![]() সিলেটে জলবায়ু মেলার সমাপ্তিতে নূর আজিজুর রহমান
সিলেট এখন জলাবদ্ধতা ও ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে উচু ও টেকসই স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট ব্যাুরো:
|
![]() তিনি আরো বলেন, গত তিন বছরে সিলেটে বারবার বন্যা হয়েছে। ২০২৪ সালে তিন দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অল্প সময়ে অতিবৃষ্টির কারণেই এসব বন্যার সৃষ্টি। আমরা শহরাঞ্চলে বাস করি। এখানে সবুজ বনাঞ্চল বা গাছপালা পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। আমরা পাকা দালান কোঠা নির্মাণ করি, ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন ফেলে মাটি, নদী, খাল সব নষ্ট করছি। ফলে মাটি, নদী- খালগুলো এখন পর্যাপ্ত পানি শোষণ করতে পারছে না। আগে মানুষ ফ্যান ছাড়াই রাতে ঘুমিয়েছে। এখন ফ্যান, এসি ছাড়া ঘুম আসে না। দিনে দিনে পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমরা সবাই টের পাচ্ছি। যেমনস আমরা সিলেটের বিভিন্ন ধরণের রাস্তা তৈরি করি। আরসিসি, এসফল্ট, কার্পেটিংয়ের কাজ করি। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে যেভাবে বৃষ্টিপাত ও বন্যা বেড়েছে, এখন রাস্তাঘাট বানাতে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। যদি কার্পেটিং রাস্তা করি, তাহলে সেটা এক বছরও টিকবে না। প্রবল বৃষ্টিতে উড়ে যাবে। তাই আমরা আমাদের ডিজাইনের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং যারা এসব নিয়ে কাজ করছেন, তাদের সাথে পরামর্শে সামনের দিকে এগোচ্ছি। সিলেটে এখন বাড়িঘর নির্মাণ করতে হলে পুরোনো প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নির্মাণ করতে হবে। জলাবদ্ধতা ও ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে উচু ও টেকসই স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি সবুজায়নের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। শহরে বাড়ির আঙ্গিনায় বৃক্ষরোপন করতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে, অন্তত বাসার ব্যলকনি বা ছাদে টবের মধ্যে গাছ লাগানো যেতে পারে। সিলেটে জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ। প্রয়োজনের তাগিদেই বাড়িঘর নির্মাণ হচ্ছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেন পরিবেশ দূষিত না হয়। আমরা শহরকে সুন্দর রাখতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অব্যাহত রেখেছি। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ বাস্তবায়িত ইকরা প্রকল্প ও ইয়ুথনেট গ্লোবাল’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জলবায়ু মেলা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট সমন্বয়কারী নাজমুন নাহিদের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ও চৈতন্য প্রকাশনীর প্রকাশক রাজিব চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ’র সিলেটের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোকে বিশেষ সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করেন অতিথিরা। এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন সংক্রান্ত কুইজ, চিত্রাঙ্কন ও যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। |