![]() মোদিকে ড. ইউনূসের সঙ্গে চুক্তি করতে বললেন মমতা
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() বুধবার (১৬ এপ্রিল) কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে লোকসভায় পাশ হওয়া বহুল বিতর্কিত ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন মমতা ব্যানার্জি। পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক গণমাধ্যম আনন্দবাজার ও এবিপি আনন্দ জানায়, ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেন মমতা। এ সময় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ানো এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ভূমিকা নিয়েও নানা অভিযোগ তোলেন তিনি। আর এ সবের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মোদিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, আপনি আমার অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন, আপনি রাম-রহিমের অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন। এটা কি আপনার আওতার মধ্যে পড়ে? পড়ে না। আপনাদের প্ল্যানিংটা কী? কোনো এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা? তিনি আরও বলেন, কালকে আমি এএনআইয়ে একটা টুইট দেখলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রকে কোট করে বলেছে– ‘এ ঘটনায় বাংলাদেশের হাত আছে।’ যদি হাত থাকে, এর দায়িত্ব তো কেন্দ্রীয় সরকারের। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করে বিএসএফ। আমি করি না। আমার সে অধিকারও নেই। বর্ডার সামলানোর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। তাহলে আপনি কেন ঢুকতে দিলেন। কৈফত আপনাকে দিতে হবে। আপনারা চান হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ তৈরি করতে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুসলিম ভাইবোনদের বলবো, এই আইন সংবিধানে যে সম্পত্তির অধিকারের কথা আছে, তা ভেঙেছে। সংবিধানে ১৮ এবং ৩৫ অনুচ্ছেদ সম্পত্তির ওপর রাজ্য সরকারের অধিকারের কথা বলা আছে। সেটা রাজ্যের বিধানসভার আওতাধীন। সেই অধিকারও কেড়ে নিয়েছে এই আইনের মাধ্যমে। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোরবিরোধী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যদি অশান্তি করতো তাহলে তৃণমূলের তিন বিধায়কের বাড়ি আক্রান্ত হতো না। পার্টি অফিসও ভাঙা হতো না। কিছু প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে গণ্ডগোল হয়েছে, সেটা মুর্শিদাবাদ আসন নয়, মালদহের আসন। কংগ্রেসের জেতা আসন। জেতার সময় জিতবে। দাঙা হলে রাস্তায় বেরোবে না, এটা আশা করি না। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে থাকতে হবে। এদিকে, বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের বিরোধিতায় বিক্ষোভে তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, প্রাণহানির মতো ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। |