![]() মাওলানা রইস হত্যার প্রতিবাদে বোয়ালখালীতে বিক্ষোভ
এমরান কাদেরী,বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম):
|
![]() মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার আরকান সড়কের ফুলতল চত্বরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'য়াত এর ব্যানারে এ. মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। বক্তারা বলেন, “এজিদি কায়দায় কারবালার চিত্র তৈরি করে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় ভাই মাও. রইস উদ্দিনকে নির্মম ভাবে শহীদ করা হয়েছে। এজিদ পন্তি বাতিলরা মনে করেছে রইস নিঃশেষ হয়ে গেছে। আসলেই তারা ভুল করেছে। আজ লক্ষ লক্ষ সুন্নি জনতা রইসের আদর্শ বুকে নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। প্রশাসন এর দৃষ্টি আকীশন করে বক্তারা বলেন, সুন্নিদের সততা ও সরলতাকে দূর্বলতা মনে করবননা। একবার রাজপথে নেমে আসলে দুষ্কৃতকারী বা কেউ পালানোর পথ পাবেনা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যতদিন রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হবে, ততদিন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'য়াত রাজপথ ছাড়বে না।” মানববন্ধন ও বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন, এম জাহাঙ্গীর আলম, খ.ম. মোজাম্মেল, মাওলানা জসিম উদ্দীন, মো. নজরুল ইসলাম, মাওলানা আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী, নুরুল হুদা শরীফ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আইয়ুব মিয়াজী, আবুল ফয়েজ মামুন, এস কে এম জাহাঙ্গীর আলম, মামুন উদ্দিন মেম্বার, আরিফুল ইসলাম ইমন, নাজিম উদ্দীন, আবদুর রশিদ, সাহাব উদ্দিন, নঈম উদ্দিনসহ আরও অনেকে। উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকায় ফিলিস্তিনের পক্ষে আয়োজিত ‘Mass Gathering for Palestine’ সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন। সমাবেশ শেষে ফেরার পথে রোববার সকালে গাজীপুরে তাকে ‘বলাৎকারের’ অভিযোগে প্রকাশ্যে নির্যাতন করা হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কোন ধরনের চিকিৎসা এমনকি পানি পর্যন্ত না দিয়ে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। |