আজ শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০২ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / বিশ্ববাণিজ্যে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের শুল্কনীতি
বিশ্ববাণিজ্যে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের শুল্কনীতি
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Saturday, 19 April, 2025 at 7:29 PM
বিশ্ববাণিজ্যে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের শুল্কনীতিযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্য রফতানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ এখনো কাটেনি। ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বহাল থাকায় এক ধরনের অনিশ্চয়তাও আছে। তবে তিন মাস পর কী হবে, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এখনো। এ নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও আছে। এ বিষয়ে সুরাহা করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতাও চালাতে হবে। কেননা বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজারও যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে তা নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। মার্কিন শুল্কনীতি এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে বাংলাদেশকে এখনই বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বৈশ্বিক মন্দা রোধ করতে হলে সুযোগের সন্ধান করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। চীন ও আমেরিকা যখন দ্বিধাবিভক্ত হচ্ছে, তখন বিপর্যয়কর বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্রতর হচ্ছে। মুদ্রাযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমদানি, রপ্তানি, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞাসহ আর্থিক দিক দিয়ে বিভিন্ন ক্ষতি যা বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ কর্মসংস্থান নষ্ট করে দেবে। এটা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না যে, বিশ্ব বড় একটা অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। যেখানে ৯৬ শতাংশ জনসংখ্যা এর বাইরে বসবাস করছে, যারা বিশ্বের উৎপাদিত পণ্যের ৮৪ শতাংশ উৎপাদন করে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আগে বৃদ্ধি থেকে হ্রাস-এর শুল্কনীতির কথা বলেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো উৎপাদনকে জোর করে হলেও যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা। 

কিছু শুল্কের ৯০ দিনের শিথিলকরণের অর্থ এই নয় যে, তিনি সংকট প্রশমন করতে চান। গত সপ্তাহে কেয়ার স্টারমার সতর্ক করে দিয়েছিলেন, বিশ্ব আর কখনো আগের মতো হবে না। তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া সংকট মোকাবিলা করার চেষ্টা কেবল পতনের দিকে নিয়ে যাবে। তিনি ঠিকই বলেছেন। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট আমরা দেখেছি। বিশ্বব্যাপী সমস্যাগুলোর জন্য বিশ্বব্যাপী সমন্বিত সমাধান প্রয়োজন। আমাদের সাহসী ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন, যা জরুরি অবস্থার মতো। প্রধানমন্ত্রী যেমন তার মহান কৃতিত্বের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় একটি জোট গঠন করছেন। আমাদেরও এমন একটি অর্থনৈতিক জোট করা বিশেষ প্রয়োজন। একই মনোভাবাপন্ন বিশ্বনেতারা যারা বিশ্বাস করেন, পরস্পর নির্ভরশীল বিশ্বে চাকরি এবং জীবনযাত্রার মান রক্ষা করতে হলে আমাদের মহাদেশজুড়ে অর্থনৈতিক নীতিগুলোর সমন্বয় করতে হবে।ট্রাম্পের শুল্কনীতির ফলে সৃষ্ট সরবরাহের ধাক্কা কমানোই এখনকার বড় চ্যালেঞ্জ। র‌্যাচেল রিভস যেমন প্রস্তাব করছেন, আমাদের বিশ্ববাণিজ্যকে চলমান রাখতে হবে। দুটি সংকট কখনোই এক রকম হতে পারে না। ২০০৯ সালে বাণিজ্য ভেঙে পড়ার পর রপ্তানিকারক এবং আমদানিকারক সংস্থাগুলোকে বর্ধিত ঋণ দেওয়াই ছিল বিশ্বব্যাপী কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু। চীনকে আরও মনে করিয়ে দিতে হবে যে, যদি তারা নিজেদের মুক্তবাণিজ্যের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়, তাহলে তাদের স্বার্থ হলো বিশ্ববাজারে কম দামে পণ্য সরবরাহের চেয়ে অভ্যন্তরীণভাবে ভোগের সম্প্রসারণের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যা বিক্রি করতে পারে না তা ব্যবহারে নজর দিতে হবে। তবুও শুল্কের ধাক্কা সামলানোর জন্য বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে।

মহাদেশগুলোয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতিগুলোর সমন্বয় না করে বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত করা সহজ হবে না। কম দামি এশিয়ান পণ্য রপ্তানির কারণে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বিবেচনা করার পরও বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। কিন্তু এই ধাক্কার চেয়েও বড় সমস্যা হলো-ভোক্তাদের আস্থা ভেঙে পড়া এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়া। এর অর্থ হলো আমাদের সুদের হারে সমন্বিত হ্রাসের প্রয়োজন হতে পারে। এমন একটি উদ্যোগ নিতে হবে যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দিতে পারে। যে দেশগুলোতে সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে সেখানে আর্থিক সহায়তা করা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিশ্বাসের ওপর নির্মিত হয়েছিল যে, যদি সমৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে হয় তাহলে তা ভাগ করে নিতে হবে। সর্বত্র অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়, যদি না যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ করতে প্রস্তুত না থাকা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নিয়ে অথবা সাহায্য ছাড়াই ব্রিটেন অবিলম্বে বিশ্বব্যাংকের ১৫০ বিলিয়ন ডলারের অনুদান কাজে লাগাতে হবে। ঋণ প্রদানের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ১ ট্রিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে, বিশেষ করে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ, শুল্ক-ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোকে বেশি সাহায্য করতে হবে। ২০০৯ সালে বাণিজ্য ঋণ এবং বহুপক্ষীয় ব্যাংক অর্থের সংমিশ্রণ বিশ্ব অর্থনীতিকে ১.১ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছিল এবং বিশ্বকে আরও মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছিল। সমন্বিত পদ্ধতি আমাদের কেবল বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার সুযোগ দেয় না। বরং ২০২০ সালের একটি বাক্যাংশ ব্যবহার করে ভালোভাবে গড়ে তোলা। যুক্তরাজ্যের উচিত ইইউর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা। প্রকৃতপক্ষে, ইউরোপে চলমান পরিবর্তনগুলো এমন একটি সহযোগিতামূলকভাবে গড়ে তুলতে হবে যা ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য বাধা অপসারণের চেয়েও বেশি বিস্তৃত হয়।

ইউরোপের নেতৃত্ব দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা যা তাদের সাহসী করে তোলে। ঐক্যবদ্ধ থাকার আকাঙ্ক্ষা যা অনেক সময় ভীতু করে তোলে। এর মধ্যে সর্বদা একটি উত্তেজনা ছিল। কিন্তু আজ ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কম মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে এবং এটি দ্রুত সুদের হার কমাতে পারে। যদি বিশ্বের কাছে শেষ আশ্রয় ঋণদাতা হিসেবে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা সন্দেহের মধ্যে পড়ে, তাহলে ইউরোপকে অন্য একটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হতে পারে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক স্থিতিশীলতা বোর্ডকে ব্যাংক এবং ব্যাংকিং-বহির্ভূত খাতের মধ্যে স্থিতিশীলতার জন্য কী কী ঝুঁকি মোকাবিলা করা প্রয়োজন তা অবিলম্বে রিপোর্ট করতে বলা উচিত। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তারল্য সহায়তার প্রয়োজন এমন বৃহত্তর দেশগুলোয় মুদ্রাবিনিময় সম্প্রসারণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শূন্যস্থান পূরণ করতে বলা যেতে পারে।ব্রিটেন যদি প্রয়োজনীয় রপ্তানি-নেতৃত্বাধীন প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চায়, তাহলে সমন্বিত বহুপক্ষীয় পদক্ষেপ অপরিহার্য। জীবন বিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে জ্বালানি পরিবর্তন এবং সৃজনশীল শিল্প আন্তর্জাতিক ভাবে প্রতিযোগিতা মূলক ক্ষেত্রগুলোকে উৎসাহিত করার ওপর শিল্পনীতি পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে এই প্রবৃদ্ধিকে আরও গতিশীল করা হবে। এ ধরনের বিশ্ববিজয়ী ক্লাস্টারগুলোকে উন্নীত করার জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উচ্চস্তরের দক্ষতার ক্ষেত্রে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। তবে এটি এমন একটি প্রতিযোগিতাবান্ধব ব্যবস্থারও দাবি করে, যা যুক্তরাজ্যের সৃজনশীল প্রতিভার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আক্রমণের মুখে কেবল বহুপক্ষীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই নয় বরং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থেকে শুরু করে জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং মানবিক সহায়তার প্রতি ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতি পর্যন্ত নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতিটি স্তম্ভ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক ব্যবস্থায় একযোগে ভাঙন দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব। কিন্ত দ্রুত পুরাতন ব্যবস্থার ধ্বংসাবশেষে পরিণত হওয়া থেকে একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।

বিশ্বের মানুষের জীবনযাত্রার মান সমর্থন করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এটি করতে গেলে মৌলিক নীতিগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আমাদের সম্মিলিত স্বার্থে করতে হবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাংলাদেশের এখন স্বল্পমেয়াদি আর দীর্ঘমেয়াদি দুই ধরনের করণীয় আছে। দীর্ঘমেয়াদির মধ্যে একটি করণীয় হলো, নির্দিষ্ট কোনো দেশ ও একটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে এবং রফতানি পণ্যের বৈচিত্র্যায়ণ করতে হবে। আপাতত দ্রুত দরকষাকষিতে যেতে হবে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক নিয়ে। পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালেই স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশের গোষ্ঠীতে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিদেশে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে নানা সুযোগ-সুবিধা পায়; যেমন শুল্কমুক্ত রফতানি, নানা শর্ত-নমনীয়তা, রফতানি সাহায্য ইত্যাদি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশের এসব সুযোগ-সুবিধা চলে যাবে। স্বল্পোন্নত দেশের স্তর থেকে উন্নয়নশীল স্তরে উন্নীত হলে বাংলাদেশ অন্যান্য সুযোগও হারাবে-যেমন অনুদান সাহায্য, অত্যন্ত কম সুদহারে ঋণ পাওয়ার সুযোগ, ঋণ ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে শর্তের শিথিলতা, প্রায় শূন্য বা অত্যন্ত কম শুল্কে বিশ্ববাজারে রফতানির সুযোগ ইত্যাদি। এতে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন যে এমন একটি কাঠামোয় বাংলাদেশের বর্তমান নাজুক অর্থনীতি আরো ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। এ উত্তরণ কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে যা প্রয়োজন, তা হলো: কৌশল বাস্তবায়নের জন্য একটি সংঘবদ্ধ কর্মকাণ্ড দরকার হবে, যার জন্য নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব প্রয়োজন হবে।এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কাঠামোগত পরিবর্তন অত্যাবশ্যকীয়। পরিশেষে বলব,পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে এক দেশ ও এক পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কখনই অর্থনীতির জন্য ভালো নয়। 

আমাদের মনে রাখতেই হবে, রফতানি গন্তব্যের বৈচিত্র্যায়ণ এবং পণ্যের বৈচিত্র্যায়ণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে। আগে থেকেই এ ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা না গেলে মার্কিন পাল্টা শুল্কনীতি কার্যকর হলে ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে। কেননা আমাদের রফতানিমুখী পণ্য এমনিতেই কম। এ খাতের সিংহভাগ পণ্য আবার রফতানি হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাজারে রফতানি বাধাগ্রস্ত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রফতানি পণ্য ও রফতানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য আনার দীর্ঘমেয়াদি নীতি গ্রহণের পাশাপাশি আমাদের স্বল্পমেয়াদে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতেও এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের শিল্প ও রফতানিমুখী খাতকে কীভাবে টেকসই করা যায় তার পথ অনুসন্ধান করতে হবে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �


 
যে ভিটামিন আপনার পুরুষত্ব বাড়াবে
যে ভিটামিন আপনার পুরুষত্ব বাড়াবে
টেস্টোস্টেরনকে বলা হয় যৌন হরমোন। এটি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য, ভিটামিন এ ডিম, দুধ, মাংস, কমলা বা হলুদ ফল এবং শাকসবজি। ...
খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন ৫ মে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন ৫ মে
প্রায় চার মাস পর আগামী ৫ই মে দেশে ফিরতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূসহ ৪ মে লন্ডন ...
শ্রমিক সুরক্ষায় আইন আছে, কিন্তু কতটা কার্যকর?
শ্রমিক সুরক্ষায় আইন আছে, কিন্তু কতটা কার্যকর?
বাংলাদেশে শ্রমিকদের সুরক্ষায় একাধিক আইন ও বিধিমালা রয়েছে। শ্রম আইন ২০০৬ এবং এর সংশোধিত রূপে শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮, শ্রমিকদের ...
ভারতের আত্মরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, পাকিস্তানের বিশাল মহড়া
ভারতের আত্মরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, পাকিস্তানের বিশাল মহড়া
কাশ্মীরের পহেলগাম হামলার প্রেক্ষাপটে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফোনালাপে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এ সমর্থন জানান বলে ...
ব্যতিক্রমী ‘এপ্রিল’ : বছরের উষ্ণতম মাসে মিলেছে ঠান্ডা স্বস্তি
ব্যতিক্রমী ‘এপ্রিল’ : বছরের উষ্ণতম মাসে মিলেছে ঠান্ডা স্বস্তি
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এপ্রিল মাস মানেই তীব্র দাবদাহ, ঘনঘন তাপপ্রবাহ ও সূর্যদগ্ধ জনজীবনের হাহাকার। অনেকেই বলেন, বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এটি। ...
বদলে যাচ্ছে লাইসেন্স কাঠামো: বড় সংস্কার আসছে টেলিকম নীতিমালায়
বদলে যাচ্ছে লাইসেন্স কাঠামো: বড় সংস্কার আসছে টেলিকম নীতিমালায়
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের লাইসেন্সিং ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং ...
বিদেশিদের নয়, সবার আগে দেশের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে: মানবিক করিডোর প্রসঙ্গে তারেক রহমান
বিদেশিদের নয়, সবার আগে দেশের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে: মানবিক করিডোর প্রসঙ্গে তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিদেশিদের স্বার্থ রক্ষার স্বার্থে নয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে ...
‘ভারতের শত্রুদের পরাজয় চেয়ে’ জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়ার আহ্বান
‘ভারতের শত্রুদের পরাজয় চেয়ে’ জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়ার আহ্বান
শত্রুদের পরাজয়, দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা বজায় চেয়ে জুমার নামাজের পর মসজিদগুলোতে বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম ...
তীব্র গরমে জনসাধারণের পাশে পলিমাটি
তীব্র গরমে জনসাধারণের পাশে পলিমাটি
গ্রীস্মের শুরুতেই গত কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহে রাজশাহীর জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যস্ত অবস্থা। নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে শহরে চলাচলকারী ...
১০
তীব্র গরমে জনসাধারণের পাশে পলিমাটি
তীব্র গরমে জনসাধারণের পাশে পলিমাটি
গ্রীস্মের শুরুতেই গত কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহে রাজশাহীর জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যস্ত অবস্থা। নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে শহরে চলাচলকারী ...
 
মালয়েশিয়ায় নির্মিত 'কোলকাতার ট্যুরিস্ট গাইড'
মালয়েশিয়ায় নির্মিত 'কোলকাতার ট্যুরিস্ট গাইড'
উদয়ীমান নাট্য অভিনেতা ফরহাদ বাবু। তিনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিত লাভ করেছেন। সম্প্রতি তাঁর  অভিনীত মালয়েশিয়ায় নির্মিত কোলকাতার ট্যুরিস্ট ...
নির্বাচন বিলম্বিত করা মানে ৫ আগস্টের সঙ্গে বেঈমানি: আহমেদ আযম খান
নির্বাচন বিলম্বিত করা মানে ৫ আগস্টের সঙ্গে বেঈমানি: আহমেদ আযম খান
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যারা প্রলম্বিত করতে চায়, তারা ৫ আগস্টের গণ অভ্যত্থানের সঙ্গে বেঈমানী করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ...
রামুতে বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টারের প্রস্তাবিত জমিতে উচ্ছেদ আতংকিত গ্রামবাসীর মানববন্ধন
রামুতে বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টারের প্রস্তাবিত জমিতে উচ্ছেদ আতংকিত গ্রামবাসীর মানববন্ধন
কক্সবাজারের রামুতে সরকারী জমি থেকে উচ্ছেদ আতংকে ভোগছে ৩ শতাধিক পরিবার। জীবনের একমাত্র সম্বল  বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ না করার দাবীতে ...
মৌলভীবাজারে মাদক বিরোধী অভিযান- আটক ৬
মৌলভীবাজারে মাদক বিরোধী অভিযান- আটক ৬
মৌলভীবাজার সদর থানার আওতাধীন চাঁদনীঘাট, সৈয়ারপুর রোড, কাশীনাথ রোড, ক্লাব রোড এবং কোর্ট রোড এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা ...
টাঙ্গাইলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে ট্রাক, প্রাণ গেলো ঘুমন্ত নারীর
টাঙ্গাইলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে ট্রাক, প্রাণ গেলো ঘুমন্ত নারীর
টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরে পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে ঢুকে ট্রাকের নীচে চাপা পড়ে রমেছা বেগম (৫৫) নামে এক নারী মারা ...
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের (এপ্রিল) মধ্যেই লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। তার ...
রেমিট্যান্স বাড়ছে, নেপথ্যে যেসব কারণ
রেমিট্যান্স বাড়ছে, নেপথ্যে যেসব কারণ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলন দমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ...
ইলিয়াস-জুলকারনাইনদের উদ্দেশে হান্নান মাসউদের পোস্ট
ইলিয়াস-জুলকারনাইনদের উদ্দেশে হান্নান মাসউদের পোস্ট
জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। একের পর এক বিতর্ক—নতুন অফিস, ...
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরায় ভূয়া এনএসআই সদস্য গ্রেপ্তার
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরায় ভূয়া এনএসআই সদস্য গ্রেপ্তার
এনএসআই সদস্য পরিচয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।সোমবার(২১ এপ্রিল) ...
১০
বোয়ালখালীতে ১২ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
বোয়ালখালীতে ১২ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে লোকালয়ে চলে আসা ১২ ফুট লম্বা অজগর ধরেছে একদল পথচারী। দিশেহারা হয়ে যাওয়া অজগরটিকে ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্ন্যাক রেসকিউ ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com