![]() ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে লীজকৃত কানাহার পুকুর নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মত বিনিময় সভা
মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
|
![]() মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সূচনা বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধ আলহাজ্ব মনসুর আলী সরকার পূর্ব দক্ষিন রণাঙ্গনে ০৬ থানার যুদ্ধকালীন জুনিয়র কমিশন অফিসার তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আমন্ত্রনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ২২ মে ফুলবাড়ীতে এসে ফুলবাড়ী কলেজ মাঠে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষন প্রদান কালে ফুলবাড়ীর বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক দাবী জানাই। ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে পরিত্যাক্ত ও ব্যবহারের অনুপযোগী ভুতড়ে ভরাট কানাহার পুকুরটি এককালীন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্দের জন্য আবেদন করলে পুকুরটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান লীজ প্রদান করেন। পুকুরটি সংস্কারের জন্য স্কীম প্রণয়ন করে সেখানে ৫৪০০মন গম ও পরে আরও ৬০০ মন গম ব্যয় করে ০৩ বছর ধরে সংস্কার করার পর মাছ চাষের যোগ্য করি। সরকারি নিয়ম নীতি মেনে ১৯৮১ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ভোগ দখল করে আসছে। সেই পুকুর অন্যকে লীজ প্রদান করে যা আয় হয় সেই আয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের দুঃসময়ে ব্যয় করা হয়। এছাড়া পুকুরের পশ্চিম পাড় সংস্কার করা হয়। এখানে একটি ঘাট নির্মাণ করা হয়, একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা, মুর্দা ঘর নির্মাণ ও ঈদের নামাজ ও জানাযার জন্য একটি মাঠ স্থাপন করা হয়। উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে ফুলবাড়ীর জাতীয় কবরস্থান রয়েছে। করব স্থান সংস্কারের বিষয়ে সর্বত্বক সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছি আমরা মুক্তিযোদ্ধারা। ফুলবাড়ীর জনৈক্য কথিত সংবাদকর্মী মোঃ হারুন কানাহার পুকুর নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এবং নিয়োগ কৃত কেয়ার টেকার শফিকুর ইসলাম (বুলু) নিকট ২৫ হাজার টাকার উৎকোচ গ্রহণ করেন। টাকা নেওয়ার পরেও ফুলবাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্য করেন, যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। এ সব কর্মকান্ডের জন্য আমরা ফুলবাড়ীর মুক্তিযোদ্ধারা ঘৃণাভরে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সমন্বয় ও লিয়াজু কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম, জনাব আলী শাহ, আবুল কাশেম, জামাল উদ্দীন। মত বিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন ও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম। ৫শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সহ এছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। |