আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই
দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Tuesday, 19 November, 2024 at 5:57 PM
দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেইবিদায়ী শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রের মোড়কে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনবার ভোটার বিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় থেকে জনগণের সম্পদ কুক্ষিগত করেছে এবং বিরোধী দলকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন করেছে। মোটকথা, নির্বাচনহীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। অর্থাৎ একদিকে শাসকগোষ্ঠী নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে এবং অপরদিকে বিরোধী দল এবং সাধারণ মানুষকে শোষণ ও নির্যাতন করেছে, যাকে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এমিল ডুর্খেইম সামাজিক অসমতা বা বৈষম্য বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের মোড়কে এক স্বৈরশাসককে দেখেছে। স্বৈর সরকার শুধু ক্ষমতা কুক্ষিগত করেনি বরং জনগণের ও রাষ্ট্রের অর্থ লুণ্ঠন করেছে, শিক্ষামানের অবনতি ঘটিয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, চর দখলের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা দখল করেছে। সর্বোপরি গণতন্ত্রের নামে একনায়কতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনা করেছে। এখন সময় এসেছে, বিদায়ী সরকারের রেখে যাওয়া রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতির ধ্বংস স্তুপ সরিয়ে কিভাবে নতুন এক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়, কিভাবে সকল প্রকার শোষণ ও বঞ্চনা অতিক্রম করে এক দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়। নোবেল বিজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ৮ আগস্ট ২০২৪ গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কিভাবে কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে তাই দেখার বিষয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার বাস্তবতা আমাদের সামনে উপস্থিত করেছে। প্রায় ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় অর্ধেকই তরুণ ও যুব। তাদের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

এই প্রত্যাশা আগেও ছিল। তবে তা ছিল শুধু স্লোগান। প্রায় ৮০০ শহীদ এবং ২০ হাজার মারাত্মক আহত তরুণ ও যুবদের রক্তে রঞ্জিত এই বাংলাদেশকে প্রকৃত স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধির দেশ, ভোটাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। বৈষম্যহীনতা যুগে যুগে সাধারণ মানুষের জীবনে এসেছে। এক সময় অস্ত্রের মুখে রাষ্ট্র জয় করে সাধারণ মানুষকে শোষণ করা হতো। ভূস্বামীরা জমি দখলকরে সাধারণ মানুষকে বাধ্যতামূলক ভাবে জমিতে চাষ করাতো। ইউরোপে কারখানায় মালিকরা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতো, আর তাদের কাজের বিনিময়ে খুব কম মজুরি দেয়া হতো। পুঁজিবাদীশ্রেণী বা মালিকপক্ষ সব সময় শ্রমিকদের কম মজুরি দিয়ে শোষণ করতো। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায়, জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করা, বিরোধী মতকে দমন করা, জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করা, সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা এবং শক্তভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে সমাজ ও অর্থনীতির উপর কর্তৃত্ব করাকে কর্তৃত্ববাদ বা ফ্যাসিবাদ নামে অভিহিত করা হয়। অপরদিকে, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলতে এমন এক রাষ্ট্রকে বুঝায় যা জনগণের সামগ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা দান করে। কল্যাণ রাষ্ট্রের মূল বৈশিষ্ট্য হল-জনকল্যাণ সাধন, নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা দান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও বৈষম্য দূর, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা পূরণ করা ইত্যাদি। জাতিসংঘের ঘোষণা মতে, কোন রাষ্ট্রকে তখনই কল্যণমূলক রাষ্ট্র বলা যেতে পারে যখন রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিককে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এবং বেকারত্ব, অসুস্থতা অথবা অন্য কোনো কারণে জীবিকার্জনের অক্ষমতায় সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে। 

অষ্টাদশ শতাব্দীতে,টমাস পেইনের মতো সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিকরা ন্যায়সঙ্গত সমাজের পক্ষে ছিলেন। তারা এমন একটি রাষ্ট্র বিনির্মানের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে রাষ্ট্র নিজেই সক্রিয়ভাবে তার নাগরিকদের কল্যাণ সুনিশ্চিত করবে। ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এবং সমাজ সংস্কারক উইলিয়াম বেভেরিজ আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রসমূহ যেমন-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং এশিয়া মহাদেশের জাপান এবং সিঙ্গাপুরও তাদের স্বতন্ত্র সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বিভিন্ন মডেল গ্রহণ করেছে। ইহা একটি ভালো সরকার ব্যবস্থা যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হয়। প্রতিটি জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র নাগরিকদের ন্যায়বিচার, সাম্য, সমমর্যাদা, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ইত্যাদি সুনিশ্চিত করে। বাংলাদেশে জুলাই এবং আগস্ট মাসে যে আন্দোলন হয়, তা ছিল মূলত কোটা বিরোধী আন্দোলন অর্থাৎ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে ৫৬ শতাংশ চাকরির কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল। যেসব ছাত্র-ছাত্রী স্নাতকসম্পন্ন করে চাকরি খুঁজছিল, তারা বছরের পর বছর চেষ্টা করেও কোন চাকরি পাচ্ছিল না এবং বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। তাদের কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়। অতঃপর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এক দফার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের এই বৈষম্যপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে একটি সার্বজনীন কারিকুলাম ও নিরপেক্ষ পরীক্ষা পদ্ধতি অবিলম্বে চালু করা প্রয়োজন, যাতে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যরা চাকরি পায়।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমাদের দেশে শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ জাতীয় আয়ের দেড় থেকে দুই শতাংশ। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে তিন থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করা হয়। যা সত্যিই দুহখজনক। শুধু তাই নয়,দেশের প্রধান উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠে শুধুমাত্র দলীয় বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলে জাতির নিরপেক্ষতার জায়গা কোথায় থাকবে, তা ভাববার বিষয়। তদুপরি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবাসিক সমস্যা, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ কর্তৃক দখলদারিত্ব, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিমিত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার অভাব, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অভাব, সঠিক ও যোগ্য ছাত্রনেতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। সুতরাং জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৫টি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ১০৩টি। গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় বিবেচনায় পরিচালনা পর্ষদ, প্রশাসনিক নেতৃত্ব বিশেষ করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বোপরি গত ১৫ বছরে এ দেশে শিক্ষামানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে যা সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন গত ১৫ বছরে বিচারালয় পুরোটাই আওয়ামী দলীয় বিচার ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে। বিচারপতি, এটর্নি জেনারেল এবং আইনজীবী সমিতি সবই দলীয়করণ করা হয়েছে। যোগ্যতা, মেধা, নিরপেক্ষতা ও আইনগত দক্ষতা বিবেচনা করে বিচারপতি ও সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। প্রতিটি অপরাধীকে বিচারের সম্মুখীন করা আবশ্যক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও গত ১৫ বছরে আওয়ামী সংস্থায় পরিণত হয়েছে। সরকার বিরোধীদের দমনই ছিল এর প্রধান কাজ। জেল-জুলুম, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সভা-সমিতিতে বাধা, গুম, খুন এবং বিরোধীপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে আইন প্রয়োগকারীর কাজ করেছে।

পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড, আনসার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আয়না ঘর তৈরি করে সেখানে বিরোধীদলের নেতাদের বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়, যা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিশেষ করে র‌্যাব গত ১৫ বছরে যে ভূমিকা রেখেছে, তাতে র‌্যাবকে বিলুপ্তি ঘোষণার দাবি উঠেছে। যেসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হত্যা ও গুমের সাথে জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশেষ কমিশন গঠন করে ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বিরোধী দলের উপর নিপীড়ন এবং ভোটের কারচুপিতে সহায়তা কারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। নিরপেক্ষও যোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নির্বাচন কমিশনার ও সদস্য নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন দেয়া উচিত, যাতে প্রতিটি নাগরিক তার ভোটাধিকার ফিরে পায়।জাতীয় সংসদ গঠনমূলক ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতেই পরিচালনা করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের গত ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীনতার জন্য শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত সরকার ব্যবস্থা দায়ী। এদেশে ১৯৯০ সাল থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত মন্ত্রি পরিষদ সরকার ছিল, যা প্রকারান্তে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বপূর্ণ সরকার। কিন্তু এই সরকার ব্যবস্থা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখেনি। বিশেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থার সংস্কার দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হল বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান সংস্কার করা। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা চালু করা। যেখানে উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ জাতীয় সংসদ নামে পরিচালিত হতে পারে। উচ্চকক্ষ প্রেসিডেন্টের কার্যাবলীকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং নিম্নকক্ষ জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা আইন প্রণয়ন করবে। তাহলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রেসিডেন্ট শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, জাতীয় সংসদ ও সিনেটের কর্তৃত্বে থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখবেন। পক্ষান্তরে, জুলাই-আগস্ট এর সকল গণহত্যার বিচার করা এবং শহীদদের রক্তে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা সার্থক করার জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তাহলেই কেবল বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ তথা আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। যে রাষ্ট্র দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা দেবে। অসহায় নারী, প্রবীণ, বেকার ও প্রতিবন্ধীরা ভাতা প্রাপ্ত হবে এবং প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া হবে। আজ এবং আগামীতে এভাবে জনগণের সন্তোষ জনক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা দিতে পারে নতুন সরকার। যদিও কাজগুলো সময়সাপেক্ষ এবং কঠিন। কেবলমাত্র দুর্নীতিমুক্ত সরকারি ব্যবস্থাপনা, দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব এবং জনগণের অংশগ্রহণে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির সাবেক নেতা মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার ...
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে গেল ১০ জনের নাম
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে গেল ১০ জনের নাম
ইসি গঠনে ১০ জনের নাম জমা রাষ্ট্রপতির কাছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য সার্চ কমিটির প্রস্তাব করা ১০ জনের নাম ...
‘বাংলাদেশিরা আত্মগোপনে থাকলে সম্পর্ক খারাপ হবে’
‘বাংলাদেশিরা আত্মগোপনে থাকলে সম্পর্ক খারাপ হবে’
ওশেনিয়া মহাদেশের দেশ ফিজিতে আট বাংলাদেশি শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, তারা স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গেছেন। কিন্তু এ দাবির পক্ষে ...
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
আজ ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস। যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও ...
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিধান থাকছে না
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিধান থাকছে না
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে থাকছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। গতকাল ...
নিয়মিত চুমু খেলে কি আসলেই ঠোঁট ফাটে না?
নিয়মিত চুমু খেলে কি আসলেই ঠোঁট ফাটে না?
শীতের আগমন অনেকেরই ত্বক ও শরীরের নানা অংশে পরিবর্তন আনতে শুরু করে। সে প্রস্তুতি হিসেবে সবার পকেটে বা ব্যাগে ঠাঁই ...
ঝিনাইদহে ৪২ ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার
ঝিনাইদহে ৪২ ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার
আওয়ামী সরকার বিরোধী সকল আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতেন যুবদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মির্জা। অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করতেন। ...
ধামরাইয়ে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২০
ধামরাইয়ে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২০
ঢাকার ধামরাইয়ে গ্রাফিক্স গার্মেন্টসের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকবাহী বাসের সঙ্গে একটি ইটবোঝায় ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই তিন ...
বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়, বিএনপিপন্থীদের ধস
বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়, বিএনপিপন্থীদের ধস
বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী পন্থী নীল দল। সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ ...
১০
নতুন আইজিপি বাহারুল আলম: ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
নতুন আইজিপি বাহারুল আলম: ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন মাসে দ্বিতীয় দফায় পুলিশের নেতৃত্বে পরিবর্তন ঘটল; বাহিনীর নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাহারুল ...
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারো মারা গেছে মাদ্রাসা ছাত্র
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারো মারা গেছে মাদ্রাসা ছাত্র
এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলব্রীজ এলাকায় পূনর্ভবা নদীতে ডুবে মারা গেছে মুনতাসীর (১৩) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৪ ...
কয়রায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাস রুম না থাকায় পাঠদানে ব্যহত
কয়রায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাস রুম না থাকায় পাঠদানে ব্যহত
খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বোগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্লাস রুম না থাকায় পাঠদানে সমষা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ...
আলুর কেজি ৪০০ টাকা
আলুর কেজি ৪০০ টাকা
বাজারে উঠেছে আগাম আলু। বগুড়ার নবান্ন উৎসবকে ঘিরে বাজারে উঠেছে নতুন আলু। দাম নাগালের বাইরে হলেও উৎসবের আমেজে কম বেশি ...
ব্রাদার নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিন্টার টোনার
ব্রাদার নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিন্টার টোনার
প্রিন্টার জগতে খুবই বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড  ব্রাদার এবার এবার দেশের বাজারে নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যে জেনুইন টোনার। নিয়মিত যাদের প্রিন্ট করা ...
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসী রনি গ্রেপ্তার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসী রনি গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসী মো. বাপ্পি চৌধুরী রনিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত ১টা ...
আলু চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ: আত্রাইয়ে বীজ আলুর কৃত্তিম সংকট, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
আলু চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ: আত্রাইয়ে বীজ আলুর কৃত্তিম সংকট, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে আগাম জাতের বীজ আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। মৌসুম ...
কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর কে নিয়ে কটূক্তি করছেন এক শিক্ষক
কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর কে নিয়ে কটূক্তি করছেন এক শিক্ষক
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের দীঘির পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ...
‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগে ছেয়েছে ফেসবুক, নেপথ্যে কী?
‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগে ছেয়েছে ফেসবুক, নেপথ্যে কী?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া #WeAreNahid হ্যাশট্যাগে সমর্থন পাচ্ছেন। ...
মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ থেকে বিতাড়িত সুন্দরী
মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ থেকে বিতাড়িত সুন্দরী
ইতালি মোরা, পানামার প্রতিনিধিত্বকারী মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগী। তাকে সম্প্রতি প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনালের কয়েকদিন আগে অযোগ্য বলে ঘোষণা করে  বরখাস্ত করা ...
১০
চীনে পথচারীদের ওপর গাড়ি, নিহত অন্তত ৩৫
চীনে পথচারীদের ওপর গাড়ি, নিহত অন্তত ৩৫
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ঝুহাই শহরে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এক চালক। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যার দিকের এই ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com