আজ মঙ্গলবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই
দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Tuesday, 19 November, 2024 at 5:57 PM
দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেইবিদায়ী শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রের মোড়কে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনবার ভোটার বিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় থেকে জনগণের সম্পদ কুক্ষিগত করেছে এবং বিরোধী দলকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন করেছে। মোটকথা, নির্বাচনহীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। অর্থাৎ একদিকে শাসকগোষ্ঠী নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে এবং অপরদিকে বিরোধী দল এবং সাধারণ মানুষকে শোষণ ও নির্যাতন করেছে, যাকে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এমিল ডুর্খেইম সামাজিক অসমতা বা বৈষম্য বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের মোড়কে এক স্বৈরশাসককে দেখেছে। স্বৈর সরকার শুধু ক্ষমতা কুক্ষিগত করেনি বরং জনগণের ও রাষ্ট্রের অর্থ লুণ্ঠন করেছে, শিক্ষামানের অবনতি ঘটিয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, চর দখলের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা দখল করেছে। সর্বোপরি গণতন্ত্রের নামে একনায়কতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনা করেছে। এখন সময় এসেছে, বিদায়ী সরকারের রেখে যাওয়া রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতির ধ্বংস স্তুপ সরিয়ে কিভাবে নতুন এক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়, কিভাবে সকল প্রকার শোষণ ও বঞ্চনা অতিক্রম করে এক দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়। নোবেল বিজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ৮ আগস্ট ২০২৪ গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কিভাবে কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে তাই দেখার বিষয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার বাস্তবতা আমাদের সামনে উপস্থিত করেছে। প্রায় ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় অর্ধেকই তরুণ ও যুব। তাদের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

এই প্রত্যাশা আগেও ছিল। তবে তা ছিল শুধু স্লোগান। প্রায় ৮০০ শহীদ এবং ২০ হাজার মারাত্মক আহত তরুণ ও যুবদের রক্তে রঞ্জিত এই বাংলাদেশকে প্রকৃত স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধির দেশ, ভোটাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। বৈষম্যহীনতা যুগে যুগে সাধারণ মানুষের জীবনে এসেছে। এক সময় অস্ত্রের মুখে রাষ্ট্র জয় করে সাধারণ মানুষকে শোষণ করা হতো। ভূস্বামীরা জমি দখলকরে সাধারণ মানুষকে বাধ্যতামূলক ভাবে জমিতে চাষ করাতো। ইউরোপে কারখানায় মালিকরা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতো, আর তাদের কাজের বিনিময়ে খুব কম মজুরি দেয়া হতো। পুঁজিবাদীশ্রেণী বা মালিকপক্ষ সব সময় শ্রমিকদের কম মজুরি দিয়ে শোষণ করতো। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায়, জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করা, বিরোধী মতকে দমন করা, জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করা, সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা এবং শক্তভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে সমাজ ও অর্থনীতির উপর কর্তৃত্ব করাকে কর্তৃত্ববাদ বা ফ্যাসিবাদ নামে অভিহিত করা হয়। অপরদিকে, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলতে এমন এক রাষ্ট্রকে বুঝায় যা জনগণের সামগ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা দান করে। কল্যাণ রাষ্ট্রের মূল বৈশিষ্ট্য হল-জনকল্যাণ সাধন, নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা দান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও বৈষম্য দূর, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা পূরণ করা ইত্যাদি। জাতিসংঘের ঘোষণা মতে, কোন রাষ্ট্রকে তখনই কল্যণমূলক রাষ্ট্র বলা যেতে পারে যখন রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিককে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এবং বেকারত্ব, অসুস্থতা অথবা অন্য কোনো কারণে জীবিকার্জনের অক্ষমতায় সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে। 

অষ্টাদশ শতাব্দীতে,টমাস পেইনের মতো সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিকরা ন্যায়সঙ্গত সমাজের পক্ষে ছিলেন। তারা এমন একটি রাষ্ট্র বিনির্মানের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে রাষ্ট্র নিজেই সক্রিয়ভাবে তার নাগরিকদের কল্যাণ সুনিশ্চিত করবে। ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এবং সমাজ সংস্কারক উইলিয়াম বেভেরিজ আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রসমূহ যেমন-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং এশিয়া মহাদেশের জাপান এবং সিঙ্গাপুরও তাদের স্বতন্ত্র সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বিভিন্ন মডেল গ্রহণ করেছে। ইহা একটি ভালো সরকার ব্যবস্থা যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হয়। প্রতিটি জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র নাগরিকদের ন্যায়বিচার, সাম্য, সমমর্যাদা, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ইত্যাদি সুনিশ্চিত করে। বাংলাদেশে জুলাই এবং আগস্ট মাসে যে আন্দোলন হয়, তা ছিল মূলত কোটা বিরোধী আন্দোলন অর্থাৎ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে ৫৬ শতাংশ চাকরির কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল। যেসব ছাত্র-ছাত্রী স্নাতকসম্পন্ন করে চাকরি খুঁজছিল, তারা বছরের পর বছর চেষ্টা করেও কোন চাকরি পাচ্ছিল না এবং বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। তাদের কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়। অতঃপর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এক দফার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের এই বৈষম্যপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে একটি সার্বজনীন কারিকুলাম ও নিরপেক্ষ পরীক্ষা পদ্ধতি অবিলম্বে চালু করা প্রয়োজন, যাতে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যরা চাকরি পায়।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমাদের দেশে শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ জাতীয় আয়ের দেড় থেকে দুই শতাংশ। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে তিন থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করা হয়। যা সত্যিই দুহখজনক। শুধু তাই নয়,দেশের প্রধান উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠে শুধুমাত্র দলীয় বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলে জাতির নিরপেক্ষতার জায়গা কোথায় থাকবে, তা ভাববার বিষয়। তদুপরি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবাসিক সমস্যা, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ কর্তৃক দখলদারিত্ব, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিমিত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার অভাব, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অভাব, সঠিক ও যোগ্য ছাত্রনেতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। সুতরাং জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৫টি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ১০৩টি। গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় বিবেচনায় পরিচালনা পর্ষদ, প্রশাসনিক নেতৃত্ব বিশেষ করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বোপরি গত ১৫ বছরে এ দেশে শিক্ষামানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে যা সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন গত ১৫ বছরে বিচারালয় পুরোটাই আওয়ামী দলীয় বিচার ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে। বিচারপতি, এটর্নি জেনারেল এবং আইনজীবী সমিতি সবই দলীয়করণ করা হয়েছে। যোগ্যতা, মেধা, নিরপেক্ষতা ও আইনগত দক্ষতা বিবেচনা করে বিচারপতি ও সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। প্রতিটি অপরাধীকে বিচারের সম্মুখীন করা আবশ্যক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও গত ১৫ বছরে আওয়ামী সংস্থায় পরিণত হয়েছে। সরকার বিরোধীদের দমনই ছিল এর প্রধান কাজ। জেল-জুলুম, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সভা-সমিতিতে বাধা, গুম, খুন এবং বিরোধীপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে আইন প্রয়োগকারীর কাজ করেছে।

পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড, আনসার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আয়না ঘর তৈরি করে সেখানে বিরোধীদলের নেতাদের বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়, যা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিশেষ করে র‌্যাব গত ১৫ বছরে যে ভূমিকা রেখেছে, তাতে র‌্যাবকে বিলুপ্তি ঘোষণার দাবি উঠেছে। যেসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হত্যা ও গুমের সাথে জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশেষ কমিশন গঠন করে ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বিরোধী দলের উপর নিপীড়ন এবং ভোটের কারচুপিতে সহায়তা কারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। নিরপেক্ষও যোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নির্বাচন কমিশনার ও সদস্য নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন দেয়া উচিত, যাতে প্রতিটি নাগরিক তার ভোটাধিকার ফিরে পায়।জাতীয় সংসদ গঠনমূলক ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতেই পরিচালনা করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের গত ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীনতার জন্য শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত সরকার ব্যবস্থা দায়ী। এদেশে ১৯৯০ সাল থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত মন্ত্রি পরিষদ সরকার ছিল, যা প্রকারান্তে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বপূর্ণ সরকার। কিন্তু এই সরকার ব্যবস্থা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখেনি। বিশেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থার সংস্কার দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হল বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান সংস্কার করা। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা চালু করা। যেখানে উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ জাতীয় সংসদ নামে পরিচালিত হতে পারে। উচ্চকক্ষ প্রেসিডেন্টের কার্যাবলীকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং নিম্নকক্ষ জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা আইন প্রণয়ন করবে। তাহলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রেসিডেন্ট শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, জাতীয় সংসদ ও সিনেটের কর্তৃত্বে থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখবেন। পক্ষান্তরে, জুলাই-আগস্ট এর সকল গণহত্যার বিচার করা এবং শহীদদের রক্তে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা সার্থক করার জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তাহলেই কেবল বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ তথা আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। যে রাষ্ট্র দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা দেবে। অসহায় নারী, প্রবীণ, বেকার ও প্রতিবন্ধীরা ভাতা প্রাপ্ত হবে এবং প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া হবে। আজ এবং আগামীতে এভাবে জনগণের সন্তোষ জনক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা দিতে পারে নতুন সরকার। যদিও কাজগুলো সময়সাপেক্ষ এবং কঠিন। কেবলমাত্র দুর্নীতিমুক্ত সরকারি ব্যবস্থাপনা, দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব এবং জনগণের অংশগ্রহণে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
আঞ্চলিক উত্তেজনায় সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান তারেক রহমানের
আঞ্চলিক উত্তেজনায় সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান তারেক রহমানের
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশকে ঘিরে ভারতের উসকানিমূলক ও রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ...
জাতীয় ঐক্য নিয়ে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ঐক্য নিয়ে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ লক্ষ্যে তিনি আজ মঙ্গলবার ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ...
গাজায় জিম্মিদের মুক্তির নির্দেশ ট্রাম্পের
গাজায় জিম্মিদের মুক্তির নির্দেশ ট্রাম্পের
গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হামাসকে তার শপথগ্রহণের আগের দিন ...
আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদ
আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদ
ভারতের আগরতলার ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (০২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ...
মমতার বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া
মমতার বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের সামপ্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি সেখানকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের শান্তিসেনা পাঠানোর প্রস্তাব করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার ...
পতাকা ছিঁড়ে আগুন: আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা
পতাকা ছিঁড়ে আগুন: আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা বাংলাদেশের পতাকা ছিঁড়ে অগ্নিসংযোগ করেছে। গতকাল দুপুরে এই হামলার ...
ভারতীয় আগ্রাসন মেনে নেয়া হবে না
ভারতীয় আগ্রাসন মেনে নেয়া হবে না
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়েকরা বলেছেন, শরীরের একফোটা রক্ত থাকা পর্যন্ত ভারতীয় আগ্রাসন মেনে নেয়া হবে না। ভারতের আগরতলার কুঞ্জবনে অবস্থিত ...
সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ হবে কিনা জানতে চাইলেন এক কূটনীতিক
সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ হবে কিনা জানতে চাইলেন এক কূটনীতিক
ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে সৃষ্ট ঘটনাবলির বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানাতে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্রিফিংয়ে সংস্কার হওয়া সংবিধান কেমন হবে? তা জানতে ...
মেহেরপুরের শহীদ আবু সাঈদ ক্লাবে হামলা-ভাঙচুর
মেহেরপুরের শহীদ আবু সাঈদ ক্লাবে হামলা-ভাঙচুর
মেহেরপুরে শহীদ আবু সাঈদ ক্লাবে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (০১ ডিসেম্বর) রাতে পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাথুলি বাসস্ট্যান্ড সড়কে নতুন ...
১০
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির আনন্দমিছিল
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির আনন্দমিছিল
২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পাওয়ায় আনন্দমিছিল করেছেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি ...
 
লক্ষ্মীপুরে সমমনা ঐক্য পরিষদের শিক্ষামূল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
লক্ষ্মীপুরে সমমনা ঐক্য পরিষদের শিক্ষামূল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
সমমনা ঐক্য পরিষদ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংঘর্ষে আহত আরো একজনের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংঘর্ষে আহত আরো একজনের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যার ...
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং দেউলিয়ার নেপথ্যে এনআই খান
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং দেউলিয়ার নেপথ্যে এনআই খান
মো. নজরুল ইসলাম খান। এনআই খান নামে পরিচিত সবমহলে। সাবেক শিক্ষা সচিব। তিনি পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত, একান্ত সচিব ...
অটোচালকদের অবরোধ নগর জুড়ে দুর্ভোগ
অটোচালকদের অবরোধ নগর জুড়ে দুর্ভোগ
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৬ ...
সবচেয়ে ভয়ংকর ৪ কবিরা গুনাহ
সবচেয়ে ভয়ংকর ৪ কবিরা গুনাহ
ইসলামে অসংখ্য কবিরা গুনাহের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ভয়ংকর চারটি গুনাহ হলো- আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা; কোনো ব্যক্তিকে (অন্যায়ভাবে) ...
সিলেটে যুবদল কর্মী বিল্লাল হত্যা: মূল হোতা টেম্পু মইন দুই সহোদরসহ আটক
সিলেটে যুবদল কর্মী বিল্লাল হত্যা: মূল হোতা টেম্পু মইন দুই সহোদরসহ আটক
ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময়  সিলেটের শাহ পরান এলাকার  আলোচিত যুবদল কর্মী খুনের  মূল হোতা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার  মো:রেজাউল  করিম ...
আদানি গ্রুপের ঘুষকাণ্ডে বিশ্ববাজারে কী প্রভাব ফেলবে
আদানি গ্রুপের ঘুষকাণ্ডে বিশ্ববাজারে কী প্রভাব ফেলবে
আদানিকাণ্ডে তোলপাড় পুরো বিশ্ব। তাদের জালিয়াতি, প্রতারণা নিয়ে গোটা বিশ্ব সরব। এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার একদিনেই আদানি গ্রুপ ...
রাস্তায় ব্যারিকেড, বন্ধ হবে ইন্টারনেট: পিটিআইয়ের সমাবেশ ঠেকাতে পাকিস্তানে তোড়জোড়
রাস্তায় ব্যারিকেড, বন্ধ হবে ইন্টারনেট: পিটিআইয়ের সমাবেশ ঠেকাতে পাকিস্তানে তোড়জোড়
২৪ নভেম্বর বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। বিক্ষোভ ঠেকাতে এরই মধ্যে তোড়জোড় শুরু ...
দৃশ্যপট পাল্টায় এভাবেই!
দৃশ্যপট পাল্টায় এভাবেই!
কারাগার, বাসা, হাসপাতাল। গেল অনেকগুলো বছর এটাই ছিল খালেদা জিয়ার জীবন। দীর্ঘদিন পর রাষ্ট্রীয় মঞ্চে দেখা গেল তাকে। এক যুগ ...
১০
বেতন পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করলেন বেক্সিমকোর শ্রমিকরা
বেতন পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করলেন বেক্সিমকোর শ্রমিকরা
টানা ৬ দিন আন্দোলন করার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেতন পেলেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা। বেতন পেয়ে রাত পৌনে আটটার দিকে ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com