![]() হলুদ বনাম কারকিউমিন: ত্বক ও চুলের যত্নে কোনটি কতটা কার্যকর?
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() হলুদ এবং কারকিউমিনের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? হলুদ সম্পূর্ণ মসলা, যার মধ্যে কারকিউমিন মাত্র দুই থেকে পাঁচ ভাগ থাকে। হলুদ ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং স্ক্যাল্পের যত্নে উপকারী। অন্যদিকে কারকিউমিন ব্রণ, বার্ধক্য এবং চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ত্বকে যেভাবে কাজ করে হলুদ উজ্জ্বল ও দাগহীন ত্বকের জন্য পিগমেন্টেশন, নিস্তেজতা এবং দাগ হালকা করতে সহায়ক। এটি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক আরও উজ্জ্বল ও সতেজ হয়। অন্যদিকে কারকিউমিন মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে ত্বককে গভীরভাবে উজ্জ্বল করে, ব্রণের দাগ ও কালো দাগ হালকা করে। ব্রণ ও ইনফ্ল্যামেশন রোধে হলুদ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ ও লালভাব কমায়, বিশেষ করে সেনসিটিভ স্কিনে কার্যকর। অন্যদিকে কারকিউমিন ব্রণের ব্যাকটেরিয়াকে টার্গেট করে, ইনফ্ল্যামেশন কমায় এবং দ্রুত আরোগ্য সাধন করে। বার্ধক্য রোধে হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ইউভি (UB) রশ্মি ও পরিবেশগত ক্ষতি থেকে ত্বক রক্ষা করে, ফাইন লাইন কমাতে সহায়তা করে। কারকিউমিন কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় ও ত্বকের গঠন নষ্ট করে এমন এনজাইম ধীর করে, ফলে ত্বক দীর্ঘদিন টানটান ও প্রাণবন্ত থাকে। চুলের যত্নে উপকারিতা হলুদ পেস্ট বা হেয়ার মাস্ক হিসেবে স্ক্যাল্পে ব্যবহার করলে চুলকানি ও খুশকি কমে। আর কারকিউমিন স্ক্যাল্পে ইনফ্ল্যামেশন কমায়, ছুলি বা সোরিয়াসিসে কার্যকর, রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে। চুল পড়া রোধ ও নতুন চুল গজানো হলুদ-যুক্ত তেল বা মাস্ক স্ক্যাল্প ডিটক্সিফাই করে ও চুলের গোঁড়া শক্ত করে। আর কারকিউমিন চুল পড়ার জন্য দায়ী ডিএইসটি (DHT) হরমোন কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে পুরুষদের প্যাটার্ন ব্যাল্ডনেসে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আরও পড়ুন: পায়ে যে ৫ লক্ষণ থাকলেই ভয়াবহ বিপদের শঙ্কা আপনার জন্য কোনটি ভালো? ঘরোয়া প্রাকৃতিক রূপচর্চা পছন্দ করলে হলুদই আপনার উত্তম সঙ্গী। এটি সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং বেশিরভাগ ত্বকের জন্য নিরাপদ। তবে, যদি আপনি টার্গেটেড, সাইন্স-ব্যাকড স্কিনকেয়ার চান যেমন: পিগমেন্টেশন, ব্রণ বা বয়সের ছাপ দূর করা তাহলে কারকিউমিন সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট বেছে নিন। মনে রাখবেন হলুদ অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ত্বকে হলুদ দাগ ফেলতে পারে। কিন্তু কারকিউমিন সাধারণত প্রক্রিয়াজাত করা হয় যাতে দাগ না পড়ে এবং ত্বক সহজে শোষণ করতে পারে। আর কারকিউমিন-সমৃদ্ধ পণ্যে প্রায়ই ব্ল্যাক পিপার এক্সট্র্যাক্ট বা অয়েল-বেসড ক্যারিয়ার থাকে যাতে এর কার্যকারিতা বাড়ে। কীভাবে ব্যবহার করবেন? হলুদের ফেসপ্যাক ১ চা চামচ হলুদ, ২ টেবিল চামচ দই বা মধু এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ১০–১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন পাবেন উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক। কারকিউমিন সমৃদ্ধ স্কিনকেয়ার ব্রাইটনিং সিরাম, ব্রণ প্রতিরোধী ক্রিম বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ময়েশ্চারাইজারে কারকিউমিন খুঁজে দেখুন। শেষ কথা হলুদ ও কারকিউমিন দুটোই সৌন্দর্যচর্চায় দুর্দান্ত একটি ঘরোয়া ও মাইল্ড কেয়ার, অন্যটি গভীর ও নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য কার্যকর সায়েন্টিফিক সমাধান। আপনি হতে পারেন ঘরের হালদি ডিব্বার ভক্ত, বা কোনও অ্যাডভান্সড কারকিউমিন সিরামের ভক্ত, তবে এই সোনালি উপাদান আপনার রূপচর্চার রুটিনে অবশ্যই থাকা উচিত। |