আজ বৃহস্পতিবার, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / ভারতে মুসলিম গনহত্যার ধারাবাহিকতা এবং ওয়াকফ বিল
ভারতে মুসলিম গনহত্যার ধারাবাহিকতা এবং ওয়াকফ বিল
মাহফুজ বিন আব্দুল মালিক মোবারকপুরী:
Published : Saturday, 5 April, 2025 at 2:33 PM
ভারতে মুসলিম গনহত্যার ধারাবাহিকতা এবং ওয়াকফ বিলপৃথিবীর তাবৎ সাম্রাজ্যের মধ্যে আয়তনে বিশাল, অফুরন্ত সম্পদের অধিকারী এক মহান ইসলামি সাম্রাজ্য ছিলো আমাদের স্বাদের ভারত। ইসলামী সাম্রাজ্যের এই মহাভারত যখন সভ্যতার সুমহান আলোকবর্তিকা হয়ে দিগন্তে জ্বলছিল, তখন ইংরেজ বেণিয়াদের অশুভ লোভাতুর দৃষ্টি আমাদের সুমহান মহাভারতের উপর পড়ে। আর তখন থেকেই তারা ভারতবর্ষ দখলের সর্বোপরি প্রস্তুতি শুরু করেছিল। ছল বল কলাকৌশলের নির্মম প্রয়োগে বৃটিশরা এই সভ্য ভারতবর্ষে তাদের অসভ্যতার বিষদাত বসিয়ে দিতে সমর্ত হয়েছিল। একথা ঐতিহাসিক সত্য যে বিদেশি আর্য বা মুসলমান জাতির মতো সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনে আবদ্ধ হতে বৃটিশরা ভারতে আসেনি। তারা এসেছিলো ভারতের সম্পদ লুণ্ঠন করে নিজেদের দারিদ্রতা দূর করতে, এবং ইসলামি ভারতের উন্নত সভ্যতা শিখে নিজেদেরকে বর্বরতার অন্ধকার থেকে উত্তরণ করতে। ঐতিহাসিদের মতৈক্যে একথা স্পষ্ট যে, দুই শতাব্দী ধরে বৃটিশরা ভারত শোষণ করেছিলো তাদের ইউরোপীয় ঘৃণ্য কূটনীতিক চাল "ডিভাইড এ্যন্ড রুল" নীতি এর জোরে। এই নীতি ভারতের দুই প্রধান জনগোষ্ঠী, হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিকৃত ইতিহাসের প্রচারণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের কলঙ্কিত নীতির সেই ছায়া একবিংশ শতাব্দীর এই আধুনি যুগেও ভারতের মাটিতে বিদ্যমান। আমরা দেখতে পাই ছেচল্লিশের ভয়াবহ দাঙ্গার মতো আজো ভারতের বুকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নামে মুসলিম জনগোষ্ঠীর রক্তে হোলি উৎসব পালিত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে এবং ঐতিহাসিক পর্যালোচনায় একথা প্রতীয়মান, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতার বড় বড় বুলি আওড়ানো ভারত সরকার নিজেই রাম নাম জপ করে মুসলিম নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তারা মুসলিম জাতিকে নির্মূল ও সর্বস্বান্ত করার লক্ষ্যে চাণক্য নীতির 'শাম-দাম-দন্ড-ভেদ' কৌশল সর্বাত্মকভাবে প্রয়োগ করছে। দাঙ্গার আগুনে মুসলিম হত্যার পাশাপাশি তাদের সম্পদও ধ্বংস করা হচ্ছে। আবার কখনও দেখা যায় সরকারি বলয়ে অবৈধভাবে মুসলমানদের অর্থ- সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পদের বিশাল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে- যেমন মাদ্রাসা, মসজিদ, দরগা, এতিমখানা প্রভৃতি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান- দাঙ্গা বাঁধিয়ে ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না। এবং দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর কোন আইনেই এগুলো বাজেয়াপ্ত করা কঠিন। তাই তারা এসব সম্পদ কুক্ষিগত করতে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে 'ওয়াকফ বিল' প্রণয়ন করে। এখন এই 'ওয়াকফ এক্ট' এর মাধ্যমে মুসলিমদের এই অমূল্য সব সম্পদ অনায়াসে তাদের দখলে চলে যাবে। যে ভারতভূমিতে হাজার বছর ধরে মুসলমানরা সুশাসন করেছেন, ধন-দৌলত সভ্যতা সাংস্কৃতির উন্নতি ও বিকাশ ঘটিয়েছেন সেই ভূমিতে আজ মুসলিম জনগোষ্ঠী বৈষম্যের শিকার, সাম্প্রদায়িক হিংসার রক্তাক্ত ক্ষত নিয়ে দিন গুজরান করছে। অনেকে এই দায়ভার একচেটিয়াভাবে ব্রিটিশদের কাঁধে চাপিয়ে দিতে চান। কারণ ‘বিভেদ সৃষ্টি করে শাসন’—এই কলঙ্কিত নীতি তারাই সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু এই বক্তব্য যতটা সহজ শোনায় ইতিহাসের আলোকে ততটাই অপূর্ণ ও সত্যের অপলাপ। নীরদ সি. চৌধুরী, ড. গৌতম নিয়োগী, জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে প্রমুখ— ঐতিহাসিকেরা প্রমাণ করেছেন, ঔপনিবেশিক শাসনের পূর্বেও ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কালো ছায়া বর্তমান ছিলো। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায় বাদশাহ মুহাম্মদ শাহের শাসনকালে, ১৭২৯ সালে লাল কেল্লার সন্নিকটে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল। ১৭২৯ এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ১৮৯৭ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৬৮ বছরে সর্বমোট ২২ থেকে ২৩টি ছোট-বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল। (তবে এখানে একটি গভীর চিন্তার বিষয় উঠে আসে: সে সময় মুসলিম শাসকদের হাতে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, এসব দাঙ্গায় মুসলিমরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।) এই সত্য আমাদের সামনে একটি প্রশ্ন তুলে ধরে—ব্রিটিশরা কি সত্যিই এই হিংসার মূল নায়ক? নাকি তারা ভারতীয় সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা হিংস্রতা ও রক্তপিপাসার বীজকে কেবল উন্মোচিত করেছিল মাত্র।
ব্রিটিশরা যখন এই ভূখণ্ডে পা রাখে তখন তারা হাজার বছরের মুসলিম শাসনব্যবস্থার গোড়াপত্তন করেছিলো। তারা এখানেই ক্ষান্ত হয়নি বরং হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সেই বিষবৃক্ষে পানি ঢেলে সার দিয়ে যত্নে সহকারে গাছের শিকড়কে আরও গভীর ও মজবুত করে তুলেছিলো। এর ফল হিসেবে ১৯৪৬ সালে আমরা দেখতে পাই ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এই দাঙ্গা আজও ইতিহাসের পাতায় জীবন্ত হয়ে আছে। সরকারি হিসেবে শুধু কলকাতায় নিহতের সংখ্যা ছিল দশ হাজারের বেশি, আহত পনেরো হাজারেরও অধিক। এইচ ডি হডসন তাঁর ‘দ্য গ্রেট ডিভাইড’ গ্রন্থে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, এই ভয়াবহ দাঙ্গার পেছনে ব্রিটিশদেরই হাত ছিল। শৈলেশকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দাঙ্গার ইতিহাস’ গ্রন্থও এই সত্যের সাক্ষ্য বহন করে।
সমগ্র ভারত জুড়ে—গ্রামে, শহরে, কোণে-কোণে—দাঙ্গার আগুন জ্বলে উঠেছিল। হাজার হাজার মুসলিম নির্বিচারে হত্যার শিকার হয়েছিল। বিহারের তৎকালীন চিফ সেক্রেটারির বয়ান অনুযায়ী, শুধু পুলিশের গুলিতেই পাঁচ হাজারের বেশি মুসলিম প্রাণ হারিয়েছিলেন। প্রবাসী বুদ্ধিজীবী নীরদ সি. চৌধুরী নিজের চোখে দেখেছিলেন, ’৪৬-এর দাঙ্গায় হিন্দুরা কীভাবে উৎসবের আমেজে মুসলিমদের হত্যা করেছিল। তিনি তাঁর গ্রন্থে এই হৃদয়বিদারক চিত্র তুলে ধরেছেন। গুজরাট, যাকে ‘কসাই’ নামে ডাকা হয়, সেখানেও ’৪৬-এর দাঙ্গায় একদিনে দশ হাজার মুসলিমকে নির্মমভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিলো। ‘গুজরাটের গৈরিক সন্ত্রাসের ইতিকথা’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, মুসলিম মোপলাদের নিহত সংখ্যা ছিল ৯,৩৫৬। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র হিসেবে, কাশ্মীরসহ আরও দুটি শহরে প্রতিদিন গড়ে ১০০-এর বেশি মুসলিম হত্যার শিকার হতো।
এই দাঙ্গার হিসেব যদি আমরা পুরোপুরি তুলতে যাই, তবে দুইশো পৃষ্ঠার গ্রন্থও তা সংকুলান হবে না। এই অমানবিকতার ধারাবাহিকতা আরো ভয়ংকর রূপ নিয়েছে যখন ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে। গেরুয়াদের সরকারি ছত্রছায়ায় বর্তমানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর সাম্প্রদায়িক হামলা বেড়েছে দ্বিগুণ। গুজরাটে ২০০২ সালের গণহত্যার স্মৃতি যেন পুনরায় জীবন্ত করে তুলেছে ৪৬ এর ভয়াবহ দাঙ্গাকে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, আসামে দাঙ্গার আগুনে শত শত মুসলিম নিহত হয়েছে। ২০২০ সালে দিল্লির দাঙ্গায় সরকারি হিসেবে শুধু তিন দিনে পঞ্চাশের বেশি মুসলিম প্রাণ হারায়। এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মসজিদ ও দরগা ধ্বংসের মহোৎসব। ২০১৯ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের পর থেকে দেশজুড়ে শতাধিক মসজিদ ও দরগা ভেঙে ফেলা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে হজরতবাল মসজিদ, দিল্লিতে সুনেহরি মসজিদের মতো ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানও রেহাই পায়নি। এই ধ্বংসযজ্ঞে বিজেপি সরকার ধর্মীয় উন্মাদনাকে উসকে দিয়ে মুসলিমদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি মুছে ফেলতে উদ্যত হয়েছে।এই রক্তাক্ত ইতিহাস আমাদের সামনে একটি সত্য উন্মোচন করে—ব্রিটিশরা হয়তো হিংসার আগুনে ঘি ঢেলেছিল, কিন্তু সেই আগুনের বীজ ভারতীয় সমাজের গভীরে প্রোথিত ছিল। আজও সেই বিষবৃক্ষের ছায়া আমাদের তাড়া করে ফিরছে। এই অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে হবে, সত্যকে গ্রহণ করতে হবে, এবং একে অপরের হাত ধরে আলোর পথে এগিয়ে যেতে হবে।

মাহফুজ বিন আব্দুল মালিক মোবারকপুরী: সিলেট, বাংলাদেশ।


� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �


 
স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে সম্মত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে সম্মত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে সম্মত হয়, তবে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। আর দীর্ঘমেয়াদি ...
বাংলাদেশের ওপর শুল্ক স্থগিত, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন ড. ইউনূস
বাংলাদেশের ওপর শুল্ক স্থগিত, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন ড. ইউনূস
বিশ্বের ৭৫টিরও বেশি দেশের ওপর পারস্পরিক বা পাল্টা শুল্ক আরোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ...
৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের জালে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাসহ ইভিএম কুশীলবরা
৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের জালে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাসহ ইভিএম কুশীলবরা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেড় লক্ষাধিক ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা হয়েছে প্রচলিত দামের ১০ গুণেরও বেশি টাকায়। তিন ...
পুরুষের ‘রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন’ সমাধানের উপায়
পুরুষের ‘রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন’ সমাধানের উপায়
যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে অনেকেই সংকোচবোধ করেন। সেই কারণে অনেক রোগ চাপা থেকে যায়। এমনই একটি রোগ রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন।এটি এমন ...
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কী কী পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ, কী কী রপ্তানি করে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কী কী পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ, কী কী রপ্তানি করে
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৯ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মোট ৬০টি দেশের ওপর কার্যকর হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক। ...
এডিবির প্রতিবেদন: মূল্যস্ফীতি বেড়ে ফের ডবল ডিজিটে যাবে
এডিবির প্রতিবেদন: মূল্যস্ফীতি বেড়ে ফের ডবল ডিজিটে যাবে
বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আগাম দুঃসংবাদ দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট ...
১২ মামলার আসামি বাড্ডা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কাউসার গ্রেফতার
১২ মামলার আসামি বাড্ডা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কাউসার গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার দায়ে করা ১২ মামলার আসামি বাড্ডা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কায়সার মাহমুদ ওরফে ‘গলাকাটা’ ...
ড. ইউনূসের অনুরোধ রাখলেন ট্রাম্প
ড. ইউনূসের অনুরোধ রাখলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিতে তিন মাসের ...
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: উদ্বিগ্ন রপ্তানিকারকরা, খাদ্যপণ্যের বাজার হারানোর শঙ্কা
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: উদ্বিগ্ন রপ্তানিকারকরা, খাদ্যপণ্যের বাজার হারানোর শঙ্কা
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। দেশটি ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে পণ্য রপ্তানির এ সুবিধা দিয়েছিল। দেশের তৈরি ...
১০
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: বাংলাদেশ থেকে নেপাল-ভুটানে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: ভারত
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: বাংলাদেশ থেকে নেপাল-ভুটানে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: ভারত
বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত সরকার। তবে এ সিদ্ধান্ত ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ...
 
ভারতে মুসলিম গনহত্যার ধারাবাহিকতা এবং ওয়াকফ বিল
ভারতে মুসলিম গনহত্যার ধারাবাহিকতা এবং ওয়াকফ বিল
পৃথিবীর তাবৎ সাম্রাজ্যের মধ্যে আয়তনে বিশাল, অফুরন্ত সম্পদের অধিকারী এক মহান ইসলামি সাম্রাজ্য ছিলো আমাদের স্বাদের ভারত। ইসলামী সাম্রাজ্যের এই ...
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আত্রাইয়ে বিক্ষোভ
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আত্রাইয়ে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান নির্মম গণহত্যা আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। আলআকসা রক্ষায় অবিলম্বে হত্যাকান্ড বন্ধের আহবান ...
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে লক্ষ্মীপুরে ৪ টি পরিবহনকে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে লক্ষ্মীপুরে ৪ টি পরিবহনকে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা
ঈদের ছুটি শেষে লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ৪টি বাসকে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা ...
পল্লবীতে মাদকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ
পল্লবীতে মাদকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাতে মিরপুর পল্লবী থানাধীন প্যারিস রোডের উদয়ন স্কুলের সামনের একটি বাসা থেকে মাদক চক্রের ৪ ...
ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ
ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ
বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের প্রস্তাব পেশ করার পর থেকেই ভারতজুড়ে শুরু হয়েছিল সমালোচনার ঝড়। তবে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি এরই মধ্যে ভারতের ...
পল্লবীতে আবারো গুলি, যুবককে কুপিয়ে জখম
পল্লবীতে আবারো গুলি, যুবককে কুপিয়ে জখম
রাজধানীর পল্লবী এলাকার মোড়াপাড়ার ই ব্লকে আবারও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পেপার সানি নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করেছে ...
পল্লবীর বাউনিয়াবাধে পারিবারিক সংঘাতে গোলাগুলি
পল্লবীর বাউনিয়াবাধে পারিবারিক সংঘাতে গোলাগুলি
রাজধানীর পল্লবীতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘাত এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধা ...
এবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্কারোপ চীনের
এবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্কারোপ চীনের
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ট্রাম্পের প্রতি পালটা আক্রমণ করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে চীন। ...
গৃহকর্মী হয়ে ঘরে ঢুকেছে গুপ্তচর, সন্দেহ পরীমনির
গৃহকর্মী হয়ে ঘরে ঢুকেছে গুপ্তচর, সন্দেহ পরীমনির
অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন তারই এক গৃহকর্মী। তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে মর্মে লিখিত অভিযোগ জানান পিংকি আক্তার ...
১০
মিয়ানমারে ভূমিকম্প - প্রতিবেশী দেশের জনগণের পাশে বাংলাদেশ
মিয়ানমারে ভূমিকম্প - প্রতিবেশী দেশের জনগণের পাশে বাংলাদেশ
মিয়ানমার গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত, ক্ষুদ্র জাতিগুষ্ঠির সশস্ত্র দলগুলোর সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত চলমান থাকা অবস্থায় ২৮ মার্চ মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com