![]() চট্টগ্রামে বিশ্ব পানি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তাগন
পার্বত্য চট্টগ্রামের বন, হালদা- হালদা-কর্ণফুলী নদী রক্ষা করা না গেলে চট্টগ্রামে সুপেয় পানির ভয়াবহ সংকট হবে
নতুন বার্তা, চট্টগ্রাম:
|
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম মহানগরী একদিকে বর্ষাকালে পুরো শহর পানিতে থ ![]() ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্ট সাইন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডঃ খালেদ মিজবাহউজ্জামান। ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন আইএসডিই এর প্রকল্প কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম। মুল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ৫০০ বছর আগে গোড়াপত্তন ঘটে চট্টগ্রাম শহরের। কিন্তু পরিকল্পিত নগরায়নের অভাবে আজো একটি পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত নগরী হতে পারেনি এটি। উল্টো সরকারের সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোর যথাযথ পদক্ষেপ না থাকায় সমস্যাগুলো দিনে দিনে বাড়ছে। চট্টগ্রামের প্রাণখ্যাত কর্ণফুলী ও হালদা নদী দূষণ, দখল, ভরাটের শিকার। নগরীতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য নিঃসৃত হচ্ছে। যা ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিদিন ৫১ কোটি লিটারে উন্নীত হবে। নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করা না হলে নগরীর একমাত্র সুপেয় পানির উৎস এ দুটো নদী ভয়াবহ দূষণের শিকার হবে। এতে চট্টগ্রামের পরিবেশ দূষণসহ নগরীর সুপেয় পানি সরবরাহে সংকট সৃষ্টি হবে। অথচ এ দুটি নদীই ওয়াসার সুপেয় পানির প্রধান উৎস। প্রতিদিন এ দুইটি নদী থেকে ওয়াসা ৪৩ থেকে ৪৫ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করছে। আগামীতে আরো ১০ থেকে ১২ কোটি লিটার পানি উত্তোলন হবে। এছাড়া নগরীতে দৈনিক প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য হয়। এসব বর্জ্যরে একটি অংশও নদীতে গিয়ে পড়ছে। নগরীর তরল ও কঠিন বর্জ্য ছাড়াও নদীর দুই ধারের শিল্পকারখানার দূষিত কেমিক্যালও হালদা ও কর্ণফুলী গিয়ে পড়ে। এ কারণে ক্রমাগত দূষণের শিকার হচ্ছে এ দুইটি নদী। উচ্ছেদ হচ্ছে না কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা। উল্টো দখল হচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকা। আলোচনা অংশনেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, বিশিষ্ঠ নারী নেত্রী ও এডাব চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, বোয়ালখালী উপজেলা বাংলাদেশ ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফ্রুটস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্ম জানে আলম, সুবজের যাত্রা নির্বাহী পরিচালক সায়রা বেগম, চিটাগাং ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, দৈনিক পূর্বদেশ এর স্টাপ রিপোর্টার এম এ হোসেন, ক্যাব চকবাজার থানা কমিটির সভাপতি আবদুল আলীম, অধিকার চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ওসমান জাহাঙ্গীর, ক্যাব পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড সভাপতি এবিএম হুমায়ুন কবির, সিএসডিএফ’র প্রকল্প সমন্বয়কারী শাম্পা কে নাহার, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, যুব ক্যাব সদস্য সিদারতুল মুনতাহা, আমজাদুল হক আয়াজ, এমদাদুল ইসলাম, আবুল কাসেম, মোহাম্মদ ওমর ফারুখ, হারিসা খানম সুখী প্রমুখ। |