৬৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। মাজেদ সন্স কনস্ট্রাকশন লি. নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৬৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় একমাত্র অংশগ্রহণকারী হিসাবে দরপত্র দাখিল করেন। এখানে অন্য কাউকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ম্যানুয়েল পদ্ধতির দরপত্রে প্রথমবার সিঙ্গেল টেন্ডারে কার্যাদেশ দেওয়া পিপিআর পরিপন্থি। গত বছরের ৯ জুন বড় অঙ্কের টাকা কমিশনের বিনিময়ে মাজেদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সালাম কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের মালিক সালামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। শেখ সেলিমের আত্মীয় পরিচয়ে বিগত সরকারের আমলে প্রভাব দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাবে টেন্ডারবাজি করেছে মেসার্স এরোনাস ইন্টারন্যাশনাল লি. নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকও। এ দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বেসামরিক বিমানবন্দর ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার নির্মাণকাজে শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকীসহ ৮১২ কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪টি মামলা দুদকে চলমান। প্রকল্প পরিচালক মো. মনজুরুল হক বিষয়টি জানার পরও ঘুসের বিনিময়ে ওই ২টি কোম্পানিকে মাগুরা-চাঁদপুর, যশোর-নড়াইল, ময়মনসিং-নেত্রকোনায় ৩টি লটে ৪শ কোটি টাকার গুদাম নির্মাণের কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লি. (এনডিই) আওয়ামী আমলে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ করে। প্রথমে প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় এনডিইকে ৪নং প্যাকেজের ১নং লটের আওতায় ভোলা-বরগুনা, ২নং লটের রাজশাহী-গাইবান্ধা, ৩নং লটের মেহেরপুরের দরপত্র বাতিল করা হয়। পরে প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কমিশনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এনডিইকে মানিকগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জে ১২৮ কোটি টাকার কাজ দেওয়া হয়। একইভাবে প্রকল্প পরিচালক মো. মনজুরুল হকের সঙ্গে দরকষাকষি না হওয়ায় মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের দাখিলকৃত দরপত্র মাগুরা-চাঁদপুর, যশোর-নড়াইল, মানিকগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জের দরপত্রে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্স অর্গানাইজেশন (আইএসও) সার্টিফিকেট ৯০০১ না থাকায় দরপত্র ৩টি বাতিল করেন। পরে প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় রংপুর ও বগুড়া প্যাকেজে ১২১ কোটি কোটি টাকার কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন প্রকল্প পরিচালক। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণকাজ তদারকির জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বুয়েট ও আইআইএফসিকে সিঙ্গেল সোর্সে ১০ কোটি টাকা ফি দিয়ে পরামর্শক নিয়োগের কথা ছিল। গত ৪ মার্চ বুয়েটকে বাদ দিয়ে প্রাইভেট কনসালটেন্ট নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করে। এতে মডার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স প্ল্যানার্স অ্যান্ড কনসালটেন্ট লি. ৪ কোটি ২৮ লাখ, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট (ডিডিসি) ৯ কোটি ৭২ লাখ, দ্য প্ল্যানার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিায়ার্স লি. ৯ কোটি ৯১ লাখ এবং ইনোভেট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ১১ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রস্তাব দাখিল করে। এখানেও মোটা অঙ্কের টাকা ঘুসের বিনিময়ে ইনোভেট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টকে ১১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় কাজটি পাইয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পদে পদে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে দরপত্র মূল্যায়নে বিস্তর অভিযোগ থাকার পরও তাকে অপসারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শিল্প মন্ত্রণালয়। উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মনজুরুল হক বলেন, সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণে প্রকল্প নেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে-দেশে সারের মজুত সুনিশ্চিত করে কৃষি মন্ত্রণালয়কে সহায়তার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণে সময় ব্যয় হওয়ায় প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি গুদাম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকটি নির্মাণে ঠিকাদার চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিছু অভিযোগের কারণে কয়েকটির পুনঃদরপত্র আহ্বান করার নির্দেশনা এসেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে কাজ করতে গেলে কিছু অভিযোগ থাকে। অভিযোগ উত্থাপিত হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সদ্যবিদায়ি সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে কিছু কাজের পুনঃদরপত্রের সিদ্ধান্ত আসে। পুনঃদরপত্রের ফাইল স্বাক্ষর করে দেওয়া হয়েছে। কাজ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের শৈথিল্যতা বা গাফিলতি সহ্য করা হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলাম, অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে জ্ঞানত সরকারের কোনো আমানত প্রশ্নবিদ্ধ করিনি। |